somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কখন ফিরবে তুমি

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তুমি কি তোমার সোনালী যৌবনকাল কাটিয়ে ফিরবে? আদৌ কি ফিরবে না কি ফিরবে না আর। হে যুবক তোমার পথের পানে থাকিয়ে রয়েছি, এসো তুমি মেধায় মননে বদ্বলের মূলমন্ত্র হয়ে দেখাবে পথ এই সুন্দর ভুবনে। দারিদ্র দুর্দশার সকল আধার দুর করে তুমিই আনবে আলো সোনালী সকালের। জীবন চলার পথে পথহারা মানুষের সন্ধান পেলে, পাশে দাড়াবে তুমি তাদের দিশারী হয়ে। হাসিয়ে যাবে ততক্ষন, যতক্ষন না তারা থেমে যাচ্ছে। কেউ যখন পতিত হয়, পৃথিবীটাকে মনে হয় অসিম শুন্যতাময় আর নিকর্ষ কালো -অন্ধকার। তোমার স্বভাবজাত উচ্ছলতা দিয়ে তাদের টেনে তুলবে । হাজারো প্রতিকুলতার মাঝে যদি তুমি ঘুড়ে দাড়িয়ে চলতে শুরু কর দেখবে আমরা সবাই তোমায় অনুসরন করবো। সবাই কে আশ্বস্থ করবে একটি সাফল্যের বন্ধ দরজা শুধু তোমার অপেক্ষায় আছে - তুমি তা খুলে দেবে বলে।

হযরত ওমর এর মতো নেত্রীত্ব নিয়ে কেন ফিরবে না তুমি? ওমরের চেতনা কেন প্রবাহিত হবে না তোমার মাঝে ? তুমি চোখ খুলে দেখ, আজ সারা বিশ্বে মুসলমান রা তাদের গৌরবের রাজমুখুট হারিয়ে নিপিরিত , নির্জ্জাত্বিত হচ্ছে তাদের মাধ্যমে যাদের কে একদিন শাসন করেছিল। যারা হুকুমের গোলাম ছিল। যারা আমাদের প্রজা ছিল আমরা ছিলাম যাদের রাজা। অর্ধ পৃথিবীর রাজমুকুট ছিল আমাদের মাথায়। আজ তাদের লাথি - জুতো মুসলমানদের মাথার মুকুট। আজ তাদের কথায় মুসলমানেরা উঠ-বস করে।

কখন ফিরবে তুমি ? যখন কবরে যাওয়ার তজবি জপবে। যখন তোমার মাথায় রাজমুকুট কল্পনা করতে পারি না। যখন মুসলমানের অস্থিত্ব মুছে যাবে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে। কিংবা তোমার বোন কে বিয়ে করবে হিন্দু, বুদ্ধ, খিস্ট্রান এর ছেলে রা । একদিন তাদের ধর্ম ই তোমাদের ধর্ম বলে গন্য হবে। না কি বাঙ্গালী গানের মতো গাইবে যখন - আলতা শাড়ী পড়িলে মনে পড়ে যায়, একদিন বাঙ্গালী ছিলাম রে, দাড়ি টুপি দেখিলে মনে পড়ে যায় একদিন মুসলমান ছিলাম রে। তুমি কি ফিরবে না কি ফিরবে না আর।

কেন ফিরবে না তুমি ? তুমি কি ভেবে দেখছ , হাসপাতালে একজন রোগী কে কৃত্রিম উপায়ে ৭/১০দিন অক্সিজেন দিলে তার বিল পরিশোধ করতে হয় কত টাকা। সেই হারে তুমি হিসাব করে দেখ, জন্মের পর থেকে আজ অবদি তোমার কাছে কত টাকা পাবে তোমার আল্লাহ, শুধু তোমাকে নিরবিচ্ছিন অক্সিজেন সরবরাহ করায়। তুমি কি সেই টাকা পরিশোধ করবে না কি ফিরবে তুমি স্রষ্টার বিধান কায়েম করার জন্য। তোমার রক্তকনিকা সৃস্টি করে তোমার রব। তুমি কি নিজে তোমার জন্য এক ফোটা রক্ত তৈরি করতে পারবে? কোন বিশেষ প্রয়োজনে বাহিরে থেকে কিনলে তো সেই রক্তের দাম দাও। স্রষ্টার বেলায় কেন তার দাম দিবে না ?

কোন শক্তির বৌদলতে ঈমাম মেহেদি (স:) পারবে সব মুসলমানকে এক কাতারে নিয়ে আসতে ? ভাই-ভাই এ হানাহানি বন্ধ হবে। আজ ইসলামের এত দল, এত মতবাদ, এত বিবেদ সব এক কাতারে বন্ধি হবে। আল্লাহ এক, রাসুল এক, কোরআন এক, সমগ্র মুসলমান এক বলে গর্জে উঠে কোন শক্তির বলে বলিয়ান হয়ে বিশ্বের মাঝে আবার ইসলামের পতাকা উড়াবে ? তুমি কেন পারবেনা বিশ্বের সমগ্র মুসলমান কে এক কাতারে নিয়ে আসতে ? কেন ফিরবে না তুমি ভাই ভাই এর মধ্যে ধর্ম নিয়ে মারামারি বন্ধ করতে। তোমার মধ্যে কিসের অভাব ?

কিসের লোভে আজ তুমি পথ হারা ? এত লোভ লালসা করে কি পেয়েছ আজ তুমি ? কত সম্পদের মালিক হয়েছ তুমি ? কত টুকু ভোগ করতে পারবে তুমি ? একবার ভেবে দেখছ সকাল বেলা একটি পাখি আল্লাহর নামে পথে বাহির হয়ে যায়, সন্ধা বেলা পেট ভর্তি করে বাসায় ফিরে। আগামি কালের জন্য কিছুই জমা করে রাখে না। সেই বিশ্বাস করে তাকে সৃস্টি করার সময় স্রষ্টা আহার সৃস্টি করে রেখেছে। আগামি কাল কি সেই না খেয়ে ফিরে ? সে তো পাখি আর তুমি তো সৃস্টির সেরা জীব। তুমি কিভাবে বিশ্বাস কর তোমার স্রস্টা তোমাকে না খাওয়ায়ে সন্ধাবেলা বাসায় পাঠাবে ? তুমি ইসলামের জন্য কিছু একটা করে দেখাও স্রষ্টার তোমার জন্য কি করে। বিশ্বাস কর তুমি ঠকবে না । তাতে ঠকবে না তোমার পরিবার পরিজন।
তুমি কি জান ? হযরত আবু বক্কর (রা:) কে জ্ঞিগাসা করা হলো - তুমি কি ভাবে এত সহজে রাসুল (সা:) এর মেরাজ বিশ্বাস করলে, আর সিদ্দিক হলে ? হে বিশ্ববাসিরা তোমরা জেনে রাখ - আমি আল্লাহ কে দেখি নাই, রাসুলের কথা শুনে বিশ্বাস করেছি আল্লাহ । আমি জিব্ররিল কে না দেখে বিশ্বাস করেছি আল্লাহর কোরআন কে। আমি ফেরেস্তাকে না দেখে বিশ্বাস করেছি, আমি না দেখে বিশ্বাস করেছি দোযখ আর বেহেস্ত কে, শুধু মাত্র রাসুলের মুখ থেকে শুনে বিশ্বাস করেছি সব কিছু আর মহিমান্বিত ইসলাম কে। সেই মতে আমি রাসুলের মুখের কাথায় সহজে বিশ্বাস করেছি মেরাজের সমস্ত ঘটনাবলী। না দেখে বিশ্বাস করার নাম ঈমান। সেই সিদ্দিকে আকবরের মতো তুমি কি বিশ্বাস করেতে পার না তোমার রব কে। সেই রবের ক্ষমতাকে। বিশ্বাস কর তুমি ঠকবে না। বিশ্বাস করে তুমি ফিরে আস ইসলামের মহান খলিফা হযরত ওমরের মতো নেতৃত্ব নিয়ে।

তোমার নেতৃত্ব এর অপেক্ষায় আছে আজ সারা মুসলিম জাহান। ফিরে এসো হে যুবক তুমি আমাদের মাঝে ইসলামের জয়গান নিয়ে। বিবেদ ভুলে ইসলামের পতাকা উড়ায় আমরা সবাই মিলে সারা জাহান জুড়ে। ইসলামের পাঁচ স্তম্ব ঠিক রেখে, ভাই ভাই মারামারা হানাহানি রক্তপাত হয় এমন ফতোয়া বাদ দিয়ে আসুন সবাই এক পরিচয় দিয়ে ইসলাম রক্ষায় এগিয়ে আসি ঈমানি ভাই বলে। যেমনি ভাবে এখনো আমরা দেখি সব বিবেদ ভূলে এক পরিচয়ে মুসলমান হয়ে আমরা এখনো এককাতারে হজ্ব করি। ঠিক সেই ভাবে আমরা মুসলমান হয়ে ঘরে ফিরি অর্ধ পৃথিবীর রাজ মুকুট নিয়ে। শুধু তুমিই ফিরে এসে দেখ, ইসলামের রাজমুকুট তোমার মাথায়। যার সুফল সারা বিশ্বে।

চলবে........... ......... .........

মাসুদ, মাসুক, মাবুদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×