জীবনে কারো দোয়া কাজে লাগেনি। আমি কিছুই হতে পারিনি। পূরন হয়নি আমার কোন আশা। বরং ভুল ঠিকানায় আমার জন্ম। যেখানে যা করেছি সব ভুল করেছি। আর আমার এতটুকু মুল্যায়ন হয়নি কোন কাজের কোন অর্থের। সেই থেকে মনে মনে খুজতাম আমার মনের মতো মানষুটিকে।
দীর্ঘ বিশ বছর পর আমি তাকে খুজে পেলাম। আমি তাকে দেখতাম আর দেখতাম। ঠিক যেন আমার চাওয়া পাওয়ার মতো মানুষ। অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে।
পৃথিবীর নিয়ম সামাজিকতার দায়বদ্ধতায় আমি তাকে বলতে পারিনি, আমি আপনাকে ই খুজছি। পেয়েও গেছি। ভালোও বেসেছি।
দির্ঘ্য নিরান্দ জীবনে আমার মাঝে যেন প্রান ফিরে এলো। সুন্দর জামা পরতাম, সাজতাম, হাসতাম, ভালো লাগতো সব কাজ। সব কিছুই । চলতে চলতে জানিনা কেমন করে তিনি আমার চোখের ভাষা বুঝলেন।
একদিন বলেই ফেললেন অনেক অনেক বছর আগে কেন আপনার সঃঙ্গে আমার দেখা হয়নি। কথাটা শোনার পর আমি আনন্দে কষ্টে কতো যে কেদেছিলাম। সেই অবক্ত্য ভাষা বোঝানোর মতে নয়।
জীবনের মধ্যম সময়ে আমি ভালোবাসলাম, ভালোবাসায় সিক্ত হলাম। তারপর প্রতিটি মুহুত্ব কেটেছে আমার ভালোবাসার নীল স্বপ্নে , আর ভালোবাসার আনন্দে। কখনো বা না পাওয়ার বেদনায়। সারাদিনে তাকে শুধু আমি একনজর দেখতে পেতাম। মনে হতো সারাদিন আমি যদি তাকে কাছে পেতাম। তার কাছে আমার আনন্দ বেদনা ভালোলাগা ভালোবাসার কথা বলতাম।
কখনো কষ্ঠে কেঁদে ফেললে তিনি আমার চোখ মুছিয়ে দিতেন। বুকের মাঝে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলতেন এই তো আমি আছি। আমি তো সব সময় তোমার পাশেই আছি। তোমার কষ্ঠ গুলো আমি ত সবটুকু নিয়ে নিয়েছি। আমি তার বুকের মাছে মিশে যেতাম। মনে হতো পৃথিবীর স্বর্গে বাস করছি। আমার কোন কষ্ট থাকতোনা। সারাদিন -রাতের সময়গুলো আমি স্বপ্নের মতো তার সাথে কাটাতাম।
এক ঈদে তিনি আমাকে একটি নীল-শাট কিনে দিলেন। আমার অনেক অনেক জামার মধ্যে সেই শ্্েরষ্ঠ শাটটি পরলাম। আমি তার কাছে দাড়ালাম। সব ভাষা বুঝি কান্না হয়ে ঝড়ে পড়লো শাটটিতে। আমি তাকে জড়িয়ে ধরলাম। তিনি আমাকে বুকের মাঝে আগলে ধরে মাথাটা বুকের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে বললেন - আমি তু আছি। আমি শাট টা পরে তার সামনে ঈদের দিনে , কিংবা কোন দিন দাড়াতে পারিনি ঠিকই, তবে আমি যেন প্রতিটা ঈদেই তার দেয়া সেই নিল শাট টা পরে দাড়াই। তিনি আমার পাশে দাড়িয়ে হাত দুটোতে চুমু খেয়ে বলেন আমি তোমাকে সত্যি ভালোবাসি। আমি তোমার আনন্দ - বেদনার সঙ্গী। নি:শর্ত ভালোবাসি, নি:স্বার্থ ভালোবাসি। কখনো ছলনা করবো না। তুমি অসুন্দর হলে ও আমার কাছে খুবই সুন্দর। তোমার মন টা আরো বেশি সুন্দর ।
আমি ভুলে যাই বেদনার কথা, কষ্টের কথা। আমি ভুলে যাই পেছনের অবহেলার কথা।
অনেকটা বছর পার হয়ে গেছে। অনেক দুরত্ব বেড়েছে। সাত সমুদ্র তেন নদির ঐ পাড়ে তার বাস। আমি নিজে তাকে কোনদিন দেখি নাই। আর কখনো কোন দিন দেখতে পাবও না।
কিন্ত আমি আজো প্রতিক্ষন প্রতি সময়ে তাকে দেখি। আমি তার ভালোবাসা পাই। কষ্টে কখনো ছাঁদে দাড়িয়ে দুর আকাশে তাকালে আমি তাকে দেখতে পাই। আমি তার হাসি দেখতে পাই। তার কন্ঠস্বর শুনতে পাই। বেদনা ভরা মুখটা নিয়ে তিনি যখন হাসেন আমি হাসিটা দেখি আর দেখি।
ভোরের নামাজ পড়তে হয়। পড়তে হবে তার অনুরোধ। কারন সকালে হাটতে হবে। নীল জামাটা পড়ে হাটতে থাকি। কৃষ্ণ চুড়া গাছের নিচ দিয়ে দেখি, দুরে দাড়িয়ে আছেন তিনি মায়াভরা হাসি হাসি মুখে। আমি কাছে যাই। তার মায়াবী হাতদুটো আমার হাতে নিই। এক হাত দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে হাটতে থাকি।
তিনি বলেন , তুমি এতো শুকিয়ে গেছে। তবু ও নীল শাট টা পরনে তোমাকে এতো ভালো যে লাগছে। মনে হয় প্রথম দেখার আগেই সেই তুমি। আমি তার হাতদুটো ছুয়ে বল্লাম সত্যি ? তিনি বললেন হা সত্যি, কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেললাম।
অনেকটা পথ আস্তে আস্তে তার কাছ ঘেষে হাটলাম দুজনে। কথা বলা হয় না। তবুও যেন বলা হয় সব কষ্টের কথা, বেদনার কথা। নিসঙ্গতার কথা। আমি বললাম দেখুন কৃষ্ণচুড়া গাছের ফুলগুলো কেমন কমলা রং, এর পাতা গুলো কেমন যেন তামাটে হয়ে গেছে। আমাদের মতো। হাটতে হাটতে অনেক দুর যাই। ক্লান্ত হয়ে যাই। তিনি হাত জড়িয়ে দরে বলে আমি তো আছি। ।
জানিনা কখনো তোমাকে দুচোখ ভরে দেখতে পাব কিনা। তবে মনে মনে আশা করি তার দেয়া নীল জামাটা পরে জীর্ন শীর্ন শরিল নিয়ে একদিন তাকে ঠিক দেখতে পাব। শুধুই একবার।
বিপদের সময় আমি তাকে সবচেয়ে বেশি কাছে পাই। অনেক কষ্টের সময় দেখি পাশে বসে আমাকে আগলে রাখছে মৃত্যুর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার জন্য । তার যেন চাওয়া দুজন যতোদুর থাকিনা কেন দুজন দুপ্রান্ত বেচে থাকি। আমরা একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে পারি।
হে বিশ্ব বিধাতা তুমি আমাদের কাউকে রেখে কাউকে নিওনা। বৃদ্ধকাল মানুষের সবচেয়ে বড় নিষ্ঠুর কাল। এ সময়ের অন্তত এতোটুকু সান্তনার জন্য দুজনকে ভাল রেখ। কতো কষ্টে, কতো বেদনায় কেটেছে এতোটা বছর এতোটা কাল। আজ আর আমাদের কষ্ট দিওনা। কাউকে ছাড়া যেন কেউ মরে না যাই। এই বয়সে শুধু অনুভবের মাঝে বেচে থাকতে দাও।
সমাজ সংসারের নিয়মে আজ অনেক দুরের মানুষ আমরা দুজন। অল্প সময়ের জন্য দুজন দুজনকে রেখেছিলাম। কোন দিন কাছে পাইনি। কোন দিন মন খুলে কথা বলা হয়নি। কোন দিন আনন্দে ফেটে পড়েনি। দুজন একসঙ্গে হাসতে পারিনি। দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরতে পারিনি। হাত পা সব ছুয়ে দেখতে পারিনি। বেদনার নীল জামাটা পরে তার সামনে দাড়াতে পারিনি কোন দিন।
বলতে পারিনি আমি তোমাকে খুব ভালবাসি। বলা হয়নি আমি তোমাকে খুজছি অনেক বছর। মুখ ফুটে বলতে পারিনি আমি শুধু তোমারই ভালবাসা চেয়েছি। সত্য ভালভাসা যেখানে কোন স্বার্থ নেই, অভিনয় নেই। জানিনা তুমি বেচে আছ কি না ? কেমন আছ তাও জানিনা।
শুধু ভাবি আমার ভালোবাসার মানুষটি বেচে থাক। আমার পরে যেন তার মৃত্যু হয়। অনেক কষ্ট যন্ত্রনা বেদনা সয়ে এতোটা দিন বেচে আছি। আর যেন কোন কষ্টের কথা শুনতে না হয়। আমি তো শুধুই ভালোবাসা দিয়ে এক সাগর ভালোবাসা অর্জন করেছি।
ছোখ বন্ধ করলে দেখতে পাই তুমি মলিন মুখে সিড়িতে বসে আছ। ইচ্ছ করে হাত ধরে তুলে বলি, কষ্টের রক্ত নাকি নীল হয়। আমার কাছে আনন্দের।
তোমার দেয়া নীল জামাটার সঙ্গে ম্যাচ করা কতো কিছুই কিনেছি। আজ হয়তো ভাজে ভাজে জামাটা ফেটে যাচ্ছে। আমাদের জীবনের সময় গুলোর মত। আমি ভাজ খুলে আর একভাজে রাখি। তোমাকে নিয়ে এই যখন লিখছি তখন আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। তবু লিখছি ভালো লাগবে বলে।
তুমি আমার পাশে বসে আমার লেখা দেখছ। আমি তাকালাম তোমার চোখ পানে। চোখ দুটোতে ছলছল পানি। পাশে দাড়িয়ে কাদঁছ। হয়তো হাহাকারে বুকভরে গেছে না দেখার বেদনায়।
তোমার চোখের পানি আমার হাতে পড়লো । মন খারাপ করতে নেই। এগুলো কাছে পাওয়ার আনন্দ। দেখ আমি হাসছি সেই আগে যেমন করে হাসতাম। ঠিক তেমন হাসি। তোমার আরে কোন কষ্ট নাই।
নামাজে দাড়ালে তোমার মায়াবি মুখটা ভেসে উঠে। আমি তোমার মুখটা আড়াল করার চেষ্টা করি। অনেকক্ষন । তারপর নামাজ পড়ি। পৃথিবীর নিয়ম আর পড় পারের নিয়ম একনয় তো। তবু ও তোমাকে মনে পড়ে। হয়ত সাড়াটি জীবন নি:সঙ্গ থাকতে- থাকতে আমার, তোমাকে কাছে পাওয়ার বাসনাটা বেশি জাঁগে।
সামনে ঈদ আসবে। নীল জামাটা পরে আমি দাড়াবো। তুমি আসবে । আমার পাশে একটু দাড়াবে। আমি তোমাকে কাছ থেকে দেখবো। অবশ্যই দেখবো। বার বার ঈদ আসবে। আমি দেখবো মন ভরে।
পৃথিবীর সবচেয়ে অনাদরে অবহেলায় পরিত্যক্ত দুজন মানুষ আমরা, একে অপরকে খুজে পেয়েছি। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। পৃিথবীর কঠিন নিয়মে হারিয়ে ফেলেছি আমাদের সময়,বয়স, সামাজিকতা। তবু লিখলাম ভালোবাসার মানুষটির পরিচয় হলো। অব্যক্ত কথাগুলো আজ বললাম।
আল্লাহ যাকে দেন দুহাত ভরেই দেন।
কিছু বলেছেন?
আমি বললাম-আপনি পরিপূর্ন সন্দুরী এক মেয়ে। রানী ক্লিওপাটা কিংবা প্রেমের দেবী ভেনাসের চেয়ে ও বেশি।
একটি প্রশ্রয়ের মুচকি হাসি দিয়ে পরিস্বার ইংরেজিতে বললো-ঞযধহশ ুড়ঁ ংড় সঁপয নঁঃ ুড়ঁৎ বাধষঁধঃরড়হ রং নবুড়হফ ষরসরঃ.
আমি বললাম - ঝড় যিধঃ? ও উড়হ’ঃ ঃবষষ ধ ষরব.-
ঞযধহশ ুড়ঁ, ঙহপব ধমধরহ.
একটু দুরের পাহাড় দেখিয়ে বললাম- দেখুনা কি অর্পূব দৃশ্য। পাহাড় যেন আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে মেঘের সঙ্গে মিতালি পেতেছে। এখানকার সৃষ্ট জীব ও কতো সুন্দর
মানে ?
সামনে পুকুরের পানিতে সাতার কাটা রঙ্গিন হাসের বাচ্ছা গুলো দেখিয়ে বললাম-এতো সুন্দর দৃশ্য কি শহরে সম্ভব ? আর আপনি ও তো মাশা আল্লাহ ! দেশ বিদেশের কম জায়গা তো ঘুরিনি। আপনার মতো কই কাউকে দেখেছি বলে মনে হয় না।
তার মানে আমার চেয়ে সুন্দরী মেয়ে দেশে নেই ? সপ্রতিব প্রশ্ন।
অবশ্যই আছে। তবে সৌন্দয্য উপভোগ করার জন্য দরকার সুন্দর চোখ।
আপনি আমাকে তুমি করে বললে খুশি হব।
আমি বললাম অসম্ভব !
কেন ? ভ্রু কোচকানো প্রশ্ন।
বললাম- আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাকে গভীর ভাবে ভালবাসবো তাকে কোন দিন তুমি বলবনা। কারন আপনির মধ্যে তুমির চেয়ে অনেক বেশি সম্মান, শ্রদ্বা, ভালোবাসা কাজ করে। আমার দাদিকে কোন দিন দাদা তুমি বলেন নি আপনি ছাড়া। তাদের দাম্পত্য জীবন নাকি ইতিহাসে স্থান পাওয়ার মতো সুখি ছিল। যারা তুমি করে বলে তারা সুখি হয় না। একেক জনের কাছে সুখের একেক রকম অর্থ।
আপনি ও আপনার দাদার মতো অর্ধাঙ্গিনীকে আপনি সম্ভোধন করবেন ?
অবশ্যই ! পৌরুষদীপ্ত উত্তর। মওকা বুজে এই মহাজগতের সবচেয়ে সুন্দর প্রস্তাবটি দিয়ে ফেললাম। আপনাকে আমি আমার নাতি-নাতনিদের দাদি বানাতে চাই। আপনি কি রাজি?
আমাকে অভাক করে দিয়ে বিনা সংকোচে প্রথম দিনের প্রথম দেখায় সেই প্রথম আলাপচারিতায় বললো- আপনার নাতি - নাতনিদের দাদি হতে পারবো কিনা জানিনা। তবে আপনার ছেলে-মেয়ের মা হতে রাজি।
আমি কল্পনা করিনি তার মত একটি মেয়ে অন্তত এতো সহজে রাজি হয়ে যাবে। আনন্দে আতœহারা হয়ে শরির অবশের মতো হয়ে গেল। মনে হলো শরিরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে তিন গুন দ্রুত বইছে।
আইরে - জেগে উঠে দেখি সকাল ১১টা । তারা হুরা করে অফিসে ডুকতে গিয়ে সোজা এম.ডি সাহেবের সামনে।
কি সাহেব এই বুঝি ভোর হলো ? ইচ্ছামত শুনে শুরু হলো সকালের পথ চলা। স্বপ্নের সোনালী রেশ গুলো আমার শিরায় শিরায় ডুকে উজ্ঝিবিত করে তোলে সারাটি দিন। মন খারাপ হলে সে নিমিশেই চোখের সামনে এসে বলে ” এই মন খারাপ কেন” আমি ত আছি।
এই জান ? আমার চোখ যখন বন্ধ করি তখন আর সহজে খুলতে মন চায় না। সুন্দর স্বপ্নটা মিলিয়ে যাবে ভয়ে। চোখ খুললে যে, আর তোমাকে দেখা যাবে না। কল্পনার সব রং যে মিশে যাবে।
সত্যি তোমার সঙ্গে আমার মাত্র কয়েক দিনের কল্পনা। এতোদিনের ছঁকে বাধা জীবনের চিত্রটাকে যেন একপলকে বদলে দিয়েছ। রাতের শেষে আসা প্রভাতে যখন ঘরের বদ্ধ জানালা খুলে দেয়া হয়, তখন প্রথম সুর্যালোকে এক পলকে কেটে যায় সমস্ত আধার। তুমি ও ঠিক তেমনি সুর্যালোক হয়ে কাটিয়ে দিলে আমার সমস্ত নি:সঙ্গতা আর একাকীত্বের অন্ধকার । কষ্ঠের মেঘ গুলোকে উড়িয়ে দিয়ে হৃদয় আকাশটাকে ভরিয়ে দিলে শরতের শুভ মেঘ রাশিতে।
আমার মন, আমার কল্পনা, আমার প্রেম তুমিই। তুমিই আমার প্রেরনা। তোমাকে রাঙ্গাতে মনে যে কোথা হতে এতো রঙ্গ উদয় হয় তা জানিনা। কষ্টের মেঘ গুলো উড়ে যায়, আর শরৎতের শুভ সোনলী সকাল উদয় হয় তোমায় সাজাতে। কল্পনার সব রঙ্গ মিশিয়ে আবার ও হারিয়ে যায় তোমাকে খুজে নিতে।
জন্মেছি আমি বাংলাদেশে। এটাই আমার বড় অপরাধ। আর তাই শুরু হলো আমার একা পথচলা। চাকরি, বাজার করা, রান্না করা সব মিলিয়ে আমার আজ বড় কষ্টে কাটে সময়গুলো। সব কাজের মধে আমি নি:সঙ্গতা খুজে পাই।
এই বাংলাদেশে আমার মতো অসহায় কজন আছে? হয়ত কোটি কোটি। নাকি আমি একজন ? এত বছর বয়সে আমার ভালোবাসার মানুষটির কথা আমাকে ভুলতে হয়। আর নিজের কষ্ট কখনো ভাগ হয় না, কারন কষ্টগুলোর প্রতিটা রক্ত কনিকার মাঝে মিশে আছে। সেই কষ্টগুলো আবার নিজের হৃৎপিন্ডের মাঝেই জমা হয়, সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে কেউ যেন আমার মত হয়ে জন্ম না নেয়। কষ্ট করে সংগ্রাম করে বেচে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। এই বংলাদেশের মাটিতে জন্মেছি, এই মাটিতে যেন কবর হয় । আর সেই দুর আকাশের গায়ে আমি যেন নীল তারা হয়ে জ্বলতে থাকি। রাতে সবাই দেখবে কষ্টের মানুষগুলো বুঝি এমনি নীল তারা হয়।
সব ভালোবাসাই প্রকাশিত হবে এমন নিয়ম কেন ? সব প্রেমই পুর্নতা পাবে তাইবা কেন? যে চকোর রাত জেগে চাঁদ অভিসারে নির্মিলিত চোখে চেয়ে থাকে তার প্রেমের কি কোন মূল্য নেই ? যে নদি সাগরে মিশবে বলে ছুটতে ছুটতে কোন এক মরু পথে দিশা হারায় তার প্রেম ও কি মূল্যহীন ?
লিখে যায়। লেখা যেন শেষ হতে চায় না। কি লিখতে কি লিখি, কোনটা লিখতে কোনটা লিখি তাও বুঝিনা। শুরু করি , শেষ করতে পারি না কোন কিছুই। কি যে এক অসিম হাহাকার চেপে বসেছে আমার বুক জুড়ে। হৃদয়ে হৃদয়তার মধ্যে বাসা বেধছ তুমি। আচ্ছা বলত তুমি, তুমি টা কে ?