এ-কোন বেদনা-যাত্রা নয়
গৌড়চন্দ্রিকা আর বহুবিধ আখ্যান শেষে বেহুলা ভাসান নেয়
বায়ুপথে, মেঘের ডিঙায়। গৃহবাসী পক্ষী সকল দরোজায় দাঁড়ায়
সারি সারি...
ফিরে যাই
এইবার ফিরে যেতে হবে, অতলান্ত ভূমির শয়ানে
অনেক তো কুড়িয়েছি ডানাভাঙা পরীদের পালক। সাজিয়েছি সপ্তবর্ণা মেঘের চিবুক, বিবিধ দপর্ণে...
এতো এতো অর্ঘ্য চারিদিকে
তবুও হঠাৎ চমকে-ওঠা জানালার ওইপাশে
জেগে থাকে এ-কার বিম্বিত মুখ...
চিনি না তো!
এই মাটি
আকাশের পাশে ঘুমাইনি বহুদিন আমি
নাকি ছিলাম শীতনিদ্রায় ব্যাঙের বাকলের নিচে তরঙ্গ-দৈর্ঘ্যে...
মনে নেই
মনে নেই
তখনো কি দীঘল রজনী ছিল মাত্রা ছাড়িয়ে...আহা! তখনও কি
জ্বর ছিল কারো? সবুজ আঁচল পুড়ে যায় ভুলের পারদে
পাখনা ছাড়ায়...দীঘির খোঁজে কারা যেন ঋষি হয়, সিঁড়ি ভাঙে..
তুলে নেয় তাল তাল সোনা, নগরীর নিষিদ্ধ প্রহরে...রজনী গভীর হল যমুনায়...
যাই
আধখানা পদ্চ্ছাপ ফেলে দূরতম দ্রাঘিমাংশে যাই
ওইখানে জেগে আছে বিধবার গ্রাম
নীলবর্ণ জবার জঠর
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩০