সেন্টমার্টিন যাওয়ার সাধারণ ৩টি ব্যাবস্থা আছে। একটি হচ্ছে জাহাজে করে, আরেকটি হচ্ছে স্পীড বোট আর ৩য় টি ট্রলারে বা নৌকায়। এখানে সবচাইতে নিরাপদ ভ্রমণ হয় জাহাজে আর সবচাইতে বিপজ্জনক ভ্রমণ ট্রলারে বা নৌকায়।
তো আমাদের মাথায় সেন্টমার্টিনের ভূত ঢুকেছিল, সাথে বোনাস হিসাবে জাহাজ বন্ধ যেহেতু অফ সিজন আর স্পীড বোটের খরচ অনেক বেশি। আমরা যখন খোজ নিয়েছিলাম তখন ৯ হাজার টাকা চাচ্ছিল টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন, যেটা আমাদের এক এক জনের পুরা ট্যুরের বাজেটের প্রায় কাছাকাছি।
কিন্তু এই পাগল মন মানচ্ছিল না। সিনিয়র ভাই, যারা আগে গিয়েছেন সবাই আগে থেকেই ট্রলারে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। তাদের এই নিষেধাজ্ঞাই ট্রলারের প্রতি আমারদের আকর্ষন বাড়িয়ে দিয়েছিল, এটা নিশ্চিত।
তো, আসলে কেমন ছিল ট্রলারে জার্নি?
তবে একটা কথা সত্য, ভাগ্য অনেক ভাল ছিল আমাদের। আর ট্রলারে যদি সেন্টমার্টিন না যেতাম, তবে জীবনের আনন্দময় একটা জিনিস মিস করে যেতাম। আমাদের ৪ জনের মধ্যে ১ জন সামান্য ভয় পেয়েছিল, তাও কয়েক মুহূর্ত পরে ঠিক হয়ে গিয়েছে। বাকিরা সবাই স্ট্যাবল ছিলাম।
যেগুলো ভুল করেছিঃ
১। যাওয়ার সময় আমাদের বলা হয়েছিল, কিছু খাবার নিয়ে উঠতে নৌকায়। কিন্তু, কোন কারণে সেটা মিসিং হয়ে যায়। আসলে সমুদ্রের আবহাওয়ায় ক্ষুধা পায় প্রচন্ড। পেট ভরা থাকলেও ক্ষুধা পায়। তাই বিস্কিট, কেক, পিঠা ইত্যাদি শুকনা খাবার নিয়ে উঠতে হয়। নৌকায় এসব কিছু পাওয়া যায় না।
২। বাসের মত নোকার মাঝে বসা কে নিরাপদ মনে করেছি। আমরা তারাতারি যেয়ে মাঝের অংশে যায়গা দখল করেছিলাম। কিন্তু আসল ঘটনা হচ্ছে, মাঝের অংশই বেশি ঝুকিপূর্ণ
জেনে রাখতে পারেনঃ
> সেন্ট মার্টিন এ যেতে হলে আপনাকে টেকনাফ যেতেই হবে।
> অনেক টাকা থাকলে হেলিকপ্টারে যেতে পারবেন, খরচ হবে ৩০ হাজার টাকার মত
> ট্রলারে যাতায়াত খরচ যেতে ২১০ টাকা এবং ফিরে আসতে ১৫০ টাকা
> জাহাজে ৪৫০ টাকা (প্রায়)
> ট্রলারে মানুষ যতটা ভয় দেখায়, আসলে ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নাই।
একই সাথে আমার ব্যাক্তিগত ব্লগে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ ক্যাটাগরীতে প্রকাশিত
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪