somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইয়া আল্লাহ! তুমি এই দেশের সবাইকে সরকারী কর্মকর্তা বানায়া দাও। তুমি তো সব পারো .... !! :( :(

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেসামরিক প্রশাসনে সরকারি চাকরিজীবীদের আর্থিক সহায়তা ও অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়েছে সরকার। এখন থেকে চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি চাকরিজীবী মারা গেলে তার পরিবারের সদস্যরা আর্থিক অনুদান হিসেবে আট লাখ টাকা পাবেন।

এছাড়া চাকরিতে থাকাকলে গুরুতর আহত হয়ে কেউ স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে তার পরিবারের সদস্যরা চার লাখ টাকা সহায়তা পাবেন।

২৯ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ১ জুলাই থেকেই কার্যকর এটি ধরা হবে।

খুবই ভালো প্রস্তাব। অথচ বেসরকারী চাকরীজীবীদের বেলায় কি হবে? এদের বেলায় কি সরকারের কোন দায় ভার নেই? অথচ কয়টা সরকারী প্রতিষ্ঠান লাভের মুখ দেখে? দেশকে এগিয়ে নিতে, দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ভুমিকা পালন করছে? সরকারী কোন খাতটি থেকে দেশের সর্ব সাধারণ মানুষ মান সম্মত সেবা পাচ্ছে বলতে পারেন?

বাংলাদেশ রেল, বিমান বাংলাদেশ, সবই লস প্রজেক্ট। বিআরটিসি তো কবেই শেষ। সরকারী পাটকল চিনি কল যাই বলেন, সবই লস আর লস, সরকারী প্রতিষ্ঠান লাভের মুখ কেউ দেখে না, লাভ দেখে সরকারী ব্যক্তিরা। প্রশাসনের কথা বলে লাভ নেই। এটা সবাই জানেন। কার কত বেতন আর কে কত টাকার গাড়ি বাড়িতে চড়েন, সেটা এই সমাজে নতুন করে ব্যাখ্যা বিশ্লেষনের প্রয়োজন নাই। তারপরেও তাদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে লাভ টা কি হচ্ছে, যদি সততা, স্বভাব দূর্নীতি দূর না হয়?

পক্ষান্তরে বেসরকারী উদ্যোক্তাগন একের পর এক কল কারখানা মিল ফ্যাক্টরী ঠিকই খুলছেন। লাভ না হলে কি ব্যবসা বাড়ানো সম্ভব? তারা ব্যাংক থেকে লোন করছেন, ব্যবসা করছেন, লাভ করছেন, সুদ সহ ব্যংককে টাকা পরিশোধ করছেন। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছেন। অথচ সমাজে এই বেসরকারী লোকদের কোন স্ট্যাটাসই নেই!

আগে একসময় সমাজের এই ক্ষত গুলো নিয়ে নাট্য শিল্পিরাও সোচ্চার ছিলেন। বিটিভিতে এমন প্রচুর নাটক প্রচারিত হয়েছে, যেখানে দেখানো হয়েছে যে সমাজে সংসারে সৎ সততার জয় হয়েছে, সৎ সততার মূর্ত প্রতীক মধ্যবিত্ত শ্রেনী মানুষেরা বিত্তের মাঝে নয়, চিত্তের মাঝে সুখে শান্তিতে বসবাস করছে, ঘুষখোর কর্মকর্তা কর্মচারীরা আইনের আওতায় সাজা পাচ্ছে, সমাজে নিগৃহিত হচ্ছে। এখন কোথায় সমাজের সেই চীত্র?

ফ্যাস্টাসী কিংডম আর শাহবাগের শিশুপার্ক দেখলেই সহজে অনুমেয় এই দেশে সরাকরী আর বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে তফাতটা কত। অথচ তার পরেও এই দেশে বেরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের কোন স্ট্যাটাস নাই। তারা সমাজ দেশ রাষ্ট্রের জন্য যতই করুক না কেন, কোন ক্রেডিট নেই। আছে শুধু প্রতি পদে পদে সরকারী খরচ আর নিগৃহ। তাদের জন্য কোন সুখবর ঘোষিত হয় না।

একটি ব্যঙ্গ কার্টুনে দেখেছিলাম, বিচারের দিনে সৃষ্টিকর্তার কেঁদে ফেলেছেন, যখন তিনি একজন বেসরকারী কর্মচারীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছেন। ঘটনাটি এরকম

স্বর্গের দরজায় তিনজন লোক দাড়িয়ে আছে। ঈশ্বরের অলৌকিক বজ্রকন্ঠ ভেসে এলো ' তোমাদের মধ্য থেকে কেবল একজন ভেতরে আসতে পারবে' ১ম ব্যক্তি: আমি ধর্মপূজারী... স্বর্গে ঢোকার অধিকার আমার সবচেয়ে বেশী। ঈশ্বর নিশ্চুপ।২য় ব্যক্তি: আমি সমাজ সেবক, সারা জীবন আপনার সৃষ্টির সেবা করছি, তাদের দুঃখ দুর করেছি, স্বর্গে ঢোকার অধিকার আমারই বেশী। ঈশ্বর নিশ্চুপ। ৩য় ব্যক্তি: আমি সারা জীবন একটা প্রাইভেট কম্পানীতে চাকরী........... 'থাম' ঈশ্বরের ধরা গলার আর্তনাদ ভেসে এলো ' আর একটা শব্দও বলবি না....আমারে কান্দাবি নাকি পাগলা...আয় ভেতরে আয়.... তোর সারা জীবন বসের ঝাড়ি খাওয়া, প্রমোশন না হওয়া, বছর শেষে বেতন না বাড়া, অফিস পলিটিক্স সামলানো, বিনা পয়সায় ওভারটাইম, রাত করে বাড়ি ফেরা, বাসে ঝুলে আসা যাওয়ার কষ্ট, উইকইন্ডে বাসায় কাজ করা, পরিবারকে সময় না দেওয়া, সংসার চালানোর কষ্ট.....কয়টা বলবো...সেন্টিমেন্টাল করে দিলি রে পাগলা......আয় ভেতরে.....

এমন কিছু পাওয়ার আশায় বোধ হয় বেসরকারী চাকুরীজীবীরা সংসারের সমাজে গ্লানি, ঘৃণা , বঞ্ছনা সব সয়ে সমাজ সংসারের ঘানি টানে। তারা রাস্তায় উল্টো পথে গাড়ি চালাতে পারে না, চালালেই জরিমানা আর ট্রাফিকের মামলার সাথে ফ্রী চোখ রাঙানি দেখতে হয়, আর পাশাপাশি ফ্লা্গ ষ্ট্যান্ড লাগানো গাড়ি উল্টোপথে তার পাশ দিয়েই ভো করে বেরিয়ে যায়, স্যলুট পায়! সমাজ এভাবেই তাদের মূল্যায়ন করে .........
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
১৮টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×