আগামী ২১ তারিখে ঈদুল আজহা, মাঝে একটি দিন, তার পরই কঠোর লক ডাওন। বিষয়টি নিয়ে সব মহলই এখন যার পরনাই চিন্তিত। একটি সাসপেন্স কাজ করছে সবার মনে। কি হবে, কি হতে পারে, কিভাবে এই ঈদ আর লক ডাওনকে সমন্বয় করা যাবে। এটা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নাই। কারণ হচ্ছে, যারা ঈদের ছুটি তে গ্রামে যাবেন, তাদের চিন্তা ঈদের পরের দিনই কিভাবে ফিরে আসবেন? একদিনে যদি ঘর ফেরৎ মানুষ সব রাস্তায় নামে, তবে পরিস্থিতি কি ভয়াবহ হতে পারে সেই চিন্তা আর আশংকায় গোটা জাতিই অস্থির। অপরদিকে শিল্প কলকারখানা কর্তৃপক্ষ চিন্তা করছেন এতো দিন সব কিছু বন্ধ রাখলে শিপমেন্ট উৎপাদন সব কিছুর শিডিউল কিভাবে মেইনটেন করবো? সব যদি বন্ধ থাকে, তাহলে শ্রমিকরা কিভাবে একদিনের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসবে, কিভাবে উৎপাদন অব্যহত থাকবে। এমন সব অশংকায় আমরা সবাই জর্জরিত।
আচ্ছা সরকার যদি লক ডাওনের অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশপাশি ২০শে জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্য্যন্ত ঈদের সাধারণ ছুটি ঘোষনা করে, তবে কেমন হয়? তাহলে অন্ততঃ চাকুরীজীবিগন মালিক পক্ষ থেকে অফিসে আসার বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পাবে। পক্ষান্তরে মালিক পক্ষগনও কল কারখানা ব্ন্ধ রাখতে আরো বেশী বেগ পাবেন।
বর্তমান সময়ের আলোকে ছুটি দেওয়ার এখতিয়ার প্রাইভেট কোম্পানির হাতে না রেখে সরকার যদি বাধ্যতামুলক ভাবে ২০জুলাই থেকে ৫আগষ্ট পর্য্যন্ত সাধারণ ঈদের ছুটি ঘোষণা দেয়, তবেই সর্বাত্মক লক ডাওন পালিত হতে পারে পাশাপাশি শিল্প কল কারখানা সব বন্ধ রাখার যে সরকারি পরিকল্পনা তা বস্তবায়িত হতে পারে। নতুবা বিভিন্ন অজুহাতে শিল্প কলকারখানা ঠিকই খোলা থাকবে, মানুষ ঐ প্রথম বারের মতো পায়ে হেটে হলেও ঢাকায় পৌছানোর চেষ্টা করবে এবং ভোগান্তিতে পড়বে। ফলে দেশ হয়তো ভয়বহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই আশঙ্কা থেকে মুক্তি দান করুন। সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৫৯