somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যানবাহনের ওভার স্পিড লিমিট ও জরিমানা আদায় সংক্রান্ত ক্যাচাল!

১৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগে আমাদের সড়ক পথে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো, তার থেকে বর্তমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে অনেক আধুনিক। সড়ক পথ বর্ধিত করণ, সেতু নির্মান, একাধিক বাই পাস সড়ক নির্মানের মাধ্যমে আমরা আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে একটি উচ্চমানে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্ব রোডের কনসেপ্ট এডভান্স হয়ে এখন হাই ওয়ে, এক্সপ্রেস রোড, উড়াল সড়ক, বিআরটি সহ নানা নামে আমরা আধুনিক সুবিধার যুগে প্রবেশ করেছি। আগে যেখানে পৌছুতে একদিন লেগে যেতো, আজ সেখানে ৩ বা ৪ ঘন্টার মধ্যেই পৌছে যেতে পারছি। এসবই গতির বা স্পিডের খেলা। উন্নত বিশ্বের এটাই বৈশষ্ট্যি যে নিরাপদে স্বল্পতম সময়ে সর্ব্বোচ্চ গতিতে সর্ব্বোচ্চ দুরত্ব অতিক্রম করা। উন্নত বিশ্ব তাই বুলেট ট্রেন, টিউব ট্রেন এর মতো যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে অভ্যস্ত হতে চলেছে। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। আমাদের দেশে এলিভেটেড ওয়ে, এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মানের মাধ্যমে দ্রুত ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ চলছে। আমাদের আন্ত জেলা রাস্তা সমুহ এর বাইরে নয়। এই রাস্তাগুলো তৈরী করা হয়েছে মানুষ যেনো নিরাপদে দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় পৌছুতে পারে তার জন্যে।

বর্তমানে হাই ওয়েতে ডিউটি রত পুলিশ স্পিড গান নিয়ে রাস্তার আড়ালে আবডালে দাড়িয়ে থাকেন। হুট হাট করে নির্জন নিরিবিলি এলাকায় গাড়ি থামিয়ে ওভার স্পিডের মামলা দিয়ে দেন। আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এবং নিরাপদ ভ্রমণের জন্যেই তারা গাড়ির গতি স্লথ করে দেন। এটা কোন সমস্যা নয়। বৃহত্তর স্বার্থে এটা করতেই পারেন। কিন্তু বিপত্তিটা অন্য জায়গায়। ওভার স্পিডের জন্য জরিমানা করছেন, গাড়ির কাগজ পত্র জব্দ করে মামলার কাগজ ধরিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু সেই জরিমানা ওনারা তাৎক্ষনিক আদায়ের কোন ব্যবস্থা করছেন না ফলে গাড়ির জব্দকৃত কাগজ সহসা ফেরৎ ও পাওয়া যাচ্ছে না। এই জরিমানার টাকা জমা দিতে হবে কিউ ক্যাশের মাধ্যমে। অথচ আপনি যেখানে দাড়িয়ে জরিমানা করছেন, তার ২০ বা ৩০ কিঃমিঃর মাঝেও হয়তো কোন কিউ ক্যাশের সুবিধা নেই। তার ফলে প্রথমতঃ আপনাকে কিউ ক্যাশের সুবিধা খুজতে হবে। সেখানে টাকা ডিপোজিট করার পরে হয় আবার আপনাকে কজ অব একশান অর্থাৎ যেখানে আপনি মামলা খেয়েছেন সেখানে ফেরৎ আসতে হবে কাগজের জন্য, যদি ওনারা ততটা সময়ে সেখানে থাকেন তো ভালো নতুবা সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করে কাগজ সংগ্রহ করতে হবে। কুরিয়ারে কাগজ ফেরৎ পাবেন কিনা সেই নিশ্চয়তাও পাওয়া যায় না।

ধরেন আপনি খুলনায় থাকেন। কোন একটি কাজে আপনি চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে গোপাল গঞ্জ বা ফরিদপুরে আপনি ওভার স্পিডের মামলা খেলেন। বা এমন একটি জেলা শহরে আপনি মামলা খেলেন, যেখানে আপনার আর ফিরে আসার কোন প্রয়োজনই নেই। তো কিউ ক্যাশ আশে পাশে না থাকাতে আপনি জরিমানার টাকা তাৎক্ষনিক দিতে পারলেন না। কাগজ রয়ে গেলো পুলিশের জিম্মায়। আপনি খুলনায় অথবা যেখানে কিউ ক্যাশ আছে সেখানে এসে কিউ ক্যাশে জরিমানা দিয়ে আবার কাগজ সংগ্রহের জন্যে যাবেন ফরিদপুর বা নির্দিষ্ট থানায়, যেখানে আপনার জব্দকৃত কাগজ সংরক্ষিত আছে। এটা একটি অতিরিক্ত ঝামেলা। মামলাও খেলেন, জরিমানাও গুনলেন, আবার সময় ও অর্থ খরচ করবেন পুনরায় কাগজ ফিরে পাবার জন্য।

তো আমার মনে হয় এই ক্ষেত্রে আমাদের আরো অগ্রনী হওয়া জরুরী। প্রয়োজনে তাৎক্ষনিক জরিমানা আদায়ের লক্ষ্যে স্পিড গান এর পাশাপাশি কিউ ক্যাশে বা অন্য কোন উপায়ে জরিমানা সংগ্রহের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। যেনো জরিমানাদাতাকে শুধুমাত্র কাগজ পাওয়ার জন্যে আবার নির্দিষ্ট কোন থানায় উপস্থিত হতে না হয় বা কিউ ক্যাশে খুঁজে বেড়াতে না হয়। এর পাশাপাশি যারা তাৎক্ষনিক জরিমানা দিতে পারবে না বা দিবে না, তাদের কাগজ জব্দ করে থানা হেফাজতে রাখার ব্যবস্থা করা এবং জরিমানা প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে কুরিয়ার বা পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে উক্ত কাগজ গাড়ির মালিকের নিকট পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করা উচিৎ।

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×