স্কুলের পাঠ্য বইতে যে সকল গদ্য পদ্য থাকে সেগুলোর মধ্যে একটা মেসেজ থাকে। যা শিক্ষার্থীর মেধা ও বিবেক জাগ্রত করে। নীতি নৈতিকতা, ভালো মন্দের জ্ঞ্যান বৃদ্ধি করে এবং শিক্ষার্থীগন সেই জ্ঞ্যান সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজে লাগায়। ছোট বেলায় আমরা রাখাল আর বাঘের গল্প পড়েছি। যেখানে শেখানো হয়েছে বারংবার মিথ্যামিথ্যি বাঘ আসার কথা বলে রাখাল সবাইকে অযথা হয়রানি করতো। কিন্তু সত্যি যেদিন বাঘ এলো সেদিন রাখালের ডাকে কেউ সাড়া দিলো না। তার মানে কখনোই মিথ্যা বলতে হয় না। আমরা পদ্যে পড়েছি কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কিরে কুকুরের কাজ, মানুষের শোভা পায়! অর্থাৎ মন্দ লোক যেমন ভাবে মন্দ কাজ করে, একজন সজ্জন সেইভাবে মন্দ কাজ করতে পারে না। এসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে ভালো কাজে উৎসাহ এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার মেসেজ বা বার্তা পাঠানো হয়।
পাঠ্যসূচিতে আরো নানা ধরণের গল্প কবিতা ও মণিষীদের জীবনে ঘটে যাওয়া নানা অবিস্মরণীয় ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে নীতি নৈতিকতা শিখানো হয়। কারণ স্কুলের বইতে যা আছে তা তাকে পড়তে হবে, এটি অন্য কোন গল্পের বই নয় যে, শখের বসে কেউ মন চাইলে পড়লো, কেউ পড়লো না তা নয়। সুতরাং স্কুলের পাঠ্য বইতে কি থাকবে না থাকবে সেটা সিলেকশন খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এখানে শরীফ শরীফার কাহিনী কতটা নৈতিকতা শেখাবে, শিক্ষার্থীদের কাছে কি মেসেজ পাঠাবে, সেটা নিয়ে কারা গবেষণা করেছে সেটা একটু খতিয়ে দেখা দরকার বলে আমি মনে করি। এই ধরণের কাহিনী পাঠ্য বইতে ছাপানোর পিছনে তাদের যুক্তিটা কি, এর মাধ্যমে তারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে কি মেসেজ দিতে চেয়েছেন, তাদের নিকট থেকে এই ব্যাখ্যা গ্রহণ করা খুবই জরুরী বলে আমি মনে করি। প্রয়োজনে হাইকোর্ট সুয়োমুটো রুল জারীর মাধ্যমে এই শরীফ শরীফা গল্পের নেপথ্যের কারিগরদেরকে সমাজের সামনে দাঁড়া করাক, এটাই প্রত্যাশা!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৮