এক ভদ্রলোক মাছ ,মাংস ,আপেল ,কমলা ইত্যাদি অনেক বাজার করে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে ।যাওয়ার সময় পথে দেখলো এক পাগল আলখেল্লা ছেড়া ফাটা কাপড় পড়ে বসে আছে আর ধূলো বালি জড়ো করে দাড়ি পাল্লা দিয়ে মাপ ঝোপ করছে ।ভদ্রলোকের কৌতহল হল ।সে জিজ্ঞাসা করলো এই পাগল এইসব কি করছ । পাগল বলল রিজিক বন্টন করছি ।বলেই হাসতে লাগলো ।ভদ্রলোক চলতে শুরু করবে এমন সময় পাগল হাসি থামিয়ে বলল এই যে তুমি এতকিছু বাজার করে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছ,তোমার কপালে তো আজ রিরজিক নাই ।বলেই আবার হাসতে শুরু করলো ।ভদ্রলোক রেগে বলল পাগলকোথাকার। ভদ্রলোক পাগলের আর কোন কথায় কান না দিয়ে সোজা হাটতে শুরু করলো ।
অনেক দিন পরে জামাই শ্বশুর বাড়ী এসেছে তাই যত্নের শেষ নেই ।কেউ এসে কোশল জিজ্ঞেস করছে কেউ হাত মখু ধোয়ার পানি এনে দিচ্ছে ইত্যাদি ।
শেষে জামাইকে খাবার দেওয়া হল ।শাশুড়ী খাবার নিয়ে এল। মাছ ,মাংস পোলাও,সাদাভাত ইত্যাদি স্তরে
স্তরে সামনে সাজনো হল ।সুস্বাদু খাবার হাতের কাছে দেখে হঠাৎ ভদ্রলোকের পাগলের কথা মনে পড়লো
।আর মনে মনে বলল ,ব্যাটা বলে কি আমার রিজিক নেই ।মনের অজান্তেই সে হেসে ফেলল । শাশুড়ী
থালায় ভাত দিচ্ছিলো আর ভদ্রলোকের শালার বউ শাশুড়ীকে যোগান দিচ্ছলো । ভদ্রলোকে হঠাৎহাসতে
দেখে সালার বউ ভাবলো এ কেমন বেয়াদবি ।শাশুড়ীকে দেখেহাসে, সে রেগে মেগে বের হয়ে গেল এবং তার স্বামীকে বলল।জামাই খুব বদমাস্। তোমার মাকে দেখে বিড় বিড় করে কি যেন বলছে আর হাসচ্ছে ।
শালা তার বউ এর মুখে একথা শুনে বলল কি এত বড় কথা । এই বলে একটা লাঠি নিয়ে বোন জামাইকে বেধর পেটাতে শুরু করলো ।একটু পরে শ্বশুর মশাই বাড়িতে এল ছেলের বউ তাকেও সে কথা বলল শ্বশুরও রেগে গিয়ে একটা লাঠি নিয়ে জামাইকে পেটাতে শরু করলো ।ভদ্রলোক কোন উপায় না দেখে নিজের বাড়ীর দিকে দৌড় দিল ।পথে আবার সেই পাগলের সাথে দেখা হল । পাগল বলল যা বলে ছিলাম ঠিক হয়েছে তো!ভদ্রলোক এবার নরম গলায় বলল ঠিকই বলেছ ।রিজিক কপালে না থাকলে হাতের কাছে সুস্বাদু খাবার পড়ে থাকলেও তা মুখে উঠেনা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৩