কিস্তি ১.
রেজওয়ান ভাই এই ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলার সময়ে লাইভ ব্লগিং করছিলেন। লাইভ ব্লগিং কনসেপ্ট নতুন না। আমরাও খেলার সময়ে করছি কম বেশি এইখানে, স্কোর আপডেট দিয়া। এইবার রান্নাঘর থেইকা লাইভ ব্লগিং প্রচেষ্টা।
দাড়ান এদিকে তেল পুড়িয়া গ্যালো বলিয়া। আসতেছি।
কিস্তি ২.
না তেল পুড়ে না
শ্যাজা পাবদা মাছের রেসিপি দিছে। পাবদা নাই কি করুম। স্টিং রে ফিসে রেসিপির কাঠামো পুরাটা মোটামুটি ঠিক রাইখা বন্ধন হইবেক।
নাম ভূমিকায় পাচক এই আমি। আমার ডিরেক্টর শ্যাজা।
কিস্তি ৩.
শ্যাজার রেসিপিটা পইড়া নিলাম আরেকবার। আমার মাছ ভাজা হইয়া গ্যাছে। স্টিং রে মাঝারি সাইজে কাটাইছিলো। হলুদ নুন দিয়া ভাজা সাড়া।
এবার ডাইরেকশন মতো পরের পর্বে যাইতাছি।
কিস্তি ৪.
আগেই কইছিলাম। রেসিপি পুরা ফলো করা সম্ভব না। হঠাৎ দেখা গ্যালো কালো জিরা নাই। কালো গুড়া গুড়া যা পাইলাম সেইটা পাঁচ ফোড়ন। আদাবাটা সহকারে, কাচা লংকা আর ঐ পাচ ফোড়ন দিয়া তেল নাড়লাম। এইবার পানি ঢালতে হইবেক।
কিস্তি ৫.
মাছেরা এইবার জলে সাতর কাটিতেছে।
কিস্তি ৬.
রান্না প্রায় খতম। অনেক তাড়াতাড়ি হইছে। এইটাই চাইতাছিলাম। খানা ক্যামন হইছে পরে আপডেট দিমু।
রান্নাঘর হইতে লাইভ ব্লগারদের জন্য টিপস:
০. ল্যাপটপ এবং ঘরে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সিগনাল এবং রান্নাঘরে ল্যাপটপ রাখার নিরাপদ জায়গা থাকা প্রি রিকুইজিট।
১. ভাজা ভাজির সময়ে ব্লগিং আপডেট তারাই করেবন যারা ঝড়ের বেগে বাংলা টাইপ পারেন।
২. চুলার জ্বাল সদাসবসময় মাঝারি থেইকা কমে থাকবে, স্পেশালী তেলের কারবারে। নাইলে বুইঝেন। ব্লগিংই হইবো আর না খায়া থাকতে হইবো, বিকল্প: কয়লা খাইতে হইবো।
৩. কীবোর্ড ফেরত যাওয়ার আগে হাতে হলুদ তেল ঝটপট ধুইয়া ভালো টিসু দিয়া মুইছেন। আমি অবশ্য পড়নের জিনসে সেইটা সারলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০০৭ রাত ৯:০৬