somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হু লেট দা ডগস আউট। নোটিশবোর্ডের আরেকটু প্রোএ্যাক্টিভ হওয়া প্রসঙ্গে

০৫ ই জুন, ২০০৭ দুপুর ১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'হু লেট দা ডগস আউট, হুফ! হুফ! ।
হোয়েন দি পার্টি ওয়াজ নাইস, দি পার্টি ওয়াজ জাম্পিন
এন্ড এভরিবডি হ্যাভিন এ বল
আই টেল দা ফেলাজ, 'স্টার্ট দা নেম কলিন"
এন্ড দা গার্লস রিপোর্ট টু দা কল
দা পুওর ডগ শো ডাউন।

হু লেট দা ডগস আউট, হুফ! হুফ!'
- বাহা মেনের গানের লিরিক থেকে।

১.
যারা অত্র ব্লগাঞ্চলে নতুন অথবা তুলনামূলকভাবে নতুন তাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখা দরকার যে আমরা অসম্ভব ভালো সময় কাটিয়েছি এই সামহোয়্যার ইন ব্লগে, হাতে গোনা কয়েকটা মাস আগেও। আরো কাটাবো সামনে নি:সন্দেহে। প্রথমদিকের অসাধারন শেয়ারিং ছিলো, তুখোড় বিতর্ক ছিলো, মেধাবী ভিন্নমতের মিথস্ক্রিয়া ছিলো। সেগুলো এখনো হারায়নি। এই ব্লগেরই পাতায় পাতায় আছে।

অগ্রজ শোহেইল মতাহিরের নানান বৈচিত্রের পোস্ট, শুভর চোখে পানি নামিয়ে আনা লেখাগুলো, অমি রহমান পিয়ালের অসম্ভব রকমের মূল্যবান মুক্তিযুদ্ধের সত্যকথন, অপবাকের সম্পূর্ন অন্যমাত্রার অন্যচিন্তার পরিচ্ছন্নতা, রাসেলের তীক্ষন সব বিশ্লেষন, শেখ জলিলের মনছুয়ে যাওয়া কবিতা, আড্ডাবাজের আড্ডার আসর, তীরন্দাজের অনেকরকমের ডায়েরী, সুমন চৌধুরীর টোপ আর কেঁচো, আস্তমেয়ের যুক্তিখন্ডন, হিমুর বোম্বাস্টিক হাসির লেখা, অরূপের অফিসের ছোট ছোট কথা, হাসান মোরশেদের ম্যাচিউরড লেখা, মাশীদের কবিতা, স্বরহীনের মনের কথা, সাকিবের পাগলামি, ধুসর গোধুলীর মজার মজার কমেন্টস আর কখনো খুব সিরিয়াস ভালো লেখা, ব্রাত্য রাইসুর স্কেচ বা তর্ক, লন্ডনী হাসানের সরল ডায়েরী, উতসের সিরিয়াস পোস্টগুলো, দীক্ষক দ্রাবিড়ের মেধাবী লেখাগুলো ... কাকে রেখে কার কথা বলি। সবাই খুব আপন নাম। খুব মেধাবী নি:সন্দেহে।

কি নিয়ে আমরা মেতে উঠি নাই তর্ক বিতর্কে বলেন তো? ধর্ম থেকে শুরু করে রাজনীতি, খুনসুটি, আবেগ, ভালোবাসা - খোদার আকাশের নীচে হ্যান বিষয় নাই হয় নাই। আমার স্পষ্ট মনে আছে দাগের এইপাশে দাড়িয়ে আমি, ওইপাশে হাসিমুখ একবার সমকামিতা প্রসঙ্গে তর্ক করছিলাম। কই পুরো ভিন্নমতের হয়েও তো আমাদের গালাগালি করতে হয় নাই।

ভিন্ন মত নিয়ে অপবাকের সাথে আস্তমেয়ের অথবা দীক্ষক দ্রাবিড়ের সাথে অন্যদের, মহুয়া মঞ্জুরীর সাথে অমি পিয়াল দারুন দারুন মজার সব মিথস্ক্রিয়া, তর্ক আছে। ধর্ম নিয়া সুপার মজার সব তর্ক হইছে শোহেইল, অপবাক, সাদিক, দীক্ষক, আস্ত, সুমন অনেকের ভিতরেই। এতই এনগেজিং, এতই উপভোগ্য যে তা জায়গা করে নিয়েছে অপরবাস্তব বইটাতেও।

তখন কিন্তু খেপে গিয়ে কারো মধ্যবয়স্ক রমনীর থলথলে ভুড়ির বা বক্ষবন্ধনী সম্বলিত পোস্ট দিয়ে মানসিক বিকার প্রমান করতে হয় নাই। পুংযৌনাঙ্গ অথবা পশ্চাতদেশের ছবি দিয়াও পোস্ট করার দরকার হয় নাই।

২.
মাঝখানে প্রচন্ড রকম নোংরা পোস্ট এসেছে। আমরা কেন যেন খুব মনে হয় ঐ পোস্টগুলো যারা করেন তারা আমাদের রথিমহারথি এবং সো-কলড সেলিব্রেটি ব্লগারদের ভিতরেই কেউ কেউ। প্রায় পর্নো স্টাইলের ঐ পোস্টগুলো অথবা প্রচন্ড উদ্দেশ্যমূলক দেশকে হেয় করা, মুক্তিযুদ্ধকে অবজ্ঞা করা (৩০লক্ষে প্রাণ উৎসর্গ নিয়ে মশকরা) পোস্টগুলো ব্লগের পাতায় আসা বন্ধ করার একটাই উপায়। তা হলো দৃষ্টান্তমূলকভাবে এ ধরনের পোস্টকারীর আইপি প্রকাশ করা। এর বিকল্প নাই। ব্যান করা কাজের কাজ না। আরেকটা নিক খোলা ২০ সেকেন্ডের মামলা।

পোস্টের টাইমিং এবং সাপোর্ট প‌্যাটার্ন দেখে সহজেই অনুমেয় ঐ ধরনের পোস্ট তারাই করবে যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্লগে আছেন। ব্লগের ইস্যু, তর্ক যাদের জানা। আলোয় আসা দরকার কোন সেলিব্রেটি ব্লগ বা ব্লগারগন - এক নিকে নিদারুন ভদ্র পোস্ট, আরেক নিকে সফট পর্নো পোস্ট করেন। এক নিকে ধর্ম করে, আরেক নিকে অন্যের বয়স্কা (অথবা পরলোকগত) মায়ের সাথে সঙ্গম ইচ্ছা প্রকাশ করেন। অসভ্যতার সীমা থাকা দরকার।

আমাদের বোধহয় একটু লজ্জা পাওয়া দরকার আছে মাঝেমধ্যে। নোটিশবোর্ডকে অনুরোধ এরকম পরিস্থিতিতে আরেকটু প্রোএ্যাক্টিভ এ্যাকশন নিতে। শুধুমাত্র তাদের আইপি প্রকাশিত হোক। ম্যাচড হোক অন্য নিকের এ্যাগেইন্সটে। হু লেট দা ডগস আউট - উত্তরটা পাওয়া যাবে।

৩.
ব্লগের অস্থির সময়ে যারা নিজেরাও অস্থির তাদের বলি, একটু সময় দিন। ঘোলা জলের অস্থির সেডিমেন্ট থিতাতে একটু সময় লাগে। আপনাদের ভালো লেখাই এই অস্থির সময়ের গুমোটভাব কাটাতে পারে।

সিনিয়ার ব্লগাররা ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে কনট্রিবিউট করেন। ডগসদের ঘেউ ঘেউ আপনাতেই থামবে। ভালো লেখা পড়তেই এখানে সবাই আসে, কাউ কাউ পড়তে না।

৪.
বাহা মেন গেয়ে চলে,
'হু লেট দা ডগস আউট, হুফ! হুফ!'
আমিও তালে তালে মাথা দুলাই।

আসলেই!

হু লেট দা ডগস আউট?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০০৭ দুপুর ২:৩৭
৩৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×