somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাফেরদের দেবতাদের নামে আল্লাহর ৯৯ নাম : গাফফার চৌধুরী ইসলাম থেকে খারিজ

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবার ধর্ম নিয়ে কথা বললেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। বললেন, আল্লাহর ৯৯ গুণবাচক নাম কাফেরদের দেবতাদের নাম ছিলো। এগুলো ইসলাম ‘এডপ্ট‘ করে, পরে বাংলা ভাষাও এডপ্ট করে। এগুলো এখন আরবি শব্দ। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যেমন আবু হুরায়রা নামের অর্থ হচ্ছে বিড়ালের বাবা, আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে ছাগলের বাবা। এভাবে আমরা অনেকে নাম রাখি। তিনি বলেন, সাত শ' বছর ধরে আমরা ‘নামাজ’, ‘খোদা হাফেজ’ শব্দ বলেছি। এখন ‘সালাত’, ‘আল্লাহ হাফেজ’ শব্দে পরিণত হয়েছে। এগুলো ওহাবিদের সৃষ্টি। তিনি নিজে কিছুদিন মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন দাবি করে বলেন, এখন যে ইসলাম ধর্ম চলছে তা বাড়াবাড়ির ইসলাম। রসুলুল্লাহর (সা) সময় মেয়েরা কাবা ও রওজা শরিফের মধ্যে প্রবেশ করতে পারতো। এখন পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আব্দুল গাফ্ফার বলেন, আমেরিকানরা তালেবান সৃষ্টি করে এখন বিপদে পড়েছে। আর বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী দ্বীনে মোহাম্মদী নয়, তারা হচ্ছে দ্বীনে মওদুদী। হিজাব এবং বোরখা হচ্ছে মওদুদীর শেষ মতবাদ। আর জামায়াতে ইসলামী এক সময় কোরবানির গরুর চামড়া বিক্রির পয়সায় চলতো। আমেরিকার পতনের সাথে সাথে এদেরও পতন হবে। শুধু শুধু সাদ্দাম ও গাদ্দাফিকে হত্যা করা হলো ইসরাইলকে নিরাপদ করার জন্য।
তিনি বলেন, আল্লাহর রহমত বাংলাদেশ যদি পাকিস্তান থেকে আলাদা না হতো বাংলাদেশেও আজ তালেবান হামলা হতো। রক্তের গঙ্গা বয়ে যেতো।
সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকী এখানে (নিউ ইয়র্ক) কী বলে গেছে, এর জন্য আজও বাংলাদেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক লেকচার সিরিজে একমাত্র বক্তা হিসাবে এসব কথা বলেন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, হিন্দুদের মধ্যে যেমন গোরামি আছে, ইসলাম ধর্মেও মধ্যেও গোরামি আছে। ইসলাম ধর্মে আছে, বিধর্মীকে কতল করো। তাহলে তো রসুলুল্লাহ (সা) মক্কা জয়ের পর একটি কাফেরকেও হত্যা করেননি। তিনি বলেন, অমুকে রসুলুল্লাহ (সা)-এর বিষয়ে ব্লগে লিখেছে বলে তাকে কতল করতে হবে।


আমি বেঁচে থাকবো কি না জানি না, তবে আজকে একটা কথা বলতে পারি আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে দুটি রাষ্ট্র বিলুপ্তি হবে। কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি এ দুটি রাষ্ট্র হচ্ছে পাকিস্তান ও ইসরাইল। একটি দেশ দক্ষিণ এশিয়াকে অশান্ত করে রেখেছে, আরেকটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যকে অশান্তির মধ্যে রেখেছে। আমেরিকার পতনের সাথে সাথেই এদের পতনহবে। সৌদি আরবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এর নাম সৌদি আরব হবে কেন। তারা রসূলের (সা) অনুসারী হলে এর নাম হবে মোহাম্মদিয়া। কাবা শরিফের দরজাগুলোর নাম বাদশাহদের নামে দেয়া হয়েছে। কোনো সাহবিদের নামে নয়।
বোরখা এবং হিজাব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল গাফ্ফার বলেন, এটা হচ্ছে ওয়াহাবিদের সর্বশেষ মতবাদ। বাংলাদেশে ধর্মীয় উন্মাদনা ও আচার-আচরণ প্রসঙ্গে গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে একটা সময় ইরানের ধর্মীয় আচার-আচরণের প্রভাব ছিল। সম্প্রতিকালে সৌদি আরবের আচার-আচরণ বইছে। আগে খোদা হাফেজ বলতাম, এখন বলা হয় আল্লাহ হাফেজ। নারীদের উৎসাহিত করা হয় হিজাব পরতে। হিজাব একটি আরব সংস্কৃতির পোশাক, বাঙালির নয়। বাংলাদেশে নারীদের শাড়ি-টিপ পরা - এগুলোর সবই হিন্দুত্ব উল্লেখ করে আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, একবার প্রেসক্লাবের সামনে কিছু নারী ভারতীয় পণ্য আমদানির বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করছিলেন। তাদের সবার পরনে ছিল ভারতীয় শাড়ি। তিনি বাংলাদেশে বিয়েতে হিন্দুত্বের প্রভাব প্রসঙ্গে বলেন, বিয়েতে সাত পকে বাঁধা ছাড়া সবই আমরা করে থাকি। বর্ষবরণ থেকে শুরু করে সর্বত্রই মিল রয়েছে।
তিনি বলেন, গঙ্গার পানিতে আমরা ওজু করতে পারবো না, অথচ গঙ্গার পানির হিস্যা চাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরশাদ আগে আটরশি পীরের কাছে যেতেন। এখন সবাই মাজারে যান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। এরপর আর কিছু থাকে না। মেজর জিয়া একটি বাণী পাঠ করলেই স্বাধীনতার ঘোষক হয়ে যেতে পারেন না। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ঘৃণা করেন উল্লেখ করে গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মেজর জিয়ার সঙ্গে এক মাস থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। জিয়া কখনো যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করেননি। তিনি শুধু পকেট থেকে চিরুনি বের করে চুল ঠিক করতেন আর খবর নিতেন কোনো রাষ্ট্রদূত আসছে কি না। আমি ওই সময় থেকেই জিয়াকে ঘৃণা করি। এছাড়া পরে তার জেড ফোর্সই ভেঙে দেয়া হলো।
মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং শিক্ষার প্রসার না ঘটলে জামায়াতসহ ইসলামী মৌলবাদী শক্তি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও অসম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে পারে বলে আশংকা করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের দোষ-ত্রুটি আছে। তারপরও বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। দুর্নীতি রোধ করতে পারলে এবং শিক্ষা ও অর্থনীতিতে আরো উন্নয়ন ঘটালে দেশ একটি ঈর্ষণীয় গন্তব্যে পৌছতে পারবে। তিনি বলেন, যত দিন আমাদের ভাষা থাকবে, রবীন্দ্রনাথ থাকবে, বঙ্গবন্ধু থাকবে ততদিন বাংলাদেশকে তালেবান ধ্বংস করতে পারবে না। আমি বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, মৌলবাদী রাষ্ট্র আমরা চাই না, আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই। বাংলাদেশে একবার স্বৈরাচার আইয়ুব এসে বলেছিলেন বাঙালিরা হচ্ছে দাসের জাতি, বুটের তলায় পৃষ্ঠ জাতি।
তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিকল্প নেতা সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনার পর এই দলের নেতৃত্বে কে দেবেন এটা নির্ধারণ করা হয়নি। এটি নির্ধারণ না হলে বিরোধীরা ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় চলে যেতে পারে। বর্তমান বিরোধী দলকে প্রয়োজনে সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি সংসদ বর্জন করার কারণে এ বিরোধী দল তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সুস্থ বিরোধী দল তৈরি কঠিন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস পরিবর্তন করা যায়। একজন মুসলমান তার ধর্ম পরিবর্তন করে খ্রিস্টান হতে পারেন। কিন্তু জাতীয়তা পরিবর্তন করা যায় না। আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বক্তব্যের শুরুতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি, এর ব্যবহার, হাজার বছর আগে ও পরে বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষা বর্জনের ইতিকথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনেক ভাষার শব্দ এসে মিশে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। কাজী নজরুল ইসলাম তার অনেক কবিতায় আরবি ও ফার্সি শব্দ ব্যবহার করেছেন। এজন্য তাকে সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে। এমনকি রবীন্দ্রনাথও নজরুলের সমালোচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ চলিত বাংলার চেয়ে সাধু বাংলার প্রতি সমর্থন করেছিলেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের মুখের কথাই আজ বাংলা ভাষার সম্ভার। এই ভাষা বাংলাদেশ থেকে কখনও হারিয়ে যাবে না।
অনুষ্ঠানে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা স্মারক ও গ্রন্থ প্রদান করা হয়।
কাফেরদের দেবতাদের নামে আল্লাহর ৯৯ নাম : গাফফার চৌধুরী

কাফেরদের দেবতাদের নামে আল্লাহর ৯৯ নাম
কাফেরদের দেবতাদের নামে আল্লাহর ৯৯ নাম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী পন্থী বুদ্ধিজিবী আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
নারীর পর্দা ও আরবী ভাষা নিয়েও বিরুপ মন্তব্য করেছেন তিনি।
নিউইয়র্কে ৩ জুলাই বিকেলে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় করা এই মন্তব্য নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে নিউইয়র্কে হজ ও তবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তার ফাঁসির দাবিতে হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামী দল বিক্ষোভ করেছে। মন্ত্রিত্ব হারালেও লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রয়েছেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘আজকের আরবী ভাষায় যেসব শব্দ; এর সবই কাফেরদের ব্যবহৃত শব্দ। যেমন- আল্লাহর ৯৯ নাম, সবই কিন্তু কাফেরদের দেবতাদের নাম। তাদের ভাষা ছিল আর-রহমান, গাফফার, গফুর ইত্যাদি। সবই কিন্তু পরবর্তীতে ইসলাম এডাপ্ট করেছিল।’
নারীদের বোরকা ও হিজাব নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে এটা হচ্ছে ওহাবিদের লাস্ট কালচারাল ইনভলব। আমি অবাক হচ্ছি। ক্লাস টুয়ের মেয়েরা হায়েজ-নেফাজ পড়বে! এটা আমাদের ধর্ম শিক্ষা হতে পারে?’
তিনি বলেন, ‘মুসলমান মেয়েরা মনে করে হিজাব, বোরকা হচ্ছে ইসলামের আইডিন্টিটি। আসলে কী তাই? বোরকা পরে যাচ্ছে কিন্তু প্রেম করছে। আবার ইন্টারনেটেও প্রেম করছে। আচরণ ওয়েস্টার্ন কিন্তু বেশভূষা ইসলামিক করে আত্ম-প্রতারণা করছে তারা।’
আওয়ামীপন্থী এই কলাম লেখক বলেন, ‘এখন যুগ পাল্টেছে। এখন বাংলাদেশে বোরকা পড়ার বিপক্ষে অনেকেই জেগে উঠেছে। এসব ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
রাসুল আর রসুল্লাহ শব্দটি এক নয় দাবি করে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘রসুল মানে দূত, অ্যাম্বাসেডর। রসুলে সালাম মানে শান্তির দূত। রসুল বললেই আপনারা মনে করেন হযরত মুহম্মদ (সা.), তা কিন্তু নয়। যখন রসুল্লাহ বলবেন তখন মনে করবেন আল্লাহর প্রতিনিধি। এখন মোমেন ভাই আমেরিকায় থেকে যদি বলেন কিংবা আমি নিজেকে রসুল দাবি করলে কল্লা যাবে।’
কিছুদিন মাদ্রাসায় পড়ার কথা উল্লেখ করে গাফফার চৌধুরী আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হাদিস সংগ্রহকারী আবু হুরায়রা নামের অর্থ হচ্ছে বিড়ালের বাবা। আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে ছাগলের বাবা। কাফেরদের মধ্যে যারা মুসলমান হয়েছিল পরবর্তীতে তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি।’
গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘পুরো দেশ এখন দাড়ি-টুপিতে ছেঁয়ে গেছে। সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টুপি আর দাড়ির সমাহার। অথচ তারা ঘুষ খাচ্ছেন। এত বড় দাড়ি, এত বড় টুপি; কিন্তু ঘুষ না পেলে ফাইলে হাত দেন না- এটা কী ইসলামের শিক্ষা?’
ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে মন্ত্রিত্ব হারানো আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে সাফাই গান তিনি। অনেকটা রসিকতার সুরে তিনি বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী কী এমন বলেছিল? তাকে বিপদে পড়তে হয়েছে। তার জন্য আজকে দেশে আন্দোলন হচ্ছে। এসবই হচ্ছে ওহাবীয় মতবাদ ও মাওলানা মওদুদীর চাপিয়ে দেওয়া সংস্কৃতি, যা আমাদের বাংলা ভাষার মধ্যে ঢুকে পড়েছে।’
গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের মগজধোলাই করে জামায়াত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। তারা প্রকৃত ইসলামী অনুশাসনে বিশ্বাসী নয়। এরা দীনে মোহাম্মদী নয়; দীনে মওদুদী। আবদুল ওহাব নামে কট্টর এক ব্যক্তির ধারায় এ অঞ্চলে ওহাবী মতবাদ চাপিয়ে দেয় সৌদি আরব।’
বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের উত্থান প্রসঙ্গে এই লেখক বলেন, ‘আমেরিকা তালেবান সৃষ্টি করে বিপদে পড়েছে। আর ব্রিটিশরা ভারত বর্ষকে ভেঙে টুকরো করার পাশাপাশি ইসলামী মতবাদকেও বিভক্ত করেছে পাকিস্তানকে দিয়ে।’
তিনি জানান, পরবর্তীতে যা সৌদি ও ইরানের অর্থায়নে এ অঞ্চলে ওহাবী মতবাদ মাওলনা মওদুদীকে দিয়ে জামায়াতের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। অথচ এই পাকিস্তানই ৫০ হাজার কাদিয়ানী হত্যার দায়ে মাওলানা মওদুদীর ফাঁসির রায় দিয়েছিল। পরবর্তীতে যদিও ফাঁসি কার্যকর করতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘এভাবে মুসলমানে মুসলমানে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন ওহাবী ইজম। আমি তো মনে করি শেখ হাসিনার শত ভুলত্রুটি থাকলেও আজকে সিম্বল অব সেক্যুলারিজমের জনক হচ্ছেন তিনি। সে শক্ত হাতে এ সব দমন না করলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যেত।’
গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘যত দিন আমাদের মনে তিনটি প্রাচীর থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ নিরাপদ। বাংলা ভাষা, রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু। এই তিনটি প্রাচীর থাকলেই তালেবানরা বাংলাদেশকে দখল বা ধ্বংস করতে পারবে না।’ আলোচনায় মূল বিষয়ের বাইরে গিয়ে আল্লাহ ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই বিব্রতবোধ করেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ডের আহ্বায়ক আবদুল মুকিত চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা যে দল কিংবা মতের হই না কেন, আল্লাহ, নবী, ইসলাম ও নারীর পর্দা নিয়ে এ সব কথা বলা উচিত নয়।’


আল্লাহর ৯৯ নাম কাফের-দেবতাদের -আবদুল গাফফার চৌধুরী
লন্ডন প্রবাসী প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি মনে করি শেখ হাসিনার শত ভুলত্রুটি থাকলেও তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশে সিম্বল অব সেক্যুলারিজমের জনক’। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার মতো ইস্পাতরূপী নেত্রী পেয়েছে। তিনি মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সাহস নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন। তাকে ৯ বার হত্যার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। আমি হলে ভয়ে চলেই যেতাম কিন্তু তিনি সাহসের সাথে লড়াই করে যাচ্ছেন। গত ৩ জুলাই নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাসুল ও রাসুলুল্লাহ’র ব্যাখা দিয়ে তিনি বলেন, ‘রসুল মানে দূত, অ্যাম্বাসেডর। রসুলে সালাম মানে শান্তির দূত। রসুল বললেই আপনারা মনে করেন হযরত মুহাম্মদ (সা.) তা কিন্তু নয়। যখন রাসুলুল্লাহ বলবেন তখন মনে করবেন আল্লাহর প্রতিনিধি। এখন মোমেন ভাই (জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি) আমেরিকায় থেকে যদি বলেন, কিংবা আমি নিজেকে রাসুল দাবি করলে কল্লা যাবে।’ আল্লাহর ৯৯ নাম কাফেরদের আর দেবতাদের নাম বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার এ বক্তব্য নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আলোচনায় মূল বিষয়ের বাইরে গিয়ে আল্লাহ ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই বিব্রতবোধ করেন। ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ডের আহ্বায়ক আবদুল মুকিত চৌধুরী বলেন, বক্তব্যের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা যে দল কিংবা মতের হই না কেন, আল্লাহ, নবী (সা.), ইসলাম ও নারীর পর্দা নিয়ে এ সব কথা বলা উচিত নয়। খবর এনা। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো ছাড়াও বাংলা ভাষার প্রায় সবগুলো অনলাইনে এ খবর ছাপা হয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘আজকের আরবি ভাষায় যেসব শব্দ; এর সবই কাফেরদের ব্যবহৃত শব্দ। যেমন আল্লাহর ৯৯ নাম, সবই; কিন্তু কাফেরদের দেবতাদের নাম। তাদের ভাষা ছিল আর-রহমান, গাফফার, গফুর ইত্যাদি। সবই কিন্তু পরবর্তীতে ইসলাম এডাপ্ট (সংযোজন) করেছিল।’ নারীদের বোরকা ও হিজাব নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এটা হচ্ছে ওহাবিদের লাস্ট কালচারাল ইনভলব। আমি অবাক হচ্ছি। ক্লাস টু’য়ের মেয়েরা হিজাব, বোরকা পড়বে! এটা আমাদের ধর্ম শিক্ষা হতে পারে? মুসলমান মেয়েরা মনে করে হিজাব, বোরকা হচ্ছে ইসলামের আইডিন্টিটি। আসলে কী তাই? বোরকা পরে যাচ্ছে কিন্তু প্রেম করছে। আবার ইন্টারনেটেও প্রেম করছে। আচরণ ওয়েস্টার্ন কিন্তু বেশভুষা ইসলামিক করে আত্ম-প্রতারণা করছে তারা।’কট্টর আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত লেখক গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ‘এখন যুগ পাল্টেছে। এখন বাংলাদেশে বোরকা পরার বিপক্ষে অনেকেই জেগে উঠেছে। এসব ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’ রাসুল ও রাসুলুল্লাহ এক নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রসুল মানে দূত, অ্যাম্বাসেডর। রসুলে সালাম মানে শান্তির দূত। রসুল বললেই আপনারা মনে করেন হজরত মুহাম্মদ (সা.), তা কিন্তু নয়। যখন রসুলুল্লাহ বলবেন তখন মনে করবেন আল্লাহর প্রতিনিধি। এখন মোমেন ভাই আমেরিকায় থেকে যদি বলেন কিংবা আমি নিজেকে রসুল দাবি করলে কল্লা যাবে।’কিছুদিন মাদ্রাসায় পড়ার কথা জানিয়ে গাফফার চৌধুরী আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হাদিস সংগ্রহকারী আবু হুরায়রা নামের অর্থ হচ্ছে বিড়ালের বাবা। আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে ছাগলের বাবা। কাফেরদের মধ্যে যারা মুসলমান হয়েছিল পরবর্তীতে তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি।’ বাংলাদেশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরো দেশ এখন দাড়ি-টুপিতে ছেঁয়ে গেছে। সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টুপি আর দাড়ির সমাহার। অথচ তারা ঘুষ খাচ্ছেন। এত বড় দাড়ি, এত বড় টুপি; কিন্তু ঘুষ না পেলে ফাইলে হাত দেন না- এটা কী ইসলামের শিক্ষা?’ নবী (সা.), হজ ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে মন্ত্রিত্ব হারানো আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে সাফাই গেয়ে রসিকতার সুরে এই ইসলামবিদ্বেষী লেখক বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী কী এমন বলেছিল? তাকে বিপদে পড়তে হয়েছে। তার জন্য আজকে দেশে আন্দোলন হচ্ছে। এসবই হচ্ছে ওহাবীয় মতবাদ ও মাওলানা মওদুদীর চাপিয়ে দেয়া সংস্কৃতি। যা আমাদের বাংলা ভাষার মধ্যে ঢুকে পড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের মগজধোলাই করে জামায়াত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। তারা প্রকৃত ইসলামী অনুশাসনে বিশ্বাসী নয়। এরা দীনে মোহাম্মদী নয়; দীনে মওদুদী। আবদুল ওহাব নামে কট্টর এক ব্যক্তির ধারায় এ অঞ্চলে ওহাবী মতবাদ চাপিয়ে দেয় সউদী আরব।’ বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের উত্থান প্রসঙ্গে তথাকথিত প্রগতিশীল এই লেখক বলেন, ‘আমেরিকা তালেবান সৃষ্টি করে বিপদে পড়েছে। আর ব্রিটিশরা ভারত বর্ষকে ভেঙে টুকরো করার পাশাপাশি ইসলামী মতবাদকেও বিভক্ত করেছে পাকিস্তানকে দিয়ে।’ তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে সউদী আরব ও ইরানের অর্থায়নে এ অঞ্চলে ওহাবী মতবাদ মাওলানা মওদুদীকে দিয়ে জামায়াতের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ এই পাকিস্তানই ৫০ হাজার কাদিয়ানী হত্যার দায়ে মাওলানা মওদুদীর ফাঁসির রায় দিয়েছিল। পরবর্তীতে যদিও ফাঁসি কার্যকর করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘এভাবে মুসলমানে মুসলমানে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন ওহাবী ইজম। আমি তো মনে করি শেখ হাসিনার শত ভুলত্রুটি থাকলেও আজকের বাংলাদেশে সিম্বল অব সেক্যুলারিজমের জনক হচ্ছেন তিনি। সে শক্ত হাতে এ সব দমন না করলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যেত।’ নিজের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যত দিন আমাদের মনে তিনটি প্রাচীর থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ নিরাপদ। বাংলা ভাষা, রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু। এই তিনটি প্রাচীর থাকলেই তালেবানরা বাংলাদেশকে দখল বা ধ্বংস করতে পারবে না।’ বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন যে বিরোধী দল রয়েছে এটাকে গণতান্ত্রিক বিরোধী দল বলা যায় না। এটা হচ্ছে প্রয়োজনের বিরোধী দল। পাকিস্তান থেকে বিভক্ত হয়ে আমাদের ভালই হয়েছে। তা নাহলে এতদিন আমাদের দেশে ড্রোন হামলা হতো। মাদ্রাসা এবং মসজিদগুলো তালেবানরা দখল করে নিতো। আমাদের সৌভাগ্য হচ্ছে আমরা আগে বাঙালি তারপরে মুসলমান। আমি ধর্ম পরিবর্তন করতে পারি বাঙালিত্ব নয়। যে কারণেই বাংলাদেশ ধ্বংস হবে না, বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, আমার হয়ত ভুল হতে পারে। কিন্তু আমার একটি বিশ্বাস আছে। সেই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই আমি লিখছি। আমি বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, মৌলবাদী রাষ্ট্র আমরা চাই না, আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একবার স্বৈরাচার আইয়ুব এসে বলেছিলেন বাঙালিরা হচ্ছে দাসের জাতি, বুটের তলায় পিষ্ট জাতি। সেই সময় এই স্বৈরশাসকের কেউ বিরোধিতা করেনি। একজন বিরোধিতা করে বলেছিলেন বাঙালি সংগ্রামের জাতি আর পাঞ্জাবিরা হচ্ছে দাসের জাতি। এই কথাটি বলেছিলেন কবি সুফিয়া কামাল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি জটিল হলেও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভাল। বাঙালি জাতি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অক্ষুণœ রাখবে। তিনি বলেন, আমি জিয়াউর রহমানকে ঘৃণা করি। কারণ, তাকে আমি দেখেছি যুদ্ধের সময়। সাবুরা সেক্টরে আমি তার সাথে ছিলাম। সে সারাক্ষণ মাথার চুল চিরুনী দিয়ে আচড়াতো আর খবর নিতো কোন রাষ্ট্রদূত আসছে কি না? এখন কী না তাকেই বলা হচ্ছে স্বাধীনতার ঘোষক। অথচ সে একটি মাত্র বাণী পাঠ করেছিল। তিনি খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বেগম জিয়া আওয়ামী লীগের সমালোচনা করতে পারেন; কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করেন কীভাবে? তিনি বঙ্গবন্ধুকে ধর্মের বাবা ডেকেছিলেন। তিনিই তার সংসার রক্ষা করেছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি ও মৌলবাদ। বাংলাদেশের বিচারালয় থেকে শুরু করে সর্বত্রই দুর্নীতিবাজরা গডফাদারে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতিবাজদের ফাঁসি দিতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার হচ্ছে মানুষ আর আগের সরকারগুলো ছিল রোবট

গাফফার চৌধুরী ইসলাম থেকে খারিজ
বিশিষ্ট কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম নিয়ে তামাশা করেছেন বলে দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তাঁদের মতে, গাফফার চৌধুরী ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে মুরতাদ হয়ে গেছেন। তওবা করে আবারও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি মুসলমান পরিচয় বহন করতে পারবেন না।

হেফাজতে ইসলাম গাফফার চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে। নয়তো সারা দেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

আজ রোববার সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সই করা এক যুক্ত বিবৃতিতে এই সব কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে গাফফার চৌধুরীর নাগরিকত্ব বাতিল করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে কোনোভাবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ার দাবিও জানায় হেফাজতে ইসলাম। এমনকি তাঁকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হলে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেয় তারা।

গাফফার চৌধুরীর উদ্দেশে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মহান আল্লাহ, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর সাহাবাদের নিয়ে জঘন্য উক্তি করে তিনি ধৃষ্টতার সব সীমা ইতিমধ্যে অতিক্রম করেছেন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি নবীপ্রেমিক মুসলিম জনতা ধর্মত্যাগী এ মুরতাদের ফাঁসি চায়। জনদাবি উপেক্ষা করে তাঁকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হলে ব্যাপক গণপ্রতিরোধ শুরু হবে।’

আবদুল গাফফার চৌধুরীর বক্তব্যে দেওয়া তথ্য ও মন্তব্যগুলো ঈমান পরিপন্থী, অসত্য ও চরম বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটি বলছে, ‘আরবি ভাষা ও ইসলামের ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে পাণ্ডিত্য জাহির করতে গিয়ে তিনি একদিকে তার মুর্খতা ও অন্যদিকে আল্লাহদ্রোহিতাই প্রকাশ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আল্লাহর ৯৯ নাম সবই কিন্তু কাফেরদের দেবতার নাম...সবই কিন্তু ইসলাম এডাপ্ট করেছে।’’ এটা নির্জলা মিথ্যা ও সর্বৈব অবাস্তব তথ্য। এরূপ মন্তব্য শিরক ও আল্লাহর অবমাননার শামিল। এমন উক্তির পর কেউ মুসলমান থাকতে পারে না।

এ ছাড়া মেয়েদের হিজাব ও মাসিক রজঃস্রাব ইত্যাদির বিধান সম্পর্কেও গাফফার চৌধুরী কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বলেও জানায় হেফাজতে ইসলাম।

বিবৃতির সবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সরকারপ্রধান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, গাফফার চৌধুরী ও লতিফ সিদ্দিকীদের মতো বিষধর সাপগুলোকে সময় থাকতে যদি শায়েস্তা করা না হয় তাহলে বর্তমান সরকারের অপমৃত্যুর জন্য কোনো বিরোধীদল ও রাজনৈতিক আন্দোলনের দরকার হবে না। নিজেদের কল্যাণ ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে লতিফ সিদ্দিকী ও তাঁর নব্যদোসর গাফফার চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় সারা দেশে সর্বস্তরের আল্লাহ ও রাসুল প্রেমিক লাখো জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।’

গত শুক্রবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আল্লাহর গুণবাচক ৯৯টি নাম নিয়ে মন্তব্য করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক আলোচনা সভায় তাঁর মন্তব্যের পর থেকে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কড়া সমালোচনা করছেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×