somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মোদির সঙ্গে করমর্দনের পর হাত ঝাড়ছেন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা। এটিও বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে করমর্দনের পর নিজের হাত ধুয়ে ফেলতে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এক দল অ্যাক্টিভিস্ট। এমনকি এ জন্য একটি ওয়েবসাইটও খুলে ফেলেছে তারা। ওয়েবসাইটটির নামও আহ্বানের সঙ্গে মিল করে রাখা হয়েছে, ‘জাক, ওয়াশ ইয়োর হ্যান্ডস’ (http://yuckwashyourhands.com)। অর্থাৎ, জাক (জাকারবার্গের ডাকনাম), আপনার হাত ধুয়ে ফেলুন। ‘অ্যালায়েন্স ফর জাস্টিস অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষে ওই অ্যাক্টিভিস্টরা এ উদ্যোগ নিয়েছেন। এমনকি সংগঠনটি জাকারবার্গের কাছে হস্ত-পরিষ্কারক বোতল পাঠানোর ব্যবস্থাও নিয়েছে। যারাই ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের নামে একটি ফরম পূরণ করছেন, তাদের নামেই একটি করে হস্ত পরিষ্কারক বোতল পাঠানো হবে জাকারবার্গের ঠিকানায়। এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। ওই ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে প্রথমেই দেখা যায় মোদির হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি। এরপর নিচে লেখা, ইনি হলেন মি. মোদি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী। গণহত্যায় জড়িত থাকার দায়ে তাকে একবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পরে তিনি আমাদের সবাইকে প্রায় বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, তার হাত পরিষ্কার। কিন্তু আমরা সবাই জানি, তার হাতে কি বিপুল পরিমাণ রক্ত লেগে আছে! দাঙ্গা নিয়ে বিখ্যাত মার্কিন পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেশ কয়েকটি সংবাদ ও নিবন্ধ হুবহু উদ্ধৃত করে ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, ২ মাস ধরে চলা সহিংসতায় হিন্দু উচ্ছৃঙ্খল জনতা ধর্ষণ, অপহরণ, হত্যা, লুণ্ঠন করেছে গুজরাটে। মায়েদের শরীরে শূল ঢুকানো হয়েছে। শিশুদের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। পিতাদের টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার মানুষ, যাদের বেশির ভাগ মুসলিম, তাদের হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার মুসলিমের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ৩৬০টি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে। প্রায় দেড় লাখ মানুষ হয়েছে বাস্তুচ্যুত। বড় ধরনের অভিযোগ রয়েছে যে, বিজেপি এসবে দায়ী। কিছু ক্ষেত্রে দলটি এসবে ইন্ধন জুগিয়েছে। ট্রেনে হামলার পরের দিন, উদাহরণস্বরূপ আহমেদাবাদের পুলিশ কর্মকর্তারা হাজার হাজার উত্তেজিত হিন্দু হামলাকারীর মধ্যে একজনকেও আটক করেনি। একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এ দাঙ্গা তদন্তে গঠিত একটি প্যানেলকে জানিয়েছেন যে, মি. মোদি সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিতে। এ সাক্ষ্য দেয়ার পর ওই কর্মকর্তাকে পরে খুন করা হয়। দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা পুলিশ নিতে রাজি হয়নি প্রমাণ না থাকার অজুহাত দেখিয়ে। অথচ প্রত্যক্ষদর্শীরা পর্যন্ত সাক্ষ্য দিতে রাজি ছিলেন।
এরপর জাকারবার্গের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, জাক, আপনার হাতে ওই রক্ত লাগাবেন না প্লিজ। হস্ত-পরিষ্কারক বোতল পাঠিয়ে জাকারবার্গকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। কিন্তু ইতিমধ্যে তার হাতে অনেক রক্ত লেগে গেছে। তাই আমরা আরও বোতল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু এ কয়েকটি বোতলও ওই রক্ত মুছতে যথেষ্ট হবে না, যখন আপনি চিন্তা করবেন, কি পরিমাণ হত্যা ও ধর্ষণের পেছনে হাত ছিল মোদির। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখানেই এক বোতল হস্ত-পরিষ্কারক আমরা পাব, তা কিনে জাকারবার্গকে পাঠাবো। গত সপ্তাহে আমরা জাকারবার্গের কাছে ২৫০টি বোতল পাঠিয়েছি, প্রতিটিতে গুজরাট দাঙ্গায় নিহত একজন করে ব্যক্তির নাম ছিল।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেলে ক্যালিফোর্নিয়ায়ও সফর করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট সহ সিলিকন ভ্যালির বিশ্ববিখ্যাত সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোদি। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বহু আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলেছে। যেমন, একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মোদি ও ক্যামেরার মাঝখানে জাকারবার্গ ছিলেন। তাই মোদিকে দেখা যাচ্ছিল না। মোদি একপর্যায়ে জাকারবার্গকে একরকম টেনে পাশে সরিয়ে নেন। এরপর তিনি ক্যামেরার দিকে তাকান। এর ফলে অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, মোদি জানেন ক্যামেরা কোন জায়গায়! কেউবা লিখেছেন, মোদি ও ক্যামেরার মাঝখানে কারোই আসা উচিত নয়; এমনকি জাকারবার্গেরও নয়। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মোদির সঙ্গে করমর্দনের পর হাত ঝাড়ছেন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা। এটিও বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×