somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

(ইমপরটেন্ট রিড়) এ্যন্টিবায়োটিক ও সামাজিক দ্বায়িত্ব

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা যারা নানান কারনে এ্যন্টিবায়োটিক খাচ্ছি, (বুঝে, না বুঝে আমাদের দেশে সকল রোগের চিকিৎসা এ্যন্টিবায়োটিক) ৯৫% মানুষ জানেন না এ্যন্টিবায়োটিক সেবনের সাথে সামাজিক দ্বায়ীত্ব জড়ীত আছে। মনে হল ব্যপারটা বেশ ইমপরটেন্ট, আমার ষ্ট্যটাস পড়ে যদি কয়েকজন কে সচেতন করতে পারি মন্দ কি? প্লিজ পড়বেন মনযোগ দিয়ে।

এ্যন্টিবায়োটিক মূলত আপনার শরীরের কিছু ব্যাকটেরিয়া কে টার্গেট করে এবং এদের অকেজো করে দেয়। ব্যাকটেরিয়াদের সম্পূর্ণ অকেজো করতে আপনাকে এ্যন্টিবায়োটিক ফুল ডোজে খেতে হবে। অর্থাত ডাক্টার যদি বলেন ৫ দিন ৮ ঘন্টা পরপর এ্যন্টিবায়োটিক খেতে, আপনাকে ডোজ কম্পলিট করতে হবে। ৩ দিন পর ভাল লাগছে আর খাব না, ২ দিন বাদ দিয়ে আবার পরে খাওয়া শুরু করলেন, আপনার অজান্তে আপনি ভয়াবহ বিপদের কাজ করছেন। ব্যপারটা শুধু আপনার জন্য না, আপনার মা, বাবা, ভাই বোন পাড়া প্রতিবেশী সবার জন্য বিপদের। বুঝিয়ে বলি।

এ্যন্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করার সাথে সাথে আপনার শরীরের ভেতর এ্যন্টিবায়োটিক আর ব্যাকটেরিয়াদের যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। টানা এ্যন্টিবায়োটিক নিয়ম করে খেতে থাকলে আপনার শরীরে ঔষধের মাত্রা নিয়মিত ভাল লেভেলে থাকে এবং ব্যকটেরিয়া গুলি অকেজো হয়ে যায়। আপনার শরীর ঐ ব্যকটেরিয়াদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং পরবর্তীতে ঐ ব্যকটেরিয়া আপনাকে আবার এ্যটাক করতে পারে না। এমন কি আপনি কাউকে রক্ত দান করলে বা সেলুনে আপনাকে নাপিত যে ব্লেড দিয়ে শেভ করিয়েছেন, একি ব্লেড দিয়ে অন্য কাউকে শেভ করালে (আমাদের দেশ খুবিই কমন!) ওনিও ওই ব্যকটেরিয়ার আক্রমন থেকে সুরক্ষা পান।

কিন্তু আপনি ডোজ কম্প্লিট না করলে ব্যাকটেরিয়া ওই এ্যন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। পরবর্তীতে এই এ্যন্টিবায়োটিক আপনার শরীরে আর কাজ করেনা। দেখা গেল আপনার জ্বর কাশী যাচ্ছেনা, সমানে এ্যন্টিবায়োটিক নিয়ে যাচ্ছেন, কাজ হচ্ছে না। এমনকি হয়ত অন্য কেউ এ্যন্টিবায়োটিক ঠিক মত নেয়নি, ওনার শরীর থেকে ঐ ব্যকটেরিয়া আপনার শরীরে এসেছে (হয়ত সেলুনে আপনাকে নাপিত একিই ব্লেড দিয়ে শেভ করিয়েছেন), এখন ঐ এ্যন্টিবায়োটিক আপনার শরীরের ঐ ব্যকটেরিয়া মারতে পারছে না।

রিপোর্ট এ দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে অনেক এ্যন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করছে না। এটার সামাজীক দায়ভার এ্যন্টিবায়োটিক সেবী রুগিরা এড়াতে পারেন না। দয়া করে এ্যন্টিবায়োটিক সেবনে সচেতন হউন। আর, সেলুনে শেভ করা বন্ধ করুন। আপনার শরীরে ক্ষত স্থান থাকলে, ব্যন্ডেজ দিয়ে রাখুন। কারন এসব ক্ষত দিয়ে যেমন আপনার শরীর থেকে জীবানু বাইরে যায়, অন্য কারো শরীরের জীবানু ও আপনার শরীরে প্রবেশের দরজা ও কিন্ত এই সব ক্ষত স্থান।
পোষ্ট এ ব্যপারটা বুঝিয়ে বলতে পারলে শেয়ার করলে খুশি হব। অন্তত কয়েকজন কে সচেতন করলেও মন্দ কি?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৪
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×