আজ ১১ জুলাই জনসংখ্যা দিবস। জাতিসংঘ তাদের একটি এয়েব সাইটে জনসংখ্যা দিবসকে সামনেরেখে কয়েকটি উদ্যোগের মধ্যে বিশ্বের জনবহুল শহরের অবস্থান ও তুলে ধরে। রিপোর্টটিতে ১৯৯০ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান শহুরে জনসংখ্যার ব্যাপ্তির পাশাপাশি ২০৩০ সালে রিপোর্টকৃত শহর গুলোর অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয়।
জাতিসংঘের ২০১৪ সালের World Urbanization Prospects রিপোর্ট মতে বিশ্বের জনবহুল শহরের মধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১১ তে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়-১৯৯০ সালের তুলনায় ঢাকায় বর্তমানে দিগুণের বেশি জনসংখ্যা বেড়েছে। ১৯৯০ সালে ঢাকার বসবাসকৃত জনসংখ্যা ধরা হয় সাড়ে ৬ মিলিয়ন। ২০১৪ সালে এসে এখন জনসংখ্যা ১৭ মিলিয়ন। যার পরিমান ২০৩০ সালে বেড়ে ২৭ মিলিয়নে পৌছঁতে পারে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করে। র্যাকিং অনুসারে বর্তমানে ঢাকার অবস্থান ১১তে। আর ১৯৯০ সালে অবস্থান ছিলো ২৪ এ। ২০৩০ সালে ঢাকার অবস্থান বিশ্বের শহরের মধ্যে ৬ এ নেমে আসতে পারে বলে উল্লেখ করে।
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনবহুল শহর জাপানের টোকিও। এর বর্তমান জনসংখ্যা ৩৮ মিলিয়ন। যদিও বর্তমানে এই শহরের জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে। ২০৩০ সালে এই সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৩৭ মিলিয়নে।
জনসংখ্যার হার কমলেও ২০৩০ সাল নাগাদ শহুরে জনসংখ্যার অবস্থানের হারে ১ এ থাকার কথা রিপোর্টে বলা হয়। রিপোর্টে ২, ৬ ও ১৪ এ ক্রমান্বয়ে অবস্থান করছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লী, মুম্বাই ও কলকাতা। এ ছাড়া সাংহায় ৩ এ, ৪ এ মেক্সিকান সিটি ও ৫ এ ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের অবস্থান দেখানো হয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৪ থেকে ২০৫০ পর্যন্ত ভারত, চীন ও নাইজেরিয়ায় পৃথিবীর সবাধিক নগরায়ন হতে চলেছে। সারা বিশ্বের ৩৭% নগরায়নই এই তিনটে দেশে হওয়ার কথা উল্লেখ করে।