somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাস, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক টানাপড়েনের হাত থেকে মুক্তির অন্যতম রক্ষাকবচ হচ্ছে, আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে স্থিতিশীল বাংলাদেশ : বেগম খালেদা জিয়া

১০ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিসমিল্লাহির রাহমানি রাহীম
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং আমার পক্ষ থেকে সকলকে সালাম এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আশা করি ইংরেজি নববর্ষ সকলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে এবং আগামী দিনগুলো সহিসালামতে কাটবে।
আজ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে কয়েকটি বিষয় আপনাদের মাধ্যমে সরকার ও জনগণের সামনে পেশ করাকে আমি আমার কর্তব্য বলে মনে করছি। এর সঙ্গে শুধু বিশ্বসভায় সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে আমাদের টিকে থাকা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রশ্নই জড়িত নয় বরং নিজেদের প্রাণ রক্ষা ও দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার প্রশ্নও জড়িত।
অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে বিচার করলে আমাদের প্রতিবেশী কোনো কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে।
অতীতে আমাদের সরকারের আমলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে গতিসঞ্চার হয়েছিল, আন্তর্জাতিক মহলও সেই সত্য স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল। বাংলাদেশের সেই অগ্রযাত্রাকে বানচাল করে দেবার জন্যই দেশে ২০০৭ সালে জরুরি শাসন জারি করা হয়।
সংবিধান বহির্ভূতভাবে সশস্ত্রবাহিনীর নাম ব্যবহার করে যারা ক্ষমতায় আসে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আমাকে, জাতীয়তাবাদী দল এবং সর্বোপরি দেশপ্রেমিক শক্তিকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দেয়া। পৃথিবীর মানচিত্র থেকে রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের চিহ্ন লুপ্ত করা। পনেরো কোটি মানুষকে চিরতরে পরাধীন করে রাখার এই নীলনকশা জনগণের প্রতিরোধের মুখে সফল হতে পারেনি।
আল্লাহ্র অসীম রহমতে জনগণের ইচ্ছাশক্তিতে বলীয়ান হয়ে জীবনের প্রবল ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আমি এই দেশের জনগণের মধ্যে, জনগণের সঙ্গেই ছিলাম। আপনারা তা দেখেছেন। জনগণকে অসহায় অবস্থায় ফেলে রেখে আমি কোথাও যাইনি। দেশত্যাগ করিনি।
শুরুতেই সশস্ত্রবাহিনীকে আহবান জানিয়ে আমি বলেছিলাম, দেশকে নেতৃত্বহীন করা ও রাজনীতি শূন্য করার এই দুঃসময়ে সৈনিকরাই জনগণের পাহারাদার। তাঁরা যেন কারো উস্কানি ও চক্রান্তে সাড়া না দেন এবং দেশের শত্রুদের যেন চিনে রাখেন।
এই ধরনের দুঃসময়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমানত হিসেবে সৈনিকদের ওপরই ন্যস্ত থাকে।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
আপনারা দেখেছেন কারা দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে ক্ষমতায় এসেছে। কারা জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে চরম জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে সংবিধান বহির্ভূতভাবে ক্ষমতায় থেকেছে। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন আদৌ বৈধ কিনা সেই প্রশ্ন তবুও আমরা তুলিনি। কিন্তু সেটা প্রশ্ন হয়েই আছে এবং থাকবে।
আপনারা দেখেছেন, কারা জরুরি অবস্থা জারি করে নাগরিকদের সাংবিধানিক ও মানবাধিকার লংঘন করেছে। আপনারা নিজের চোখেই দেখেছেন, কারা দেশকে চিরতরে পরাধীন রাখবার বার্তা হিসেবে প্রাচীন অশ্বমেধ যজ্ঞের আদলে ছয় ঘোড়া আমদানি করেছে। তাদেরই নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে গিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী এবং তাঁর দল। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে এসব অপকীর্তি যখন করা হয়েছে তখন তাঁর নিজের দলের নেতা-কর্মীদের ওপরও হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন হয়েছে।
দুর্ভাগ্যের বিষয় জনগণ কিংবা দলের নেতা-কর্মীদের শ্রমে কিংবা সমর্থনে নয়, সেই ছয় ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়েই মহাজোট ক্ষমতায় এসেছে। মহাজোটের নেতাকর্মীদের বলি, এই কলংকের দাগ বঙ্গোপসাগরের সমস্ত পানি দিয়ে ধুলেও সাফ করা যাবে না।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
এতো কিছুর পরেও দেশ ও জনগণের স্বার্থে আমরা বারবার ঐক্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছি, এখনও চাই। আমরা জানি, দেশের জনগণ ও জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে সকলের আক্কেল জ্ঞান এক রকম হয় না। জনগণের মুখ চেয়ে আমরা ধৈর্য ধারণ করতে জানি। কিন্তু আমাদের আন্তরিকতাকে উপেক্ষা করে আমাদের প্রতি ক্রমাগত নিক্ষিপ্ত হচ্ছে কুৎসিত বাক্য ও অপপ্রচার। কোনো প্রকার প্রমাণ ছাড়া দুর্নীতির কেচ্ছা-কাহিনী সাজিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর ক্রমাগত হয়রানি, মামলা ও নির্যাতন চলছে।
অন্যদিকে শুধুমাত্র খবর হিসাবে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছাপার অপরাধে একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে হুমকি, প্রাণনাশের চেষ্টা এবং এখন বিভিন্ন জেলা থেকে সংক্ষুব্ধ নয় এমন ব্যক্তিদের দায়ের করা মামলা আদালত আমলে নিচ্ছে। একই অভিযোগে বহু মামলার নজিরও বিরল।
এইসব ঘটনা বিচার ব্যবস্থার সুস্থতার লক্ষণ নয়। শুধু সংবাদপত্র, চিন্তা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্নই যে শুধু বিপদের মুখে পড়েছে তা নয়, আজ আদালতকেও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে।
দেশকে অস্থির ও বিভক্ত রাখবার এই নীতি মূলত বাংলাদেশকে পরাধীন রাখার নীতিরই অন্তর্ভুক্ত।
এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিডিআর বিদ্রোহের করুণ ঘটনার মধ্য দিয়ে একই সঙ্গে এই দেশের সেনাবাহিনী ও বিডিআর-এর ভিত্তিমূলে আঘাত করা হয়েছে। এক ঢিলে দুই পাখি মারার পরিকল্পনাই দ্রুত বাস্তবায়িত হয়েছে। আজ আমাদের সীমান্ত অরক্ষিত। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর তদারকির আওতায় বাংলাদেশের বিডিআর সীমান্তে টহল দিচ্ছে - এই দৃশ্য একমাত্র সেই সরকারের অধীনেই দেখা সম্ভব যারা বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে সগর্বে অংকিত দেখতে চায় না।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
মরণ বাঁধ ফারাক্কার পরে আমরা টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ দেখছি। যেখানে টিপাইমুখ বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে প্রাণ ও পরিবেশের মারাত্মক হুমকি নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন, বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা উৎকণ্ঠিত-সেখানে ক্ষমতাসীন সরকারের আচরণ বিপজ্জনক। যারা টিপাইমুখ দেখতে গিয়েছিলেন, তারা আবহাওয়ার কারণে নামতে পর্যন্ত পারেননি, অথচ দাবি করেছেন এতে নাকি আমাদের লাভ হবে।
এতোদিন শুনে এসেছিলাম, তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে বড়োসড়ো একটা সমঝোতা প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর থেকে আমরা পেতে যাচ্ছি। এখন দেখছি সেই গুড়েও বালি পড়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিস্তার পানি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা হচ্ছে না।
এই পরনির্ভর রাজনীতি ও পরাধীন পররাষ্ট্রনীতির মুখেও আমরা ধৈর্য ধারণ করে আছি। আমরা নিয়মতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। জনগণকে বিভক্ত রেখে আমরা দেশকে শত্রুর অবাধ বিচরণের ময়দানে পরিণত করতে চাই না।
জনগণকে বিভক্ত করে দেশকে অভ্যন্তরীণ অন্তর্ঘাত ও সন্ত্রাসের লীলাক্ষেত্রে পরিণত করা আমাদের রাজনীতি নয়। আমরা মনে করি, পনেরো কোটি মানুষের স্বার্থে আমাদের প্রাণরক্ষা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রশ্নে অবশ্যই একটি অবিভাজ্য ও ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থানের জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার দিক-নির্দেশনা ছাড়াও পররাষ্ট্রনীতির মধ্যেও যার প্রতিফলন থাকবে। বিভাজন ও অন্তর্ঘাতের রাজনীতি নিজের স্বভাবের কারণেই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
এই অবিভাজ্য ও ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থানের প্রত্যাশায় আমরা বারবারই ব্যক্তিগত ও দলীয় মান-অপমান ও কুৎসা প্রচারের উর্দ্ধে উঠে আমাদের প্রতিদ্বনদ্বী রাজনীতির সকল ধারাকে জাতীয় ঐক্য ও সহযোগিতার অবস্থানে আসবার আহবান জানিয়ে আসছি। সবসময়ই আমাদের এই আহবান আমরা জারি রাখব।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর এই প্রণোদনাতেই সফল হোক, সেই কামনা আমরা করি। ইতোমধ্যেই খবরের কাগজের তথ্যানুযায়ী সফরসূচির একতরফা পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির একতরফা পরিবর্তন আমাদের কাছে শোভনীয় মনে হয়নি।
দ্বিতীয়ত, বর্তমান সরকার কিংবা প্রধানমন্ত্রী নিজেও ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাবার কোন নীতিগত জাতীয় ভিত্তি দাঁড় করাবার উদ্যোগ নেননি। এই ঘাটতি অশনি সংকেতের মতো। আমাদের উৎকণ্ঠা এখানেই।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য যে সকল বিষয় অবশ্যই আলোচনা করা জরুরী তার মধ্যে প্রথম ও প্রধান বিষয় হচ্ছে প্রাণ ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের বৈরী মনোভাব পরিবর্তনের আহবান জানানো এবং তা কার্যকর করবার জন্য উভয় পক্ষে উপযুক্ত পরিবেশ তেরি করা।
উভয় দেশে যে সকল নদী প্রবাহিত হচ্ছে তাদের ওপর অধিকার ও পানির ন্যায্য হিস্যার প্রশ্নই ধরা যাক। উজানের দেশ হিসাবে এই ক্ষেত্রে ভারতের শাসক শ্রেণীকেই উদ্যোগ নিতে হবে। এটা তাঁদেরই দায়। এটা নিছকই পানি মাপা ও শুকনা মৌসুমে বা ভেজা মৌসুমে কে কত পানি পাবে তার হিসাব-নিকাশ মাত্র নয়। পানির পরিমাণ ও প্রবাহ উভয়ই অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপরেও নীতিগত ভিত্তি দাঁড় করাতে হবে। অথচ আজ অবধি শুধু পরিমাণ নিয়ে কথা হচ্ছে।
পানির পরিমাণ ও প্রবাহ শুধু মানুষের জীবন রক্ষা ও মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রশ্নের সঙ্গেই জড়িত নয়। সেটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই, কিন্তু পরিবেশ রক্ষা ও প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এই কালের আন্তর্জাতিক নীতি।
এই নীতি আন্তর্জাতিক নদী সংক্রান্ত বিধানাদিতে যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে প্রাণবৈচিত্র চুক্তি ((Convention on Bio-diversity), জলাভূমি সংক্রান্ত চুক্তি (Ramsar Convention)-সহ প্রাণ ও প্রাণের বৈচিত্র্য রক্ষার অন্যান্য চুক্তি, সমঝোতা, ঘোষণা ইত্যাদির মধ্যে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতের শাসক শ্রেণী কি তা মানেন, নাকি মানেন না? আমাদের আশা তারা নৈতিকভাবে এইসকল ক্ষেত্রে সংবেদনশীল থাকবেন।
কিন্তু আমরা উদ্বিগ্ন না হয়ে পারছি না। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার মন্তব্য করেছিলেন, আন্তর্জাতিক নদীপ্রবাহ সংক্রান্ত কোনো বাধ্যতামূলক আইন নাই।
অথচ যে নীতির কথা আমরা তুলছি, সেটা নিছকই বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক আইন থাকা না থাকার প্রশ্ন নয়। এই আইনী তর্ক তোলার মধ্যেই আমরা ভয়াবহ বিপদের লক্ষণ দেখি। উজানের পানি ভাটিতে প্রবাহিত হবার পথে তাকে বাধা দেওয়া এবং বাধা দিলে ভাটির দেশগুলোরও প্রাণ ও পরিবেশের কী ক্ষতি হয়, সে সম্পর্কে সতর্ক ও যত্নবান থাকা কেবল আইনের বিষয় নয়, নৈতিকতারও প্রশ্ন। এটি ভাটির দেশের প্রতি উজানের দেশের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং একই কারণে পররাষ্ট্রনীতিরও প্রশ্ন।
বাধ্যতামূলক আইন নাই বলে কি ভারত তার নিজের দেশের জনগণ ও বাংলাদেশের জনগণকে পানিতে মারতে চায়? নদী বিধৌত অঞ্চলকে কারবালায় পরিণত করতে চায়? এটা কেমন কথা? এটা বন্ধুদেশের অবস্থান হতে পারে না।
আমরা জানি শক্তির জোরে ভারত হয়ত অনেক কিছু করতে পারে, বাংলাদেশ সেই শক্তির মুখে সাময়িক বিপন্ন হতে পারে কিন্তু ন্যায্য অধিকার ও দাবিকে কেবল গায়ের জোরে একতরফাভাবে চিরকাল উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।
নীতিগত অবক্ষয়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আজ ভারত ফারাক্কায় পানির পরিমাণ ও প্রবাহ রুদ্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশকে যেভাবে শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত করে চলেছে সেই অপরাধ পানি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনে অপরাধ হবারও আগে, মানবজাতির বিরুদ্ধে অপরাধের পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরেই ভারত একটি আইনী চুক্তি করবে সেটা আমরা প্রত্যাশা করি না। কিন্তু নীতি ও নৈতিকতার স্থানগুলো ভারত তাঁকে স্পষ্টভাবে জানাবে, এটাই আমাদের আশা।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
একদিকে আমরা পানিতে মরছি, কৃষি-মাছ-গবাদিপশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী ভারতের কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ‘প্রযুক্তি বিনিময়' করবার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন। দেশবাসীর প্রশ্ন কিসের প্রযুক্তি? পানি ছাড়া কিভাবে চাষ করা যায় ভারতীয় কোম্পানিগুলোর সেই ব্যবসার সম্প্রসারণ? অপরিক্ষীত এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর চাষাবাদ পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য হাইব্রিড ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বীজের বাজার হিসেবে বাংলাদেশকে ভারতের জন্য উন্মুক্ত করা?
আমরা জানি, এই বীজের কারণে সর্বস্বান্ত হয়ে ভারতের কৃষকরা আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। কাজেই আমাদেরকেও সাবধান থাকতে হবে।
শুধু কৃষি কেন, আমরা সকল ক্ষেত্রে সকল দেশের সঙ্গে সহযোগিতা চাই। কিন্তু সেটা হতে হবে কৃষক ও সাধারণ জনগণের স্বার্থে। বিনিয়োগ ও প্রযুক্তির উন্নয়ন সেখানে সত্যিকারের উদ্যোক্তাদের গতিশীল ভূমিকার মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করবো।
যে বিনিয়োগ শুধু বাংলাদেশকে বাজার হিসাবে ব্যবহার ও মুনাফা কামাবার ক্ষেত্রে পরিণত করবে না। বরং বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী তৈরি করবে। সর্বোপরি তার উপকার সরাসরি ভোগ করবে কৃষক সমাজসহ সাধারণ মানুষ।
কৃষক সমাজ উৎখাত করে সেখানে ভিনদেশের কোম্পানির মুনাফাবাজির স্বর্গরাজ্য কায়েম কোনো নীতি হতে পারে না।
বলাবাহুল্য, প্রাণ ও পরিবেশ রক্ষার সঙ্গে এই ধরণের ‘প্রযুক্তি বিনিময়' যে সাংঘর্ষিক, সেটা কাউকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার দরকার পড়ে না। অথচ আজ ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা কোনো নীতি নয়, পররাষ্ট্রনীতি তো নয়ই। আমরা সবকিছুর শুরুতেই চাই প্রাণ ও পরিবেশ রক্ষার নীতি।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
এই প্রাণরক্ষার প্রশ্নের সঙ্গেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ও ক্রমাগত হত্যাকান্ড সংঘটনের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও অবনতি ঘটানোর বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
অপরদিকে, হাইওয়ের নামে করিডোর দেয়ার উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা ও মর্যাদাকে যেমন হেয় করা হচ্ছে ঠিক তেমনি এর সঙ্গে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নকেও হুমকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
আমরাও এশিয়ান হাইওয়ের পক্ষে। আমরা সরকারে থাকতে বাংলাদেশকে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে রুট ম্যাপ অনুমোদন করে এসেছিলাম।
আজ এশিয়ান হাইওয়ের নামে করিডোর দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিতর্কিত এবং বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকারক পথ নির্দেশ মেনে নেয়া হচ্ছে। এটি এশিয়ান হাইওয়ের সংজ্ঞা ও উদ্দেশ্যেরও পরিপন্থী। আমরা এই ক্ষতিকারক, বাস্তবায়নের অযোগ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ রুটের বিরোধিতা করে আসছি।
যারা ‘করিডোর' দেওয়াকে নিছকই অর্থনৈতিক বিষয় বলে গণ্য করেন, তাঁদের রাজনীতিকে আমরা এই কারণেই বিপজ্জনক বলে মনে করি। দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নকে যারা নিজের দেশের ভেতর দিয়ে অন্য দেশের মালামাল চলাচলের জন্য ভাড়া দিয়ে অর্থ কামানোর কথা বলে, তাদের ব্যাপারে জনগণকে আমরা হুঁশিয়ার থাকতে বলি।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
বাংলাদেশের নিরাপত্তার প্রশ্নের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি জড়িত হয়ে পড়েছে ভারতের বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠির বিদ্রোহের ঘটনাবলীও। এগুলি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এসব বিদ্রোহ তারা রাজনৈতিক না কি সামরিক পন্থায় দমন করবে সেটাও তাদের নিজেদের ব্যাপার। আমাদের উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ভারতের এই অভ্যন্তরীণ সমস্যা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবার নীতি।
ভারতকে নিজের ঘর নিজেই সামাল দিতে হবে এবং আমাদের মতো ছোট দেশকে দোষী করে এই অঞ্চলকে অযথা উত্তপ্ত করবার নীতি পরিহার করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে তার অভ্যন্তরীণ সমস্যার রাজনৈতিকভাবে মীমাংসার জন্য সহায়তা করতে রাজি। এরজন্য পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে উভয়পক্ষের স্বীকৃত একটি পন্থা বের করা দরকার। কিন্তু ভারত কী করছে?
প্রাণভয়ে যখন কোনো ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে পালিয়ে আসে তখন সেটা আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
এই পরিস্থিতিতে কাটা ঘায়ে নূনের ছিঁটার মতো এই সরকারের আমলে অভিযোগ উঠেছে, বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাদেরকে ভারতের নিরাপত্তা রক্ষীরা অবাধে বাংলাদেশের ভেতর ঢুকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এধরনের ঘটনা আমাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের চরম লংঘন। বর্তমান সরকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায়ও চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কিন্তু যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য মেলে না। এখানেই আমরা উদ্বিগ্ন বোধ করছি।
আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাদের এই নিরাপত্তার প্রশ্নটি ভারতের নেতাদের কাছে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক উন্নয়নের আলোকে তুলে ধরবেন। এই গোড়ার প্রশ্ন বাদ দিয়ে যদি তিনি দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি করেন, তাতে ভারতের অযৌক্তিক মনোভাবকেই প্রশ্রয় দেয়া হবে এবং এতে বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিঘ্নিত হবে। বাংলাদেশ বা ভারত কারো নিরাপত্তার জন্যই এই ধরণের চুক্তি সহায়ক হবে না।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
সার্বভৌমত্বের প্রশ্নের সঙ্গে আমাদের আরো অনেক অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রেও অগ্রগতির প্রয়োজন। ছিটমহল ও সীমানা-বিরোধ যার অন্যতম। সপ্রতি ভারত ও মায়ানমার সমুদ্রসীমা নিয়ে যে বিরোধে আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে সেই সমস্যাও এই সফরের বিষয় হিসাবে অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত হওয়া উচিত। বাংলাদেশের জনগণ সমুদ্রসীমা নিয়ে বিতর্ককে তাদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে গণ্য করে। একে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই।
বলাবাহুল্য সমুদ্রসীমা নির্ধারণ আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ ও জ্বালানি নিরাপত্তার প্রশ্নের সঙ্গেও জড়িত। এইসকল গুরুতর বিষয় আলোচ্যসূচির অংশ না হলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অর্থবহ হবে বলে এদেশের জনগণ মনে করে না।
ভারত সফরের আলোচ্যসূচির মধ্যে অবশ্যই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্যের বাণিজ্য ও বাজার সম্প্রসারণের প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটানোর দায় ভারত সরকারের। ভারতের নিজের স্বার্থেই বাংলাদেশের প্রতি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে উদারতা প্রদর্শন জরুরি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এই সকল অতি প্রাথমিক পদক্ষেপ। আর একটি বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো প্রচারের অনুমতি ও অধিকার। বাংলাদেশে সমস্ত ভারতীয় চ্যানেল চলবে, কিন্তু ভারতে বাংলাদেশের চ্যানেল নিষিদ্ধ থাকবে - এই অসাম্য বহাল রাখার চেয়ে অন্যায় আর কিছুই হতে পারে না।
ভারত সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এইসকল ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিশ্রুতি আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।
উপস্থিত সাংবাদিক ভাই-বোনেরা,
আমরা আবারো বলছি, দেশের স্বার্থে সরকারকে সহযোগিতা করাই আমাদের নীতি। সে কারণেই আমরা প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের প্রাক্কালে বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরছি। যাতে তিনি এই বিষয়গুলো বলিষ্ঠভাবে উপস্থাপন এবং জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখতে পারেন। আমরা নতজানুনীতি ও পরদেশ তোষণের ঘোর বিরোধী। আমরা স্বাধীন জনগোষ্ঠী। আমরা কারো পরাধীন নই, কোন আধিপত্য আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
এই উপমহাদেশের কৃষক ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ জমিদার, মহাজন, সুদখোর ও ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের শৃক্মখল থেকে মুক্ত হবার যে লড়াই-সংগ্রাম করেছে তারই পরিণতিতে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ, তারই ফল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
আমরা মনে করি, এই লড়াইয়ের দুটো ধারা। একটি ধারা হচ্ছে, অন্য রাষ্ট্রের অধীনস্থ থেকে অন্য দেশের আজ্ঞাবাহকের ভূমিকায় তাদের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থরক্ষার ধারা। বলাবাহুল, এই ধারা জনগণ বাতিল গণ্য করে। অপরটি হচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণের সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের ধারা। সেই ধারার অগ্রসেনানী হচ্ছেন, গণসেনাপতি জিয়াউর রহমান।
জনগণ ও সৈনিকতার যে রক্তাক্ত অটুট বন্ধন দিয়ে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধকে অভিষিক্ত করেছেন, তার তুলনা নেই। স্বাধীনতার যুদ্ধে আমরা জয়ী হয়েছি, কিন্তু সার্বিক মুক্তির সেই আকাক্মখা এখনো বহমান। আমাদের এখনকার সংগ্রাম আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশকে ক্রমাগত হেয় করা, অপমান করার বিরুদ্ধে। আমাদের এই সংগ্রামের ধারা জনগণকে একত্রিত ও ঐক্যবদ্ধ করে। আর শত্রু-প্রভাবিত অন্তর্ঘাতমূলক ধারা জনগণকে ক্রমাগত বিভক্ত ও খন্ড-বিখন্ড করে। অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি করে। আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ধারাকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এখানকার মুক্তিযুদ্ধ নিজেদের প্রাণ, পরিবেশ, জীবিকা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার যুদ্ধ। গণসেনাপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে নতুন ভাবে জাতিকে সংগঠিত করবার ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সময় এসেছে। সেই লড়াই এই উপমহাদেশে সকল স্বাধীনতাকামী জনগণের আদর্শ হবে। উপমহাদেশের সকল গণতান্ত্রিক জনগণের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা উপমহাদেশের সকল গণতান্ত্রিক জনগণ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার সঙ্গে দৃঢ় মৈত্রী ও বন্ধুত্ব অটুট করতে চাই।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটলে যে কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গেই আমাদের বৈরিতা হতে পারে। কিন্তু প্রতিটি দেশের জনগণই আমাদের মিত্র। ভারত, নেপাল, চীন, ভূটান, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানসহ সকল প্রতিবেশি জনগণের সত্যিকারের বন্ধুত্বই আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার পথ।
আমরা এই অঞ্চলকে নতুনভাবে গড়তে চাই, যাতে সকল জনগোষ্ঠির সমৃদ্ধি নিশ্চিত হয়। আমরা বিশ্বাস করি, দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাস, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক টানাপড়েনের হাত থেকে মুক্তির অন্যতম রক্ষাকবচ হচ্ছে, আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে স্থিতিশীল বাংলাদেশ। এর কোনো অন্যথা হতে পারে না। এই দিকটির প্রতি যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের এবং দক্ষিণ এশিয়ার গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনে আশা করি বাংলাদেশের জনগণ সকলের সহযোগিতা পাবে।
আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×