গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। দু'দেশের ভূখন্ড জঙ্গী বিদ্রোহী ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশকে আড়াইশ' মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেবে ভারত। সড়ক অবকাঠামো ও ফ্লাইওভার নির্মাণে এক বিলিয়ন ডলার অর্থঋণ সহায়তা দেবে ভারত। ভুটান-নেপালে পণ্য পরিবহণে বাংলাবান্ধা ও ফুলবাড়ী থেকে ২০০ কিলোমিটার সড়ক ও যাতায়াতের সুযোগ থাকছে। ২০১১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী এক সাথে পালন এবং ৩শ' বাংলাদেশী ছাত্রকে ৫ বছরের জন্য বৃত্তি প্রদান করবে ভারত। নয়াদিল্লী থেকে বিডি নিউজ : ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লীতে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রতিভা পাতিল। শান্তি প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অঙ্গীকারের জন্যই তাকে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয় বলে ইন্দিরা গান্ধী মেমেরিয়াল ট্রাস্ট জানায়। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রতিভা পাতিল বলেন, ‘সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ক্রুসেড আজ সবার জানা। তিনি নিজের জীবনের ওপর হুমকি নিয়েও সাহসের সঙ্গে তা মোকাবিলা করছেন।' পুরস্কার গ্রহণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও শান্তিতে। আমার দেশের জনগণকে দারিদ্রে্যর শিকল এবং সন্ত্রাসের কবল থেকে মুক্ত করতে আমি সংকল্পবন্ধ। মানবাধিকার সংরক্ষণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাকে আমি আমার দায়িত্ব বলে মনে করি।' পুরস্কার দেয়ার জন্য ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ইন্দিরা গান্ধীর অবদান স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঞ্চিত ও নিষিত মানুষের জন্য তার সংকল্পবদ্ধ অবস্থান শুধু ভারতের সীমানার মধ্যেই আটকে থাকেনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ যখন শোষণ, রক্তবন্যায় ভেসে তীব্র যন্ত্রণার শিকার, তখন তিনি বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি আবেদন জানিয়েছিলেন।'
হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর সুযোগ্য নেতৃত্বের বলে ভারত উন্নতির পথে এগিয়ে যায়। অপরপক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক শক্তির অপতৎপরতা ও সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনার কারণে দেশের উন্নয়ন বার বার বাধাগ্রস্ত হয়।' দুই দেশের সাধারণ মানুষের শান্তি, মুক্তি ও উন্নয়নের জন্য পরস্পরকে সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ড গত বছরের নবেম্বরে হাসিনাকে পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধীও বক্তব্য রাখেন।
পুরস্কার হিসেবে শেখ হাসিনাকে ২৫ লাখ রুপি এবং একটি প্রশংসাপত্র দেয়া হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেয়া হচ্ছে ১৯৮৬ সাল থেকে। বাংলাদেশীদের মধ্যে এর আগে ১৯৯৮ সালে এ পুরস্কার পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ পুরস্কার পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন কফি আনান, বিল গেটস, মিখাইল গর্বাচেভ, হামিদ কারজাই, আল বারাদেই, ওয়াং
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৪৯