দেশের অধিকাংশ মিডিয়া এবং ব্লগ (ব্লগও সীমিত মিডিয়া, সামুও সামিল) গত ২-৩ দিন যাবত (যেটা মাসখানেক আগে শুরু হয়েছে) মহাপরাক্রমে সিন্ডিকেটেড, কনসার্টেড হেট-এন্ড-লাই ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে, রাজাকার রাজাকার করে এমন ফেনা তুলে ফেলছে যে নির্বিচারে গণহত্যাকে জায়েজ করে ফেলছে, জামাত-শিবির নিহতের দায়ও জামাত-শিবির এমনকি বিস্ময়করভাবে বিএনপির উপর চাপাচ্ছে. ৮০টা জামাত-শিবিরকে হত্যা করতে গেলে ৫টা পুলিশ, ৫টা লিগ আর ১০টা সাধারণ জনগণ নিহত হবে - এটাতো সহজ সমীকরণ! লাশের ভীড়ে তারা মানুষ দেখে না, শিবির দেখে. ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে পশ্চিমা স্টান্ডার্ডে মানবতা মাপলেও এখন তারা একই নিক্তিতে জামাত-শিবিরের রক্ত মাপতে লেগেছে, মানবতা হাওয়া!
জামাত-শিবির অবশ্যই আক্রমণাত্মক, কারণ তারা অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে আর নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে. কিন্তু পুলিশ আর লিগ ক্যাডারেরাও এক কাঠি সরেস, উভয় পক্ষ একটা গৃহযুদ্ধ বাধাতে (এতে জাশির লাভ বেশি), দাঙ্গা বাধাতে (এতে লিগ-বামদের লাভ বেশি) মরিয়া - ইনিয়েবিনিয়ে নানান গল্প ফাঁদার পায়তারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে. দেশের শান্তি, স্থিতি, অর্থনীতি আর সাধারণ মানুষের কথা ইসলামের বেপারী জামাত-শিবিরের ভাবার প্রয়োজন নাই, তারা তাদের অপরাধী নেতাদের আর নিজেদের আর্থিক কর্মকান্ড বাঁচাতে পারলেই হল. অন্যদিকে ভারতের দয়া-দাক্ষিণ্যে ব্যক্তিগত লাভালাভে গদগদ আওয়ামি-বামপন্থীদেরও হাজার কোটি টাকার দূর্নীতির মচ্ছব পরের টার্মে লাখ কোটিতে নেয়ার সুযোগ নিতে ১০০ লাশ কেন, ১০,০০০ লাশ হলেই বা কী! এ এক 'উলট-পালট করে দে মা, লুটে পুটে খাই' সময় চলছে. শাহবাগের ডিজুসমার্কা আন্দোলন এখন সম্পূর্ণত দলবাজি ও বিভক্তির, ভাষার ব্যবহার, আচরণ ও প্রবণতার দিক থেকে উগ্র ফ্যাসিবাদী ও পুঁতিগন্ধময়.
আমি অবাক, এই মিডিয়া নষ্টামির নেতৃত্বে আছে প্রথম আলো, তারা বিএনপির বিরুদ্ধে এখন পুরোদস্তর পোলারাইজড. তারা হেড়ে গলায় রাতদিন রাজাকার জপে সরকারের সব অপরাধ ধামাচাপা দিতে, ভিন্নমতের টুটি চেপে ধরতে অস্থির. এই ফ্যাসিবাদিতা, এই উলট-পালটের গল্পের এটাই শেষ নয়... এই দিন দিন না, আরও দিন আছে. এখন চ্যানেল ওয়ান বন্ধ, অমুক-তমুকের টক-শো করা বন্ধ, শাহবাগের চক্ষুশূল ব্লগগুলা বন্ধ, মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের কসরত... নষ্টামি বন্ধ না হলে অন্য কোন দিন, অন্য কোন পরিস্থিতিতে এই ফ্যসিবাদ যে আরও কোন নোংরা রূপ নিয়ে শাহবাগী মিডিয়া সিন্ডিকেটকে গ্রাস করবে না তা কে হলপ করে বলবে?
মিথ্যা প্রচারণা খুব স্বল্পমাত্রায় হলে সহনীয়ও হয়, কার্যকরীও হয়, এখন সিন্ডিকেটেড মিথ্যাবাজি সব সীমা ছাড়িয়েছে, কতিপয় ডিজুস-মূর্খ ছাড়া সবার চোখেই সেটা পড়ছে এবং বিরক্তিও চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছেছে. বঙ্গবন্ধুর নামগন্ধ মুছে ফেলার চেষ্টা চলেছে বহু বছর, তাতে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে, আজ যখন সব টাকা, সব মুদ্রা, সব সরকারী স্থাপনা-প্রতিষ্ঠানে, সব রাস্তাঘাটে বঙ্গবন্ধুর নাম-ছবি লেপে দেয়া হয়েছে তাতে তার জনপ্রিয়তা বাড়েনি এক ফোঁটা, কমেছে অনেক আর হাস্যবিদ্রুপের, রোষের ব্যাপার হয়েছে - বাড়াবাড়ির এই ফল. শাহবাগী মিডিয়া এই বাড়াবাড়ির ফল ভোগ করবে - এটা আমার বিশ্লেষনী ভবিষ্যতবাণী.
আমাকে জামাত-শিবির, হিজুসহ আরও নোংরা কিছু ট্যাগিং দেয়া হবে জেনেই এই পোস্ট, এই পোস্টে যে সিন্ডিকেটেড, কনসার্টেড হেট-এন্ড-লাই ক্যাম্পেইনের কথা বলেছি, সেটা মাপাও একটা পার্শ্ব-উদ্দেশ্য ...সো, ওয়েলকাম.