
লেখকরা ভবিষ্যৎ আঁকেন—রাজনীতিবিদরা তা বাস্তবায়ন করেন। বহু বছর আগে প্রথাবিরোধী লেখক ড. হুমায়ুন আজাদ তাঁর উপন্যাস পাক সার জমীন সাদ বাদ-এ এক ভয়ংকর চিত্র এঁকেছিলেন। তিনি দেখিয়েছিলেন, কিভাবে ইসলামী রেডিক্যাল শক্তি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করছে, মূল রাজনৈতিক দলগুলোর ছায়ায় থেকে ধীরে ধীরে ক্ষমতার কেন্দ্র দখল করতে চাইছে। তখন হয়তো অনেকেই ভেবেছিলেন—এ কেবল লেখকের কল্পনা।
কিন্তু আজ বাস্তবতা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে, তিনি কতটা দূরদর্শী ছিলেন। সমাজে ধীরে ধীরে এক ঠান্ডা আগুন ছড়িয়ে পড়ছে—হিংসা, বিভাজন, অন্ধ আনুগত্য এবং অসহিষ্ণুতার আগুন। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ব্যস্ত, আর ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলো সুচতুর কৌশলে নিজেদের ইমেজ তৈরি করছে। একদিকে মূলধারার দলগুলোর ভাবমূর্তি ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে তারা সামনে আসছে।
এ যেনো সেই উপন্যাসের পাতায় লেখা সতর্কবার্তা, যা আজ রক্তমাংসে দাঁড়িয়ে আমাদের সামনে। হুমায়ুন আজাদ দেখিয়েছিলেন লেখকের চোখে ভবিষ্যতের বিপদ, আর আমরা তা এখন অনুভব করছি আমাদের চারপাশে। প্রশ্ন হলো—আমরা কি শুধু দর্শক হয়ে থাকব, নাকি সাহস করে দাঁড়াবো এই ঠান্ডা আগুনের বিরুদ্ধে?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


