২০১৩ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত আমাদের কাঙালপনা (নিজের দেশ বলে চুরি শব্দটা বাদ রাখলাম) করে ছাড় পাব পাইরেটেড কপি করা সফটওয়ার ব্যবহারে।
সেটা আমার নিজের কাছেই খারাপ লাগছে, এটা এমন কিছু যেনো আমরা চুরি করার বৈধতা পেলাম কিছুদিনের জন্য।
“চোর” শব্দটা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের দুটো পথ খোলা আছে।
প্রথমটা হল সফটওয়ারগুলোর লাইসেন্সড কপি কেনা। আমাদের মত গরীব দেশের কম্পিউটার ইউজারদের জন্য এই উপায় বলতে গেলে অসম্ভব। কারন ওপারেটিং সিস্টেম, এমএস অফিস আর এন্টি ভাইরাস – এই তিনটাকিনতে গেলেই একটা কম্পিউটারের জন্য কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হবে। সাথে অন্যান্য সফটওয়ারতো আছেই। ডিভিডি বার্ন করার নিরোর সস্তা ভার্শনের জন্য চাই ৪৯ ডলার, উইন ডিভিডি ৪৯ ডলার, পাওয়ার ডিভিডি ও ৪৯ ডলার। ৪৯ ডলার মানে ৩৪০০ টাকা প্রায়!
এবার দ্বিতীয় পথটা, ফ্রি ওপেনসোর্স সফটওয়্যারে নিজেদের বদলে ফেলা। এই পন্থায় বলতে গেলে কোন সমস্যাই নাই, শুধু চাই কিছু একাগ্রতা আর আগ্রহ। মানুষ অল্পসময়েই নিজেকে বদলে নিতে পারে, নতুন কিছু শিখে নিতে পারে। তবে তা না করে কেন "চোর" তকমা গায়ে এঁটে থাকা?
আপনি যখন কম্পিউটিং শিখেছেন, তখন এমএস প্রোডাক্ট শিখেছেন বলেই লিনাক্স বেজড সফটওয়ার আপনার কাছে কঠিন লাগে। তবে সেটা দুর করা সম্ভব একটু চেষ্টাতেই।
উইন্ডোজের বিকল্প হিসাবে লিনাক্স কয়েকবছর আগেও বেশ কঠিন ছিলো সাধারন মানুষের জন্য, তবে দেবিয়ান, উবুন্তু, মিন্ট এদের এখনকার টার্গেট সাধারন মানুষ হওয়াতে এদের অপারেশন এখন অনেকটাই ইউজার ফ্রেন্ডলী।
উইন্ডোজে যা করতেন তার সবই কিন্তু উবুন্তু বা মিন্টে করা সম্ভব।
আমি এক ধাক্কায় কাউকে বিকল্প মুক্ত সফটওয়ারের দুনিয়াতে আসতে বলছি না, তবে আপনারা চাইলে আস্তে আস্তে কিভাবে সরে আসতে পারেন সে আলোচনা করতে পারি।
পাইরেটেড সফটওয়ারে অভ্যস্ত থেকে গেলে ২০১৩ সালের পর কিন্তু আমরা লিখিতভাবে চোর হয়ে যাব! আর সরকারী-বেসরকারী সব মিলিয়ে ২০১৩ সালে কত হাজার কোটি টাকা শুধু লাইসেন্স কিনতে বেরিয়ে যাবে সেটা ভেবেছেন? এই টাকা কি আমরা বাঁচাতে পারিনা এই দেশের?
পারি, শুধু চাই ইচ্ছা আর একটুখানি লেগে থাকা
২০১৩ সালের ১ জুলাই খুব একটা দুরে নয় কিন্তু!