কবিঃ রাসেল অ্যাডসন
কবিতাঃ The Marionettes Of Distant Masters
অনুবাদঃ দুর-ক্রিয়ানকের নাচপুতুল
পিয়ানোবাদক স্বপ্নে দেখে, তাকে নিজের হাতে একটা পিয়ানো ভেঙেচুরে বিনাশের দায়িত্বার্পন করেছে একটা জাহাজ নির্মান ও মেরামত কোম্পানী...
ধ্বংসানুষ্ঠানের দিন সাজসজ্জায় সজ্জিত হলে জানালার কার্নিশের ফুলকেয়ারিতে চোখে পড়লো একটা প্রজাপতির জোড়া পুঞ্জাক্ষি ক্রমাগত জ্বালাতান করছে ফুলগুলোকে । প্রজাপতিটির প্রতি ক্ষোভের সঞ্চারে পিয়ানোবাদক পুলিশের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে । পরক্ষণে তার মনে হল উর্ধ্বলোকের জানালা থেকে কোরাসমাস্টারের জাদুকাঠির হেলানে নিপুণতার সাথে ক্রিয়াশীল প্রজাপতি শুধুই এক নাচপুতুল ।
মুহুর্তেই সবকিছু সুন্দর হয়ে ধরা দেয় তার কাছে । সে কাঁদতে শুরু করে ।
তখন আরেকটা প্রজাপতি প্রথম প্রজাপতিটাকে জ্বালাতন করতে শুরু করে । বিস্ময়বিহ্বল পিয়ানোবাদক পুনরায় আরক্ষাবাহিনী তলব করবেন কিনা ভাবছিলেন । কিন্তু দ্বিতীয় প্রজাপতিও হয়তো কোন ক্রিয়ানকের আঙুলের ইশারার নাচপুতুল । তার ধারনা, প্রজাপতি দুটো দুই প্রতিদ্বন্দী ক্রিয়ানকের নাচপুতুল, দেখছে কার প্রজাপতি অপরজনের টাকে বেশি জ্বালাতন করতে পারে ।
এবং এসব ঘটছে তার জানালার ফুলকেয়ারিতে । মহাজাগতিক পরিকল্পনাঃ উর্ধ্বলোকের ক্রিয়ানক নিয়ন্ত্রন করে উপক্রিয়ানককে যে পরিচালনা করছে পিয়ানোবাদককে নিয়ন্ত্রনকারী পুঁচকে প্রজাপতিকে ... সুতার বুনটাবদ্ধ এক মহাবিশ্ব !
হঠাৎ তার কাছে সব কিছুই অনেক সুন্দর মনে হতে লাগলো । অদ্ভুত আলোর রোশনাই তাকে মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন করে তোলে !
সে কাঁদতে শুরু করে...
==============
কবিঃ বিলি কলিন্স
কবিতাঃ The Dead
অনুবাদঃ
লোকে বলে, লোকান্তরবাসীরা সবসময়ই অধোদৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছে,
যখন আমরা জুতো পরিধান করছি কিংবা স্যান্ডউইচ বানাচ্ছি
তারা তাকিয়ে থাকে স্বর্গের নৌকার স্ফটিক তলদেশ দিয়ে
যখন তারা দাঁড় টেনে ধীরে ধীরে অনন্তের পথে এগিয়ে যায় ।
তারা পৃথিবীতে আমাদের মাথাপিছু চলাফেরা অববলোকন করে
এবং যখন শুয়ে থাকি খোলা মাঠে কিংবা গদিওয়ালা আসনে
হয়তো দীর্ঘ বিকালের ক্লান্ত সময়ের মৌতাতী আবেশে,
তারা মনে করে আমরাও তাদের দিকে তাকিয়ে আছি
এজন্য তারা তাদের বৈঠা তুলে রাখে, চুপচাপ থাকে
পূর্বপুরুষদের মত আমাদের চোখ বন্ধের অপেক্ষায় থাকে
অ্যানিমেশন
===========
কবিঃ ফেদেরিকো গার্থিয়া লোরকা কবিতাঃ Adivinanza De La Guitarra
অনুবাদঃ গিটারের হেঁয়ালি
গোলচত্বরের মাঝে
ছ’জন তরুনী নাচে ।
তিনজন তান্তবরুপী
আর তিনজন রুপার ।
অতীতের স্বপ্নসুর তাদের খুঁজে ফেরে
কিন্তু তারা বিভোর হয়ে আছে
এক সোনালী পলিফেমের চোখের মায়ায় ।
আহ! গিটার!
এক্সপ্লানেশন
====
কবিঃ স্যার ওয়ালার স্কট
কবিতাঃ The Lay of the Last Minstrel কবিতার ক্যানটো-৬ থেকে 'This is my own, my native land!'
অনুবাদঃ
নিচ্ছে নিশ্বাস আছে কি এমন ভাবলেশহীন প্রান
গুনগুনিয়ে যে গায়নি কখনো নিজ দেশের গান
“এ একান্তই আমার, আমারই জন্মভুমি”
দীর্ঘ বিদেশ-ভ্রমনে অন্তরে যার জ্বলেনি আগুন,
স্বদেশভূমে রেখে তৃষিত পদ হয়নি পরিতৃপ্ত হৃদয়মন
মানসপটে পড়েনি ছড়িয়ে প্রশান্তির অনুরনণ
চিহ্নিত করো, যদি থাকে এমন লঘুচিত্ত নির্বোধ,
গাইবে না কোন গীতিকবি, নয় স্তুতির ঋণ শোধ
হোক উপাধি আকাশ সমান, রাজসিক তার নাম
হোক তার সম্পদ সাগরসম, অসীম বিত্তবান
সবই নিষ্ফল-এতসব টাকাকড়ি, ক্ষমতা, নামধাম
যদি ডুবে থাকে আপনাতে সেই দুরাচারী নরাধম,
জীবিতকালেই খোয়াবে যশ খ্যাতি সম্পদ
এক মরনেই পাবে সে দ্বৈত মৃত্যুর স্বাদ
মিশে যাবে ধুলির দেহ অসার ধুলিতেই পুনরায়
অকীর্তনে, অশোকাবহে এবং অশ্রদ্ধায়
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৫