somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা পরিচিতি (শেষ কিস্তি)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা পরিচিতি (১ম কিস্তি)

বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা পরিচিতি (২য় কিস্তি)

বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা পরিচিতি (৩য় কিস্তি)

ওরাঁও বা কুঁড়ুখ ভাষা: বাংলাদেশে উত্তরবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলাতেই এক সময় ওঁরাও বা কুঁড়ুখ ভাষা-ভাষীদের বসবাস থাকলেও বর্তমানে শুধুমাত্র রংপুর, দিনাজপুর, জয়পুরহাট জেলাতে কুড়ুঁখ ভাষী ওরাঁওগণ বাস করে। এছাড়াও সিলেটের চা বাগানে অল্প কিছু ওরাঁও বাস করে। বর্তমানে বাংলাদেশ এদের মোট সংখ্যা প্রায় ২৫,০০০। কুঁড়ুখ ভাষাটি আদি ও কথ্য ভাষা। এই ভাষার নিজস্ব কোন বর্ণমালা নেই। বাংলাদেশের আদিবাসীদের মধ্যে একমাত্র ওরাঁওরাই দ্রাবিড়িয় ভাষা বংশের সদস্য। নৃতাত্ত্বিক দিক থেকেও এদেরকে দ্রাবিড় বা প্রাক-দ্রাবিড়গোষ্ঠীভুক্ত করা হয়েছে। যেহেতু এদের চেহারা কালো, নাক খাঁড়া ও চ্যাপ্টা, চুল কোঁকড়ানো, মাথা গোলাকৃতির এবং উচচতা মাঝারি কাজেই এরা মঙ্গোলীয় বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে না। অধুনাকালে কেউ কেউ অবশ্য ওরাঁওদেরকে সাঁওতালদের সঙ্গে মিলিয়ে আদি অস্ট্রেলীয় গোষ্ঠীভুক্ত বলে মত প্রকাশ করেছেন । ওরাঁও ঠিক কোন গোষ্ঠীভুক্ত এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ভাষাবিচারে এরা নিঃসন্দেহে দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের।

পাহাড়িয়া ভাষা: বাংলাদেশের রাজশাহী, জয়পুরহাট, দিনাজপুর জেলায় প্রায় ৭৩৬১ জন পাহাড়িয়া জাতির লোক বাস করে। পাহাড়িয়া জাতির দুটি শাখা রয়েছে। এদের একটি শাওরিয়া পাহাড়িয়া বা মালের এবং অন্যটি মাল পাহাড়িয়া বা মালো। বাংলাদেশে মাল পাহাড়িয়াদের সংখ্যা কম। এদের ভাষাকে মালতো বলা হলেও আসলে মিশ্র ভাষা এবং দীর্ঘদিন বাঙালিদের পাশাপাশি বসবাসের ফলে মূল ভাষা হারিয়ে গেছে। শাওরিয়া পাহাড়িয়াদের ভাষা বর্তমানে সাদরি-র খুব নিকটবর্তী এমনকী সাদরি নামে বহুল পরিচিত। শাওরিয়া ও মাল পাহাড়িয়াদের ভাষার কোন নিজস্ব বর্ণমালা নেই।

মাহালি ভাষা: উত্তরবঙ্গের মাহালি জাতিগোষ্ঠীর ভাষার নাম মাহালি ভাষা হলেও এই ভাষার বর্তমান রূপকে সাদরিই বলা হয়। সম্ভবত মূল রূপটি বিলুপ্ত হয়েছে যা দ্রাবিড় গোত্রভুক্ত ছিল। এদের কথ্য ভাষায় মূল বর্তমানে শুধু মাহালি ভাষার কিছু কিছু শব্দাবলীর প্রচলন লক্ষ করা যায়। যেমন-দাস(পানি), দাকা (ভাত), দানড়ি (গরু) ইত্যাদি।

ইন্দো-ইউরোপিয় ভাষাসমূহঃ
বাংলাদেশে ইন্দো-আর্য ভাষা পরিবারভুক্ত ভাষার মধ্যে বাংলা উলেখযোগ্য হলেও আদিবাসীদের মধ্যে চাকমা ভাষা এবং সাদরি ভাষা এই গোত্র ভুক্ত ভাষা। এছাড়া মণিপুরীদের মধ্যে বিষ্ণুপ্রিয়া, হাজং প্রভৃতি এই বর্গের ভাষা।

চাকমা ভাষা: বাংলাদেশের আদিবাসীদের মধ্যে জনসংখ্যা এবং অবস্থান বিচারে চাকমা বা চাক্সমা অন্যতম। চাকমারা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও ভারতের মিজোরাম, আসাম, ত্রিপুরা ও অরুণাচল প্রদেশেও বাস করে। এছাড়া চাকমাদের একটি শাখা মায়ানমারে রয়েছে বলে জানা যায়, যেখানে তারা মূলত দইংনাক নামে পরিচিত। চাকমারা নৃতাত্ত্বিকভাবে মঙ্গোলীয়। চাকমা ভাষা ই-ই ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী একমাত্র চাকমা এবং তঞ্চঙ্গাদের ভাষা এই পরিবারের অন্তর্ভূক্ত। অন্যদিকে দেখা যায় যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বা তার আশেপাশে ভারত ও মায়ানমার-এ বসবাসরত প্রায় সকল মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত জাতিসত্তার ভাষা ভোটচিনীয় ভাষাগোষ্ঠীর অর্ন্তভূক্ত। তাই এদিক থেকে চাকমাদের সাথে অন্যান্য প্রায় সকল আদিবাসী ভাষাগোষ্ঠীর অমিল লক্ষ করা যায়।

প্রায় সকল ভাষাতাত্ত্বিকই চাকমা ভাষাকে ইন্দোইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত করেছেন। জর্জ গ্রিয়ারসন চাকমা ভাষাকে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর প্রাচ্য শাখার দক্ষিণ-পূর্বী উপশাখার অন্তর্ভূক্ত করেছেন। তিনি চাকমা ভাষাকে বাংলার অপভ্রংশ বা উপভাষা বলেছেন, এমনকী ‘এই ভাষা এতই পরিবর্তিত হয়ে গেছে যে একে পৃথক ভাষা বলা যেতে পারে’ ।

সাদরি: বাংলাদেশের আদিবাসীদের মধ্যে, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে সাদরি ভাষা ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত। এ অঞ্চলে বসবাসকারী দুই প্রধান আদিবাসী জাতি হচ্ছে সাঁওতাল ও ওরাঁও। সাঁওতালদের মধ্যে কেউ কেউ সাদরি ভাষায় ভাব আদান-প্রদানে অভ্যস্ত। তবে ওরাঁওদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাদরি ভাষার প্রয়োগ লক্ষ করা যায়। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলাগুলোতে বসবাসকারী অন্যান্য আদিবাসীদের প্রধান ভাষা হচ্ছে সাদরি। বাংলাদেশে সাদরি ভাষা আদিবাসীদের সংখ্যা কত এ বিষয়ে তেমন কোন তথ্য-উপাত্ত নেই। এক তথ্যে দেখা যায় বাংলাদেশে প্রায় দুই লক্ষ সাদরি ভাষী রয়েছে । সাদরি ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের ইন্দো-আর্য, পূর্বাঞ্চলী, বিহারি শাখাভুক্ত ভাষা। শুরুতে ব্যবসায়িক যোগাযোগের ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ক্রমে ক্রমে এই বিশাল আদিবাসী গোষ্ঠীর মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ছোট-নাগপুর, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা, প্রভৃতি রাজ্যের এক বিরাট জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা হিসেবে সাদরি বহুল ব্যবহৃত। বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় ৮৫ হাজার ওরাঁওদের মধ্যে দুই-তৃতীংয়াংশের মাতৃভাষা সাদরি। এদের মূলভাষা কুঁড়ুখ এরা জানেনা বিশেষ করে রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ জেলায় বসবাসকারী ওরাঁওগণ। এই জেলাগুলোতে বসবাসকারী পঞ্চাশ হাজারেরও অধিক ওরাঁও বর্তমানে সাদরি ভাষা ব্যবহার করে। ওরাঁও ছাড়াও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সাদরি। মাহাতো, সিং, রাজোয়াড়, মাহালি, কর্মকার, রবিদাস, কুলকামার, পাহান, রাই, তুরি, ভূমিজ প্রভৃতি আদিবাসীগণ সাদরি ভাষা মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহার করলেও ক্ষেত্র বিশেষ তাদের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। যা সাদরির উপ-ভাষাগত পার্থক্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ভোজপুরি ভাষার সঙ্গে মিল থাকায় অনেকেই একে ভোজপুরির উপভাগ বলেও মনে করে। জর্জ গ্রিয়ারসন সাদরি এবং তার কাছাকাছি অনেকগুলো উপভাষার সন্ধান পান। তিনি সাদরিকে কোন পৃথক ভাষা হিসেবে চিহ্নিত না করে আদিবাসী এবং অ-আদিবাসীদের ভাব বিনিময়ের একটি মিশ্র নতুন ভাষা হিসেবে তাঁর ীওঅ-এ উপস্থাপন করেছেন।

বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা: বাংলাদেশের মূলত সিলেট বিভাগে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের বসবাস । জাতিগতভাবে এক হলেও মণিপুরী জাতি ভাষাগতভাবে দুই ভাগে বিভক্ত। বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী ভাষার দুটি উপভাষা রয়েছে-এদের একটি রাজার গাঙ (অর্থাৎ রাজার গ্রাম) এবং অপরটি মাদাই গাঙ (অর্থাৎ রানীর গ্রাম)। ড. কে পি সিনহা-র মতে নব ইন্দো-আর্য ভাষার উৎপত্তি কালে বা সামান্য পরে অর্থাৎ ত্রয়োদশ থেকে পঞ্চদশ শতকে ইন্দো-আর্য ভাষার থেকে পৃথক বৈশিষ্ট্য নিয়ে স্বতন্ত্র্য ভাষা হিসেবে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা সর্বপ্রথম ভারতের মণিপুর রাজ্যে প্রচলিত হয়। পরে এই বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষাটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় ষোড়শ শতাব্দীতে। ত্রয়োদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত বিষ্ণুপ্রিয়া ও মৈতেয় জনগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য বিষ্ণুপ্রিয়াতে মৈতেয় শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটে। উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় ব্যাপকভাবে ইন্দো-আর্য ভাষা পরিবারের শব্দাবলি প্রবেশ করে। অহমিয়া ও বাংলা ভাষার সাথে এই ভাষার যথেষ্ট মিল থাকার কারণে এটিকে বাংলা বা অহমিয়ার উপভাষাও বলা হয়ে থাকে। এ বিষয়ে যথাযথ গবেষণা করার অবকাশ রয়েছে বলে মনে করি।

হাজং: ইন্দো-ইউরোপিয় ভাষা পরিবারের মধ্যে হাজং ভাষা বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশের উত্তরাংশের ময়মনসিংহ (বিরিশিরি, হালুয়াঘাট, নালিতাবাড়ী, সুসং দুর্গাপুর, কলমাকান্দা প্রভৃতি অঞ্চলে প্রায় ১২০০০ আদিবাসী হাজং ভাষা ব্যবহার করে), শেরপুর, নেত্রকোণা, জামালপুর এবং সুনামগঞ্জসহ সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ১৪ হাজার হাজং বাস করে (ময়মনসিংহ জেলা গেজেটিয়ার; ১৯৯২)। নৃতাত্ত্বিক বিবেচনায় এরা মঙ্গলীয় জাতির হলেও এদের ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয়। যদিও জীবনাচরণও অন্যান্য দিক থেকে গারো এবং কোচদের সঙ্গে মিল রয়েছে। জর্জ গ্রিয়ারসন হাজং ভাষাকে তিব্বত-বর্মন ভাষা হিসেবে উলেখ করেছেন। কিন্তু এ ভাষা বাংলা এবং অহমিয়ার সঙ্গে এতটাই সাদৃশ্যপূর্ণ যে কোন ক্রমেই এটাকে চীনা-তিব্বতী পরিবার ভুক্ত ভাষা বলার অবকাশ নেই। এমনকী কাছারের (আসাম) ভাষার অসংখ্য শব্দাবলি এই ভাষায় ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া ধর্ম-পালনও পূজা-আচারের বিবেচনায় হাজংরা হিন্দুদের সমগোত্রীয়। এক সময় হয়তো হাজংদের ভাষা অন্যরকম ছিল কিন্তু কালের বিবর্তনের ধারায় এটি পরিবর্তিত হয়েছে, বিশেষ করে এরা যখন আসামের হাজোনগর ছেড়ে ময়মনসিংহ ও গারো পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় চলে আসে। কোন কোন বাংলা শব্দের সাথে হাজং শব্দের, হাজং শব্দের সাথে অহমিজ শব্দের এবং অহমিজ শব্দের সাথে বাংলা শব্দের মিল রয়েছে। এতে বোঝা যায়, এতদঞ্চলে বাংলা ভাষার প্রচলন ছিল এবং হাজং উপভাষায় অহমিজ ও বাংলা শব্দের অবাধ প্রবেশ ঘটেছে’।

তঞ্চঙ্গা: বাংলাদেশের আদিবাসীদের মধ্যে তঞ্চঙ্গা উলেখযোগ্য। এরা মূলত বাস করে রাঙামাটি এবং বান্দরবান জেলায়। ভাষা-সংস্কৃতি-শিক্ষা প্রভৃতি দিক থেকে তঞ্চঙ্গারা অনেকটা এগিয়ে আছে চাকমা এবং মারমাদের মতো। তঞ্চঙ্গাদের রয়েছে নিজস্ব বর্ণমালা। যা মারমা বর্ণমালার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এবং চাকমা বর্ণমালার সঙ্গে কোন পার্থক্য নেই। জাতিগতভাবে তঞ্চঙ্গারা নিজেদেরকে স্বতন্ত্র্য এবং পৃথক দাবি করলেও নৃতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিক বিচারে অনেকের মতেই তারা অভিন্ন চাকমা জাতির দুটি ভিন্ন গোত্র। শারিরীক গঠন, গায়ের রং, ভাষা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যে কিছু সামান্য পার্থক্য ছাড়া মূলত অভিন্ন। ক্যাপ্টেন টি.এইচ. লুইন তার গ্রন্থে তঞ্চঙ্গাদেরকে চাকমা জাতির একটি উপগোত্র হিসেবে উলেখ করেছেন। বাংলাদেশে ১৯৯১ সালের জনগণনা অনুযায়ী তঞ্চঙ্গাদের সংখ্যা ২১০৫৭পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী তঞ্চঙ্গাদের কয়েকটি গছা বা দল পাওয়া। এরকম ছটি গছার নাম উলেখ করেছেন যোগেশচন্দ্র তঞ্চঙ্গা। সাধারণত কয়েকটি বংশ মিলে একটি গছা গটিত হয়। তঞ্চঙ্গাদের ছটি গছা হচ্ছে- মো, কার্বোয়া, ধন্যা, মংলা, মেলং ও লাং।

চাকমা ভাষা এবং তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার মধ্যে উচচারণগত তারতম্যটাই মূল পার্থক্য, এর বেশী কিছু নয়। চাকমা ভাষা লিপি এবং তঞ্চঙ্গ্যা ভাষা লিপির বর্ণমালা প্রায় এক, যার অধিকাংশই বর্মী হরফের অনুরূপ। জর্জ গ্রিয়ারসনের মতে থাই, বর্মী, শান, খামতি, লাওস, অহোম এবং চাকমাদের বর্ণমালার উৎপত্তি এক। তঞ্চঙ্গা ভাষাকে চাকমা ভাষার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ মনে হলেও কোন কোন গবেষক উভয়ের মধ্যে পার্থক্য অনুসন্ধান করেছেন। এমনকি তঞ্চঙ্গা শব্দের উৎসানুসন্ধানও করেছেন।সামগ্রিকভাবে বলা যায় তঞ্চঙ্গা ভাষায় নানা ভাষিক শৃঙ্খলা ও ব্যতিক্রমের সমন্বয়ে গঠিত চাকমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত একটি ভাষা যা আপন স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে পরিবর্তিত ও বিকশিত হবার সুযোগ পায়নি।

বাংলাদেশের এই আদিবাসী ভাষাগুলো নিয়ে এখনো ব্যাপক গবেষণার অবকাশ রয়েছে। আর এর জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রিয় উদ্যোগ। বিশেষ করে আদিবাসীদের জন্য মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রচলনের পদক্ষেপ নিতে এ বিষয়ে গবেষনা হওয়া জরুরী। কোনো কোনো আদিবাসীদের (যেমন, খুসি পাংখোয়া) ভাষাকে বিপন্নতার হাত থেকে রক্ষা করতে সংরক্ষণ বা ডকুমেন্টেশন করা জরুরি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২১
৮টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×