নিজের সম্পর্কে হাইকোর্ট বিভাগের এক বিচারপতির মন্তব্যের পর ওই বিচারককে অপসারণে সংসদ সদস্যদের প্রস্তাব প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন স্পিকার আবদুল হামিদ।আজ সংসদ অধিবেশনে এই বিষয়ে রুলিং দেন স্পিকার। এতে বিচারক ও সাংসদদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের ফলে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়াস চালিয়েছেন তিনি।
স্পিকারের বক্তব্য
মাননীয় সদস্যবৃন্দ, গত ২৯ মে, ২০১২ তারিখ মহান এ সংসদে কয়েকজন মাননীয় সংসদ সদস্যের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমি কিছু কথা বলেছিলাম। আমার বক্তব্যের বিষয় ছিল মূলত সংসদ, আদালত ও নির্বাহী বিভাগের সাথে জনগণের সম্পর্ক এবং তাদের কল্যাণ সাধন। মাননীয় সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই তাত্ক্ষণিকভাবে কিছু সাধারণ মন্তব্য করা হয়েছিল। পরবর্তীতে গত ৫ জুন, ২০১২ তারিখে ইন্টারনেট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ মর্মে সংবাদ পরিবেশিত হয় যে হাইকোর্ট বেঞ্চের একজন মাননীয় বিচারপতি আমার বক্তব্যকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন এবং আমার ও জাতীয় সংসদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ ও অনাকাংখিত মন্তব্য করেছেন। ওই দিনই সংসদ চলাকালীন আপনাদের মধ্যে সিনিয়র কয়েকজন মাননীয় সদস্য পয়েন্ট অব অর্ডারে বিষয়ে সংসদের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকল্পে উক্ত মাননীয় বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এমনকি সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনপূর্বক অপসারণের দাবী জানিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন। উপস্থিত সকল মাননীয় সদস্য উক্ত বক্তব্য সমর্থন করেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। ওই দিন স্পীকারের দায়িত্ব পালনরত মাননীয় ডেপুটি স্পীকার এ বিষয়ে আমার সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আপনাদের জানিয়েছিলেন। স্পিকার তথা সংসদকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সংবিধানের ৭৮(১) অনুচ্ছেদ লংঘন না করা, সংসদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সংসদকে বিতর্কের উর্ধ্বে রাখার জন্যে সেদিন আপনারা এ বিষয়ে তাত্ক্ষনিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এবং বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেছিলেন। বস্তুত সেই মুহূর্তে সেটাই স্বাভাবিক ছিল। আপনাদের এ সেন্টিমেন্টকে আমি শ্রদ্ধা করি, আপনাদের প্রতি জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।