somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুদ্ধাপরাধের বিচার!!! শাহরিয়ার কবিরের বইতে যা আছে তা ঘরে বসে হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে চার্জশিটে।

১৫ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা আলবদর নেতা বা সদস্য ছিলেন- এমন কোনো প্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনাল মন্তব্য করেছেন, শাহরিয়ার কবিরের বইতে যা আছে তা ঘরে বসে হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে চার্জশিটে। তদন্ত কর্মকর্তা স্পটে যাননি। একটি বই পেয়ে মনে করেছেন সব পাওয়া হয়ে গেছে।
ট্রাইব্যুনাল তীব্র ক্ষোভের সাথে বলেন, চারটি অভিযোগের পক্ষে শুধু ২০০৭ সালের ভোরের কাগজের একটি কপি আর শাহরিয়ার কবিরের বই ছাড়া কিছু নেই। কেন, ১৯৭২ সালের কোনো পেপার পাননি আপনারা? ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ক্ষোভের সাথে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বলেন, কী তদন্ত করেছেন আপনারা? এটা কোনো চার্জ হলো? ট্রাইব্যুনাল আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন খানকে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য পেশ শেষ হলে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আব্দুল কাদের মোল্লা আলবদর নেতা ছিলেন এটা আমরা মানতে পারলাম না।
এর আগে, মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটরদের নির্দেশ দিয়েছিলেন কাদের মোল্লা যে আলবদর নেতা এ অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ হাজির করতে।
গতকাল ট্রাইব্যুনালের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী। তিনি বলার চেষ্টা করেন ছাত্রসংঘের লোকজন আলবদর বাহিনীর কর্মী ছিল এবং কাদের মোল্লা যেহেতু ছাত্রসংঘের নেতা ছিলেন, তাই তিনি আলবদরেরও নেতা ছিলেন। তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, তিনি ছাত্রসংঘের নেতা ছিলেন এ মর্মে কোনো ডকুমেন্ট আছে? কিন' সে দাবির পক্ষেও কোনো ডকুমেন্ট হাজির করতে পারলেন না প্রসিকিউটর। এমনকি তিনি কোথায়, কোন পর্যায়ের নেতা ছিলেন তাও নির্দিষ্ট করে না বলে শুধু আলবদর নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয় তাকে। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক এ পর্যায়ে প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। মোহাম্মদ আলীও তখন বলেন, হ্যাঁ, তিনি শহীদুল্লাহ হলের সভাপতি ছিলেন। তখন ট্রাইব্যুুনাল প্রশ্ন করেন, শহীদুল্লাহ হলের সভাপতি ছিলেন এ মর্মে কোনো ডকুমেন্ট আছে আপনার কাছে? কিন' তিনি এ বিষয়েও কোনো প্রমাণ থাকার কথা বলতে পারেননি।
একপর্যায়ে মোহাম্মদ আলীর উদ্দেশে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির বলেন, আপনি তো বলতে পারলেন না; আমি খুঁজে পেয়েছি । ২৫ নম্বর পৃষ্ঠায় দেখুন, সেখানে ড. হাসানের জবানবন্দীতে বলা আছে, তিনি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন।
গতকাল আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী বলেন, তখনকার ছাত্রসংঘের সদস্যরা আলবদর করত। কাদের মোল্লা ছাত্রসংঘের নেতা ছিলেন। কাজেই তিনিও আলবদর সদস্য ছিলেন। তিনি নিজে সেফ হোম তৈরি করেছিলেন। এ বিষয়ে তার স্বীকারোক্তি আছে।
আব্দুল কাদের মোল্লা আলবদর নেতা ছিলেন এ বিষয়ে অভিযোগ বিষয়ে গতকাল ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে যেসব প্রশ্ন করেন এবং তিনি যেসব উত্তর দেন তা এখানে তুলে ধরা হলো।
বিচারপতি নিজামুল হক : মি. মোহাম্মদ আলী, আমরা কিন' আমাদের প্রশ্নের জবাব এখনো পাইনি। কাদের মোল্লা সাহেব যে আলবদর বাহিনীর সদস্য ছিলেন এর সপক্ষে কী পেয়েছেন তা দেখান।
মোহাম্মদ আলী : তিনি শহীদুল্লাহ হলের ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। আলবদর কর্মীরা ছাত্রসংঘ করত তখন। কাদের মোল্লা ছাত্রসংঘ করতেন। কাজেই তিনিও আলবদর বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
বিচারপতি নিজামুল হক : কাদের মোল্লা শহীদুল্লাহ হলের ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন এ মর্মে কোনো ডকুমেন্ট আছে?
এ পর্যায়ে মোহাম্মদ আলী ইংরেজিতে বলেন, নট ওনলি মেম্বার অব আলবদর ...
তখন ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির বলেন, কাদের মোল্লা আলবদর বাহিনীর সদস্য ছিলেন এ মর্মে কোনো ডকুমেন্ট তো দেখাতে পারলেন না; তাহলে নট ওনলি মেম্বার বলেন কী করে? তিনি ছাত্রসংঘের শহীদুল্লাহ হলের সভাপতি ছিলেন তাও তো দেখাতে পারলেন না। ছাত্রসংঘের সবাই যে আলবদর করত, তা-ও নয়। যারা করত তাদের নামের তালিকা আছে। আপনার কাছে কি তাদের কোনো তালিকা আছে? কোনো ডকুমেন্টই তো দেখাতে পারলেন না, যা প্রমাণ করতে পারবেন না সে দিকে গেলেন কেন? বিচারপতি নিজামুল হক : কাদের মোল্লা শহীদুল্লাহ হলের সভাপতি ছিলেন এরকম কথা কেউ কি বলেছে?
মোহাম্মদ আলী : অবস'ার প্রেক্ষিতে বোঝা যায়।
বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ : তদন্ত কর্মকর্তার কাছে কি আপনি জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তিনি ওই হলের সভাপতি ছিলেন, এ রকম কিছু তিনি পেয়েছেন কি না বা তদন্ত কর্মকর্তা হলের প্রভোস্টের কাছে এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করেছিলেন কি না। একটা রিপোর্ট পাওয়ার পর তা একটু যাচাই করার চেষ্টা করলেন না? বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির : চোখ বন্ধ করে রিপোর্ট জমা দিয়ে দিয়েছেন এটা হলো আপনাদের সমস্যা। বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ : ছাত্রসংঘের সবাই আলবদর করত, কাজেই কাদের মোল্লাও আলবদর সদস্য; কিন' সেভাবে দেখাতে হলেও আগে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি ছাত্রসংঘের শহীদুল্লাহ হলের সভাপতি ছিলেন।
বিচারপতি নিজামুল হক : কাদের মোল্লা শহীদুল্লাহ হলের সভাপতি ছিলেন তা প্রমাণ করবেন কিভাবে? হয় আপনাকে কোনো কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করতে হবে অথবা কোনো সাক্ষীর মাধ্যমে বলাতে হবে। তো আপনি কি এ জাতীয় কোনো একটি পেপারও এনেছেন?
মোহাম্মদ আলী : খোঁজা হচ্ছে। বাংলা একাডেমীতে খোঁজার কাজ চলছে।
বিচারপতি নিজামুল হক : আমরা যেভাবে আপনার কাছে খুঁজছি আপনি সেভাবে খোঁজেননি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে। এক নম্বর অভিযোগে আসেন প্রথমে। এখানে বলেছেন একমাত্র ভোরের কাগজ পত্রিকা ছাড়া আর কোনো সাক্ষী নেই।মোহাম্মদ আলী : আছে। ওরাল এভিডেন্স।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির : এক নম্বর অভিযোগ প্রমাণ করার মতো কী আছে তা দেখান।
মোহাম্মদ আলী : ভোরের কাগজ পত্রিকা এবং শাহরিয়ার কবির সম্পাদিত একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার নামে বই।
বিচারপতি নিজামুল হক : অভিযোগে বলা হয়েছে, মিরপুর ১২ নম্বর থেকে টেনে-হিঁচড়ে একজনকে শাহআলী মাজার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হলো। এতটা পথ টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেল তার পক্ষে কোনো একজন সাক্ষী নেই? মিরপুর ১ নম্বর থেকে ১২ নম্বর পর্যন্ত প্রায় তিন মাইল। এখানেও একজন সাক্ষী পেলেন না? কী তদন্ত করেছেন আপনারা?
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির : এটা কিভাবে গ্রহণ করলেন আপনারা?
বিচারপতি নিজামুল হক : তিন মাইল জায়গা একটা লোককে দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে নিয়ে গেল আর একজন সাক্ষী নেই তার?মোহাম্মদ আলী : নট এভেলেবল ।
বিচারপতি নিজামুল হক : শাহরিয়ার কবির বই লেখার জন্য যাদের কাছে গেছেন এবং তাদের কাছে যারা কথা বলেছেন ও তথ্য দিয়েছেন- তারা কোথায়? তারা শাহরিয়ার কবিরকে বলতে পারলে আপনাদের বলবে না কেন? শাহরিয়ার কবির যাদের কাছে গিয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা কি তাদের কাছে গিয়েছিলেন?
ভোরের কাগজের একটা রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন আর একটা বই সংগ্রহ করে মনে করেছেন সব হয়ে গেছে? হ্যাভ ইউ সার্চড ফর দ্য উইটনেস?
বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ : সাক্ষী তো আছে কিন' আপনারা তাদের খুঁজে আনেননি।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির : পল্লবের হত্যা বিষয়ে শাহরিয়ার কবিরের বইতে কী আছে পড়ে শোনান।
এ সময় মোহাম্মদ আলী শাহরিয়ার কবিরের বই থেকে পড়ে শোনাতে শুরু করেন। তিনি বলেন, মিরপুর ১২ নম্বর থেকে শাহআলী মাজার পর্যন্ত পল্লবকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় কাদের মোল্লার নির্দেশে। ঈদগাহ মাঠে একটি গাছের সাথে তাকে দুইদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর তাকে কাদের মোল্লার নির্দেশে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার পরও তাকে দুই দিন গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় ভীতি সৃষ্টির জন্য।
বিচারপতি নিজামুল হক : শাহরিয়ার কবিরের বইতে যা আছে তা-ই হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে। তিনি স্পটে যাননি। তদন্ত কর্মকর্তা ঘরে বসে লিখে দিয়েছেন। বইটা পেয়ে মনে করেছেন সব পেয়ে গেছেন। বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ : জল্লাদখানায় গেলেও তো দুয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী পেতেন। আপনাদেরও একটা তদন্ত করার দরকার ছিল না?
বিচারপতি নিজামুল হক : যত কিছুই বলেন, কেউ না কেউ শাহরিয়ার কবিরের সাথে কথা বলেছেন। যে লোক শাহরিয়ার কবিরের সাথে কথা বলেছেন সে কেন তদন্ত কর্মকর্তাকে বলবে না? আমার কথা হলো তদন্ত কর্মকর্তা কি কাউকে খুঁজেছেন।
মোহাম্মদ আলী : খুঁজছেন, পাওয়া যায়নি।

বিচারপতি নিজামুল হক : কোথায় খুঁজছেন? খোঁজার পদ্ধতি কী? মোদ্দা কথা হলো বইতে যা আছে তা তদন্ত রিপোর্টে লিখে দিয়েছেন। তা আবার হুবহু ফরমাল চার্জেও তুলে দিয়েছেন। আগামীকাল তদন্ত কর্মকর্তাকে এখানে ডাকবেন।
বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ : আপনাদের তো কিছু পাওয়ার দেয়া হয়েছে। প্রসিকিউটরও তদন্ত কাজ করতে পারবেন। কিন' তা না করে বইতে যা আছে তা হবহু তুলে দিয়েছেন।
আপনি বলেন, পৃষ্ঠা নম্বর ১ থেকে ১০৫ পর্যন্ত যে সাক্ষীদের নাম দিলেন তা কেন দিলেন?
মোহাম্মদ আলী : ফর গিভিং জেনারেল পিকচার অব দ্য হিস্টরি।
বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ : এ জন্য তো জুডিশিয়াল নোটিশই যথেষ্ট। এখানে দেখা যাচ্ছে ফেরদৌসী প্রিয়ভাসিনীর নামও আছে। তাকেও কি এখানে আনতে চান?
আমাদের তো এই বিশাল মোটা মোটা বই বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। টেলিভিশনে দেখাচ্ছে মোটা মোটা সব বই জমা দিয়েছেন আপনারা। আপনি এসব পড়েছেন? আমি কিন' পড়েছি।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির : আসামির পরিচয় দিতে পারলেন না, এটা আমাদের কাছে অবাক লাগছে। তিনি ৭১ সালে কী ছিলেন তা বলতে পারলেন না।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির : এরপর মোহাম্মদ আলীর উদ্দেশে বলেন, কাদের মোল্লার ছাত্রসংঘে সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে আপনি তো বলতে পারলেন না। কিন' দেখেন, আমি পেয়েছি। ২৫ নম্বর পৃষ্ঠায় যান। ড. হাসানের জবানবন্দীতে। তিনি বলেছেন, কাদের মোল্লা সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন।
ছাত্রসংঘের যেহেতু সভাপতি ছিলেন কাজেই তার প্রভাব ছিল। সেটা প্রমাণ করেন। আলবদর প্রমাণে যাওয়ার দরকার কি? ছাত্রসংঘের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ছিলেন এটাই তো যথেষ্ট।
বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ : কাদের মোল্লার উপসি'তিতে হত্যা করা হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ আছে?
মোহাম্মদ আলী : কাদের মোল্লার নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে। নির্দেশ ইজ হিয়ার।
বিচারপতি জহির আহমেদ : নির্দেশ যখন দিয়েছে তখন সে সেখানে ছিল। না থাকলে নির্দেশ দিলো কী করে। এটা বলতে চাচ্ছেন আপনি?
মোহাম্মদ আলী : হ্যাঁ। ৫ তারিখ নির্দেশ দিয়েছে এবং ৫ তারিখই হত্যা করা হয়েছে।
বিচারপতি নিজামুল হক : শাহরিয়ার কবিরের বইতে কী আছে পড়ে শোনান।
মোহাম্মদ আলী : আব্দুল কাদের মোল্লা তার সহযোগী আক্তারকে নির্দেশ দেন পল্লবকে হত্যার জন্য।
বিচারপতি নিজামুল হক : উপসি'ত নেই, বোঝা গেল।
বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ : বোঝা গেল বই থেকে হুবহু তুলে দিয়েছেন। তারপর সেখানে আপনি নিজে যোগ করে দিয়েছেন যে, কাদের মোল্লা সেখানে উপসি'ত ছিলেন।
বিচারপতি নিজামুল হক কবি মেহেরুননিসা হত্যার অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করেন মোহাম্মদ আলীকে।
বিচারপতি নিজামুলক হক : ২০০৭ সালের ভোরের কাগজ পেলেন আর কিছু পেলেন না? আমরা ১৯৭২ সালের পেপার দেখতে চাই। ১৯৭২ সালের কোনো পেপার খুঁজেছেন? বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ : মেহেরুননিসা হত্যা বিষয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে। আপনি তার একটাও পেলেন না?
মেহেরুননিসা হত্যা বিষয়ে শাহরিয়ার কবিরের বই থেকে ১০ লাইন তুলে দিয়েছেন আর কিছু পেলেন না?
বিচারপতি নিজামুল হক : আপনি শুধু ভোরের কাগজের ২০০৭ সালের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করেছেন। হোয়াই নট ১৯৭২ পেপার?

মোহাম্মদ আলী : সংগ্রহ করা যায়নি।
বিচারপতি নিজামুল হক : বলেন, খোঁজা হয়নি। আপনি বেগম পত্রিকা অফিসে যান, সব পাবেন।
বিচারপতি জহির আহমেদ : সম্পাদকের নাম বলে দিলাম নূরজাহান বেগম। রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের ওয়াইফ।
তা ছাড়া দেশের বিভিন্ন লাইব্রেরিতে ১৯৭২ সালের পেপার আছে।
বিচারপতি নিজামুল হক : এটা কোন চার্জ হলো? একটা লোকের নাম দিতে পারেননি। কী তদন্ত করেছেন। মিনিমাম একটা লোকের নাম দিতে হবে যে, এই লোকটাসহ আরো অমুক অমুক মারা গেছে। একটা ভিকটিমের নাম দিতে পারেননি। বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ : তার চেয়ে আপনি লিখে দেন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যা আছে সব কিছু অন্তর্ভুক্ত।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির : হাজার হাজার লোক মারা গেছে বললেন, আর একটা লোকের নাম দিতে পারলেন না?
গতকাল আব্দুল কাদের মোল্লার আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন খান ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন যে, চার্জশিটে নতুন করে কিছু যোগ করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে বলেন, নতুন করে যা যোগ করা হয়েছে তা বাতিল করা হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হলে ট্রাইব্যুনাল বলেন, কাদের মোল্লা আলবদর নেতা ছিলেন তা আমরা মানতে পারছি না। (উই শ্যাল নট কনসিডার দ্যাট দিস ম্যান ওয়াজ আলবদর লিডার। )
ফরিদ উদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, কিছু প্রিন্টিং ভুল সংশোধনের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। কিন' প্রসিকিউশন অনেক বাক্য বদল করেছেন। অনেক কিছু নতুন করে যোগ করেছেন, যা আইনত অবৈধ। তিনি বলেন, কাদের মোল্লা আলবদর নেতা ছিলেন এ মর্মে ডকুমেন্ট হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। কিন' তারা কোথাও দেখাতে পারেননি যে, তিনি আলবদর নেতা ছিলেন। তাই সব ক’টি অভিযোগের সাথে তারা লিখে দিয়েছেন তিনি স'ানীয় আলবদর নেতা ছিলেন। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর সব জায়গার অভিযোগের সাথে লেখা হয়েছে তিনি স'ানীয় আলবদর নেতা ছিলেন। একজন ব্যক্তি একই সাথে বিভিন্ন স'ানে স'ানীয় নেতা কিভাবে হন? আগামী ২১ মার্চ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে শুনানি পেশ করবেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।


মেহেদী হাসান
নয়াদিগন্ত-১৫-মার্চ-২০১২
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×