somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব
এটাই আমার একমত্র আইডি। আমার আর কোন আইডি নেই। আমার নাম,ছবি দিয়ে ফ্যাক কয়েকটা আইডি খোলা হয়েছে। সো সাবধান থাকুন। পারলে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুন। আমি করেছি,লাভ হয় নাই। ওদের যন্ত্রণায় কমেন্ট অপশনও বন্ধ রাখা হয়েছে ধন্যযোগ,সাথে থাকার জন্য।

সুচির মুসলিম বিদ্বেষী এবং বাংলাদেশীদের রোহিঙ্গা হওয়ার কারন!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুচির মুসলিম বিদ্বেষী এবং বাংলাদেশীদের রোহিঙ্গা হওয়ার কারন!!

হিটলারের বিরুদ্ধে ইহুদী নিধন করার পিছনে প্রেম ঘটিত একটা ব্যাপার প্রায়ই উঠে আসে। তিনি নাকি কোন এক ইহুদী নারীর প্রেমে পরেছিলেন বা প্রেম ছিল। সেই ইহুদী নারী তার সাথে প্রতারণার কারনে হিটলার ইহুদী বিদ্বেষী হয়ে উঠেন, তবে এই ঘটনা অনেকটাই বিতর্কিত।

সুচীর ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করার আগে রাজনীতি বিষয়ে ভারতের দিল্লির “লেডি শ্রীরাম কলেজে” পড়াশুনো করতেন।

অক্সফোর্ডে এসেও তাই যাথারিতি ভারতীয়দের সাথেই তার উঠাবসা বেশি ছিল। এর পরেও তিনি পাকিস্তানী নাগরিক তারেক হায়দারের সাথে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পরেন। এই প্রেমের বিষয়ে সুচীর জীবনী লেখক সাংবাদিক পিটার পপহ্যাম লিখেছেন

“”এটা খুব আশ্চর্যজনক যে সাংস্কৃতিগতভাবে এত পার্থক্য থাকা সত্যেও সুচী কিভাবে তারেক হায়দারের সাথে আবিষ্ট হয়েছিলেন গভীর প্রেমে””

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ লাগলে,সুচী ভারতীয়দের পক্ষ না নিয়ে শুধুই প্রেমের কারনে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করেছেন। ভারতীয় দুতাবাস ঘেরাও কর্মসুচিতেও অংশ নিয়েছিলেন সুচী।

তারেক হায়দারে সুচী এতটাই মজে ছিলেন যে তার ব্যাচের মোটামুটি সবাই অক্সফোর্ড থেকে প্রথম বিভাগ নিয়ে পাস করলেও সুচী তৃতীয় বিভাগ নিয়ে অক্সফোর্ড লাইফ শেষ করেন।

অক্সফোর্ড লাইফ শেষে তারেক হায়দার তার দেশ পাকিস্তান ফিরেযায়,সুচীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পরেই সুচী ব্রিটিশ এক তরুনকে বিয়ে করেন,সেখানেও রয়েছে তার জীবনের নানান চড়াই উতরাই।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই মনে করা হয় সুচী মুসলমান বিদ্বেষী হয়ে উঠেছেন। এই প্রেমে ব্যার্থ হয়ে প্রতিশোধ পরায়ণ এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতনের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে রোহিঙ্গাদের পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হতে চাওয়া বা গণভোট চাওয়ার ঘটনা।

১৯ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া তার ৩০ মিনিটের ভাষণে তার মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব কতটা প্রকট তা ফুটে উঠেছে। মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে,তাদের হত্যা,খুন করা হচ্ছে তা নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত না বারং পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে কেন? সেটায় তিনি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।

কিন্তু সেখানে যে হত্যা,খুন ধর্ষণ হয়েছে তা তিনি মানতে চাচ্ছেন না। তিনি বুঝাতে চাচ্ছেন বাংলাদেশে যারা পালিয়ে এসেছে তারা এভাবেই আসছে। সুচী তার ভাষনে বিশ্বকে বুঝাতে চেয়েছে রাখাইনে শান্তি আর শান্তি।

তিনি বিশ্বসম্প্রদায়কে ভয় পাননা তবে কেন যেন বাংলাদেশের মিডিয়াকে তথা মিডিয়াকে একটু ভয় পান,তাইত বাংলাদেশ মিডিয়াকে এ নিয়ে বেশি আলোচনা না করতে অনুরোধ করেছেন!

সুচী তার ভাষণ কোথাও রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য সামান্যতম সহানুভূতি দেখান নাই। যেমনটা করেছিলেন হিটলার ইহুদীদের উপর!!

রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসেছে,তাদের জন্য আমার দেশের জনগণ, বিশ্বের অন্যান্য দেশ সাহায্য দিচ্ছে, ত্রান দিচ্ছে। আমাদের দেশের জনগণও আজকাল রোহিঙ্গা হয়েযাচ্ছে। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন না হওয়ায়।

“”স্থানীয় বাংলাদেশিরা রোহিঙ্গা সেজে খাবার,পোশাক, টাকাপয়সা সহ অন্যান্য যে ত্রান দেয়া হচ্ছে তা নিচ্ছে””

শুনতে অবাক লাগছে? এটাই হচ্ছে এখন। যারা বলছেন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের খাবার সহায়াতা দিতে দিতে আমাদের মত গরিব দেশ ত ফকির হয়েযাবে।

আমি বলি ফকির না, স্থানীয়রা এই রোহিঙ্গাদের কারনে রাতারাতি কোটিপতি হয়েযাচ্ছে।

বিশ্বাস করুন,ঐ অঞ্চলের মাঝিরা আজ কোটিপতি হয়েগেছে,নাফ নদী পার করতে প্রতিজন থেকে ৫-১৫ হাজার টাকা নেয়। প্রতিবার পাড়াপাড়ে গড়ে ৫০০০০ টাকা তারা পাচ্ছে। কোটিপতি হতে বেশি সময় লাগেনা। যার একটা নৌকা আছে সে ই আজ কোটিপতি।

আর যাদের ক্ষমতা আছে,তারা তা রোহিঙ্গাদের গরু,টাকাকড়ি কেড়ে ত নিচ্ছেই তাদের সুন্দরী মেয়েদেরকেও তাদের ভোগবিলাসে পরিনত করছে।

স্থানীয় সংসদ বদী, যিনি ইয়াবা বদী হিসাবে বেশি পরিচিত, তার নেত্রীত্বে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট।

সবাই যখন নিজ নিজ লাভ করতে ব্যস্ত তখন পুরানো মানে আগে আসা নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা বসে থাকবে কেন? তারাও ব্যবসা সাজিয়ে নিয়েছে,খুঁজে বের করেছে আয় করার এক নতুন আইডিয়া।

“”পুরানো রোহিঙ্গারা সাহায্য বিশেষ করে কাপড় নিয়ে তা নতুন আসা রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রি করে(হারামীরা মানুষ হলি না)””

“”যে সব বাঙ্গালি রোহিঙ্গা সেজে ত্রান নিচ্ছে তাদের রোহিঙ্গা হিসাবে নিবন্ধন করে,কপালে রোহিঙ্গা লিখা একটা ট্যাগ লাগায়া রাখাইনে ছেড়ে দিলে বুঝত আসল রোহিঙ্গা হওয়ার মজা কি!””

আর যারা সাহায্য দিতে যাবেন
“”ম্যাক্সিমাম ত্রান রোডের পাশেই বা যেখানে গাড়ি যায় সহজে সেখানেই দেয়া হয়,এতে করে পরে যারা আসে অর্থাৎ একটু ভিতরে যারা আশ্রয় নিয়েছে তারা ত্রান পাচ্ছেনা। বারাবার এই লোকগুলাই সাহায্য পাচ্ছে এবং বাড়তি ত্রান তারা বিক্রি করে দিচ্ছে। আপনারা এই বিষয়টা অন্তত একটু খেয়াল রাখবেন।””

যারা এখন ত্রান মেরে খাচ্ছেন, তারা কি জানেননা এই ত্রান কাদের জন্য? কত এতিম বাচ্চা না খেয়ে আছে! কত অসহায় ৩/৪ দিন না খেয়ে আছে। অথচ আপনারা বাংলাদেশি হয়েও সেই ত্রান মেরে দিচ্ছেন। সরকারি বা ক্ষমতাবানরা খেয়ে যা তাদের দেয়,সে সামান্য ভাগেও আপনারা ভাগ বসান!

“”ত্রান রোহিঙ্গাদের না আপনাদের দেয়া লাগবে সবার আগে। ত্রান হিসাবে যদি মনুষ্যত্ব দেয়া যেত? দুনিয়াতে এত এত খারাপ লোক থাকত না। বিশ্ব এত ভয়াবহ পরিণতি, ধ্বংসলীলার সম্মুখীন হত না””

@Kabir Ahmed Madhob
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩০
১০টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×