বিহারের নক্সাল জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ।
অতি দরিদ্র পরিবারের একটা শিশু ক্ষুধা সহ্য না করতে পেরে মায়ের আচল ধরে চোখের জলে বুক ভাসিয়ে খাবারের জন্য কাদছে। ঘরে এক মুঠো খাবার নেই যে এই দুধের শিশুকে মা খাওয়াবে। অসহায় দৃষ্টিতে মা বাবার দিকে তাকায়।
পিতা সন্তানের প্রবোধ দেয়ার জন্য বলে পানি গরম দাও , আমি যে করেই হোক খাবার নিয়ে ঘরে ফিরবো। খাবার নিয়ে ফিরতে ফিরতে পানি গরম হয়ে যাবে তারপর আমরা লবন দিয়ে ভাত খাবো। পিতা চাউল জোগাড় করতে গিয়ে আর ফেরে নাই। বিশ বছর কেটে গেছে।
মা প্রতিক্ষায় থেকে থেকে বাচ্চার হাত শক্ত করে ধরে । প্রতিদিন ১৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেই বাচ্চা দশম শ্রেনী পাশ করে । তারপর?
তারপর সে সুপার থার্টিনে দুই বছর পড়ে মুম্বাই আই আই টি তে চান্স পায়।প্রথম চাকরী বুরুজ খলিফাতে । এখন নিজের কোম্পানী। ছেলেটির নাম অনুপ।
এরকম অসংখ্য অনুপের যোগফল হলো সুপার থার্টি।
বাবা রেল স্টেশনের হকার । বুকের ভেতর ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার বাসনা নিয়ে ছেলেও বাবার সাথে হকারী করে। ছেলে সুপার থার্টিতে জয়েন করে। আই আই টি তে চান্স পায়। এখন মাইক্রোসফটে।
আই আই টি হলো ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনলোজী। পুরো ভারতের মাত্র ২% ছাত্র এখানে চান্স পাই। সুপার থার্টি থেকে প্রতিবছর ত্রিশ জন। একবার নাকি ত্রিশ জনের ভেতর থেকে একত্রিশ জন চান্স পেয়েছিলো। ত্রিশ জনের কোটা পুরন হয়ে যাওয়ার পরে সে আর সুপার থার্টিনে ঢুকতে পারে নাই। পরে সে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে থেকে পড়া শুনে আই আই টি তে চান্স পেয়েছিলো।
আর এই সব সুপার ম্যানদের স্রষ্টা আনন্দকুমার । প্লেন ভাড়ার টাকা জোগাড় করতে না পারায় কেমব্রিজে পড়তে যেতে পারে নাই।
আমি বলি ভাই আনন্দ কুমার আপনার প্লেনের দরকার কি। আপনি তো সুপার ম্যানদের গডফাদার।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১০