somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

গালিব আফসারৗ
পড়ছি দর্শনশাস্ত্র নিয়ে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখালেখির চেষ্টা করি, তা ফল হিসেবে কাব্যগ্রন্থ "ভালোবাসা এবং অন্যান্য অশ্লীলতা" বইমেলা '১৭ তে প্রকাশিত হয়েছে। একা থাকতে ভালোবাসি।

কবি, ভালোবাসা নাও; ওপারে সুখে থাকো কবি

২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের কালজয়ী "বিদ্রোহী" কবিতাটি যখন প্রকাশিত হলো, তখন সেই সময়কার আলেম সমাজ প্রচন্ডরকম ক্ষেপে গেলেন!
কারনটা ছিলো, এই কবিতার একদম শেষের দিকের একটি লাইন! এখানে কবি বলেছেন "আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!",

অনেক আলেমগন এটা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন এটা বলে যে ওর এতো বড় সাহস! ও ভগবানের বুকে পদ চিহ্ন একে দিতে চায়!

বিচার গেলো তৎকালীন মোড়লের কাছে। মোড়ল সবাইকে ডাকলেন, সাথে নজরুলকেও। সবার সামনে মোড়ল সাহেব নজরুল কে বললেন, "নজরুল, গাও, একটা গান আগে গাও তো শুনি"!

উপস্থিত সবাই এটার প্রতিবাদ করলো, বিশেষ করে ইসলামিক স্কলারগন! উনারা বললেন, আমরা কি এখানে গান বাজনা করতে এসেছি যে গান শুনবো?

সব প্রতিবাদ উপেক্ষা করে নজরুল একটি নাতে রসুল তাৎক্ষনাত রচনা করে নিজ গলায় গাইতে শুরু করলেন,
"তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে,
মধু পূর্নিমারই সেথা চাঁদ দোলে.."

মনোমুগ্ধকর নাতটি সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। সবার রাগ প্রশমিত হলো। পরে ঠান্ডা মাথায় নজরুল তার কবিতার সারমর্ম বোঝালেন। তখন তিনি আলেমদের প্রশ্ন করেছিলেন খোদার কি আকার আছে? তারা বলেছিলেন না...! তিনি তখন বলেছিলেন, নিরাকার খোদার তো বুক থাকার কথা নয়, তাহলে যে খোদার বুকই নেই সে খোদার বক্ষে পদচিহ্ন কি করে আকা সম্ভব! উপস্থিত সবাই তখন নজরুলের সাথে একমত পোষণ করেন এবং নজরুল বলেন, এই ভগবান বলতে তিরোষ্কার করে স্বৈরাচারী বৃটিশদের বুঝানো হয়েছে। আর তাছাড়া মুসলমানরা তো তাদের রব কে ভগবান বলে ডাকেন না, কাজেই, এটাতো উনাদের প্রতিবাদের কারন হবার কথা নয়!

আজকে এই অসাম্প্রদায়িক, সাম্য, স্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার কবি, বিদ্রোহীর জন্ম বার্ষিকি।
আজীবন দুঃখ আর অবহেলায় কেটে গেছে কবির জীবন। কবি ভালোবাসা নাও, ওপারে সুখে থাকো কবি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×