আমি যখন মিরপুর আড্ডাস্থলে গিয়ে পৌছালাম তখন ৩.৩০ মিনিট। আড্ডাস্থলে গিয়ে দেখি সুনসান নীরবতা। কোথাও কাউকে দেখা যাচ্ছে না। পড়লাম পুরাই ফাপড়ে। এমনিতেই এই এলাকায় কখনো আসিনি তার উপর ব্লগের কাউকে চিনি না। কি করবো? ভাবতে ভাবতে আমিনুর রহমান এবং কান্ডারী অথর্ব ভাইয়ের নাম্বারে ফোন দিলাম। ধরলেন আমিনুর রহমান ভাই। বললাম ভাই আপনারা কই আমি তো কাউকে দেখছি না। উনি বললেন আপনি একটু দাড়ান, দেখি কাউকে পাওয়া যায় কিনা আপনি ওখানেই দাড়ান। দাড়িয়ে রইলাম তীর্থ কাকের মতো। কিন্তু কারও দেখা নেই একসময় দেখলাম শতবর্ষ ভাস্কর্যের সামনে দুইজন লোক দাড়িয়ে আসে। আমি তাদের সামনে গিয়ে আস্তে আস্তে বললাম আপনারা কি ব্লগার? উনারা দুইজন আমার দিকে বিস্মিত চোখে তাকালেন, এরপর দুজন দুজনার দিকে তাকালেন, তাদের তাকানোর ষ্টাইল দেখে আমি ভিমড়ি খেলাম। আমি আবারও সাহস নিয়ে বললাম আপনারা কি ব্লগার? এবার দুইজন একসাথে উত্তর দিলেন "ব্লগার মানে কি ভাই? আমরা তো কিছুই বুঝছি না, আমি আবারও তাদের অজ্ঞতা দুর করার জন্য বললাম, আপনারা কি ব্লগার, কাউকে খুজছেন? উনারা বললেন “ভাই কি বলছেন উল্টাপাল্টা, ব্লগার কি জিনিস। আমরা তো আপনার কথার কিছুই বুঝছিনা। আর আমরা কাউকে খুজছিও না।” বুঝলাম রং জায়গা প্রশ্ন করেছি, আমি তাদের সরি বলে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে সরে আসলাম।
একটু পর দেখি আরো দুইজন গাড়ী থেকে নেমে এদিক সেদিক তাকাচ্ছে। আমার সন্দেহ হলো এরাই হয়তো ব্লগার। আমি দ্রুত তাদের কাছে গিয়ে বললাম "আপনারা কি ব্লগার" ? উনারা হ্যা সূচক জবাব দিল। জানে পানি আসলো এবং হাফ ছেড়ে বাচলাম। পরিচয় হলো ব্লগার মাগুর এবং খাটাসের সাথে। তাদের সাথে কুশল বিনিময় পর্ব শেষ করার পরপরই চলে আসলেন কুনোব্যাঙ। আমি, মাগুর, খাটাস এবং কুনোব্যাঙ মিলে একটি চায়ের দোকানে ঢুকলাম, চা পর্ব চললো এবং চুটিয়ে আড্ডা হলো সেখানেই। তারপর অনেক ইতিহাস হয়ে গেল, একের পর এক ব্লগাররা আসতে লাগলো, ধীরে ধীরে জমে উঠলো আমাদের কাঙ্খিত মিরপুর ব্লগ আড্ডা।
অনেকক্ষণ বকবক করলাম, এবার ছবিতেই দেখে নিন সেই আড্ডা।
সেই শতবর্ষ ভাস্কর্য যেখানে মিরপুর ব্লগ আড্ডা জমজমাট হয়ে উঠেছিল
কান্ডারি অথর্ব
পরিবেশ বন্ধু
একজন আরমান
এম. মশিউর
জেরিফ
লাইভ ব্লগিংয়ে ব্যস্ত স্নিগ্ধ শোভন
মাগুর
কুনোব্যাঙ
অপু তানভীর
লাইভ ব্লগিংয়ে ব্যস্ত স্নিগ্ধ শোভন এবং কান্ডারী অথর্ব
চা ছাড়া কি আড্ডা জমে
ব্লগের আড্ডাকে ঘিরে জমে উঠেছিল মেলা। এবার সেই মেলার কিছু ছবি