আসছে রবিবারে পুলিশের নিয়োগ হচ্ছে আমাদের ঠাকুরগাঁও'এ এবং আজ ডিসি অফিসে ২৫ জন লোক নিয়োগের নিমিত্তে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল|
যদিও শিক্ষাগত যোগ্যতা চেয়েছিল সর্বোচ্চ এইচএসসি তবুও মাস্টার্স করা অনেককেই পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে! অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়, কিছুদিন আগেও একটা খবরে দেখেছিলাম ভারতে অষ্টম শ্রেণী পাশের পিয়ন পোস্টের জন্য পিএইচডি করা অনেকেই আবেদন করেছিলেন|
আমি অবশ্য এসব নিয়ে আলোচনা করতে চাইছিনা| অলস মস্তিষ্কের তাড়নায় ভিন্ন মাত্রা সংযোজনের চেষ্টা করতে চাইছি|
আমাদের সরকার, মন্ত্রী, আমলা মতান্তরে তাদের কামলা (উপদেষ্টা) ছাড়া সবাই জানে সরকারি চাকুরী নিতে গেলে ঘুষ নামক এক দ্রব্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের পকেটে ঢুকিয়ে তারপর আল্লাহর উপর ভরসা করে থাকতে হয়| সেই নেতা বা মন্ত্রী যেন আপনার উপর সদয় হয়!!!
এগুলো অবশ্য অতি সাধারণ মানুষের কার্যকলাপ| যাইহোক, সম্পর্কে এক ভাতিজা সদ্যপরীক্ষা দিয়ে এসে বেশ হাসিখুশি মুড নিয়ে বলছিলো, "চাচ্চু, ছয় লাখ টাকা নিয়ে কন্ট্রাক্ট করলাম, দোয়া করো যেন হয়ে যায় চাকরিটা!" অন্য দিকে এক ছোট ভাই বললো, "পুলিশের জন্য ছয় লাখ টাকার কন্ট্রাক্ট করলাম, দোয়া করো ভাই, চাকরিটা........"
এসব মধ্যশ্রেণীর মানুষগুলোর মেধার মোটেও মূল্য নেই! মাঝেমাঝে টাকার মূল্যের গুণে 'সোনার হরিণ' পেয়ে যায় এরা| ঐতিহ্য হয়ে গেছে এতোদিনে এই ঘুষ, উৎকোচ বা সম্মানী!
তবে আমি এটাকে ভিন্নভাবে দেখার চেষ্টা করছি! যেহেতু, ঘুষ সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দেয়া হচ্ছে তো সরকার একটা কাজ,করতে পারে! এতে সরকারি কোষাগারে মোটা অঙ্কের একটা টাকা জমা হবে, যা দিয়ে সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ করতে পারে বা তাদের ব্যাক্তিগত ব্যাংক -ব্যালেন্স করতে পারে| এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার!
যাইহোক, আইডিয়াটা বলি..... সরকারি নিয়োগ অনেকটা টেন্ডার টাইপের করুক| অর্থাৎ, প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে আবেদন করতে হবে, সেটা বর্তমান বাজার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে| যেমন, দুই, চার, ছয় লাখ ইত্যাদি! তারপর লটারীর মাধ্যমে যতজন নিয়োগ দেয়া হবে তাদের নেয়া হবে এবং বাকিদের টাকা ফেরত দেয়া হবে|
এতে হয়তো আমাদের সরকারের ইজ্জতে একটু দাগ লাগতে পারে, তাতে কি? কথায় আছেনা, দাগ থেকে দারুণ কিছু....
অবশেষে, মাননীয় স্পিকার, ঘুষ কে হালা/ল করুন......