somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজনীতিতে পুতুল রহস্য

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মাহবুব মিঠু।
বাঙলাদেশে সেই নব্বইয়ের পর থেকে সরকার পরিবর্তনের ধারাপাতে প্রায় একই রকম গতি প্রকৃতি লক্ষ্য করা যায়। যেই সরকার গঠন করুক না কেন, প্রথম এক বছর মোটামুটি বেশ ভালই যায়। পরাজয়ের ক্ষত ভোলার চেষ্টায় বিরোধীদের চুপচাপ থাকা সরকারকে খানিকটা ফুরফুরে মেজাজ এনে দেয়। দ্বিতীয় বছরে বিরোধী দলের কিছু বিবৃতি সব©স্ব প্রতিবাদ, সমালোচনা ছাড়া তেমন কিছু নজরে আসে না। এরই মধ্যে সরকার এবং সরকারী দল রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গনে বেশ দৃঢ়ভাবে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে ফেলে। শুরু হয় বিভিন্নভাবে বিরোধী দলের উপর নির্যাতন এবং অনিয়মের পালা। বিরোধী দলেরও ধৈয© আর সয় না। পারলে তখনই হেচকা টানে সরকারকে নামিয়ে ফেলতে চায়। তৃতীয় বছর সাধারণত: মৃদু আন্দোলন শুরুর মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনে যাবার প্রস্তুতি চলে। মূলতঃ তখন থেকেই রাজনীতিতে ভবিশ্যতের কিছু কিছু আলামত ফুটে উঠে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটছে না।

সম্প্রতি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বেশ কিছুকাল যাবত আওয়ামিলীগ কিংবা রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডের সাথে শেখ হাসিনার ছেলে জয়ের বিচরণ কমে গিয়ে সেখানে মেয়ে পুতুলের উপস্থিতি বেশ চোখে পড়ার মতো। সেদিন জাতিসংঘের মহাসচিবের বাঙলাদেশ সফরের সময়েও তেমনটি দেখলাম। এর আগে অটিজম বিষয়ক সচেতনাতামূলক অনুষ্ঠানে এবং তখন সোনিয়া গান্ধীর সফরকালেও পুতুলের সরব উপস্থিতি কি উত্তারাধিকার রাজনীতিতে জয়ের পরিবর্তে পুতুলের আসার সম্ভাবনাকেই তুলে ধরছে? এর স্বপক্ষে জোড়ালো কোন তথ্য প্রমাণ এখনো নেই। তবে অবস্থাদৃষ্টে সে রকম সন্দেহ হতেই পারে।
পুতুলের বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠানে জড়িয়ে পড়া কতোটুকু ন্যায় সঙ্গত, সেটা ভিন্ন বিতর্কের বিষয়। তৃতীয় বিশ্বে পরিবারকেন্দ্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কেউ ক্ষমতায় এলে গোটা রাষ্ট্রকেই তারা পরিবার বানিয়ে ফেলে। এবং সর্বত্র তাদের পরিবারের লোকদের আনাগোনাকে আমরাও কেউ অনৈতিক হিসেবে ভাবিনা। বরং ক্ষেত্র বিশেষে বাহবা দেই। এগুলো আমাদের মনের সীমাবদ্ধতা যা দলের প্রতি অন্ধ সমর্থন থেকে আসে। পারিবারিক সম্পর্কই হয়ে দাড়ায় সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় প্রটোকল। জনগণ মুখে যতো ন্যায় নীতির কথাই বলুক না কেন, এ সমস্ত ক্ষেত্রে পুরোপুরি নিরব। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেউ সেটা করছে কিনা কিংবা যে অবস্থানে তাকে দেখা যাচ্ছে, সে সেখানটাতে যোগ্য বা রাষ্ট্রীয় প্রোটকলে যেতে পারে কিনা সেটা মাথার ধারে কাছেও আসে না।

আজকের নতুন প্রজন্মের কারো কারো ভিতরে অগ্রজদের মতো দলীয় অন্ধত্য থাকলেও এর বাইরেও রয়েছে বিশাল একটা যুক্তিবাদী দল। যারা কোন দলের স্থায়ী সমর্থক নয়। কাজ ভেদে তাদের সমর্থণ ভালোর দিকে পরিবর্তিত হয়। ফেইসবুক, ব্লগ এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাঝে মাঝে তারা রাজনৈতিক দলগুলো এবং তাদের নেতাদের কাজের ময়না তদন্ত করে। সে রকম একটা বড় আকারের বিতর্ক থেমে থেমে চোখে পড়ে। তারেক জিয়া এবং জয়কে নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা। তারেক জিয়ার দুর্নিতি এবং দুর্জন বন্ধু প্রীতির সমালোচনার সাথে সাথে অনেকের মতে বিকল্প কোথায়? তারেকতো দেশেই বড় হয়েছে। কিন্তু জয়? তার জীবনের পুরোটাই কেটেছে বিদেশে। বিদেশে মানুষ যেতেই পারে, থাকতেও পারে। কিন্তু একজন সাধারণ নাগরিক এবং জাতীয় নেতৃত্ব দেবার মানুষের কাজের মূল্যায়ণতো এক হতে পারে না। যে বা যারা দেশের সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে ভিনদেশী সংস্কৃতিতে বড় হয়েছে, গোটা জাতির নেতৃত্ব দেবার নৈতিক অধিকার তাদের কতোটুকু থাকে- এই প্রশ্নগুলোর সাথে সাথে জয়ের বিবাহ বিষয়ক বিষয়টিও আলোচনায় দেখা যায়।

পশ্চিমা বিশ্ব অনেক বিষয়ে উদার হলেও যেমন তাদের ইসলাম এবং মুসলিম সম্পৃক্ততার বিষয়ে এলার্জী আছে তেমনটা আমাদের দেশের বেলায়ও প্রযোজ্য। সাধারন নাগরিকের বেলায় অনেক কিছুই মেনে নেয় মানুষ কিন্তু নেতা নেত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রমী চিন্তা কাজ করে। ওবামাকে কতোই না কসরত করতে হয়েছে নামের সাথে লাগানো হোসেন শব্দটা নেই তা প্রমাণের জন্য। ধর্ম নিয়ে যে যতোই উদারতা দেখাক না কেন, শেষমেষ রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ এবং উন্নত দেশগুলোতেও আখেরে ধর্মের মারাত্নক প্রভাব কাজ করে। শোনা যায়, জয় একজন ইয়াহুদী মেয়েকে বিয়ে করেছেন। ইসরাইলের সংগে ফিলিস্তিনের দীর্ঘ সংঘাতময় সম্পর্কের কারণে মুসলিম বিশ্বে ইয়াহুদী বিষয়ক সাংঘাতিক এলার্জী আছে। কাজেই আখেরে জয় নেতৃত্বে আসলে বিরোধী পক্ষ বিয়ের ব্যপারটি সামনে এনে অবশ্যই ফাদে ফেলার চেষ্টা করবে। অনেকে এ ব্যপারে পাকিস্তানের ইমরান খানের কথা উল্লেখ করতে পারেন। ইমরানের দল কিন্তু পাকিস্তানের রাজনীতিতে ক্ষমতায় যাবার মতো শক্তি রাখে না। তাছাড়া ইমরান সব সময় জোব্বা পড়ে এবং তার বউকে (যদিও এখন তারা আর স্বামী স্ত্রী নাই) পর্দা করে রেখে প্রমান করতে চেয়েছিল যে, সে খ্রীষ্টান মেয়েকে বিয়ে করে বরং একজন মুসলমান বাড়িয়েছে। জয়ও যদি সে রকম জোব্বা পড়ে, বউকে ঘোমটা দিয়ে জনসম্মুখে মুসলমানিত্ব প্রমাণের মার্কেটিং এ সফল হয় তবেই সম্ভব। অনেকে ভারতের প্রেসিডেন্ট আবুল কালামের কথাও বলতে পারেন যে তিনি তো মুসলমান। হ্যা সেটা সত্য উনি মুসলমান। তবে উনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না সে কথাও সত্য। প্রেসিডেন্ট সেখানে আলংকরিক পদ। মানলে তাল গাছ না মানলে অন্যকিছু, দুর্বাঘাসও নয়। ক্ষমতায় না এসেও জয়ের ব্যপারে রাষ্ট্রীয় অর্থ বিষয়ক দুর্নিতির কথাও রটে গেছে ইতিমধ্যে। ঘটনা সত্য না মিথ্যা সেটাতো এই সরকারের আমলে প্রমাণ করা সম্ভব হবে না।

উপরের কারণগুলোই কি তবে জয়ের পরিবর্তে পুতুলের রাজনীতিতে আসার পূর্ব লক্ষণ নাকি শেখ হাসিনার নারী নেতৃত্ব পছন্দনীয় সেটাই কারন কে জানে! সময়ই সেটা বলে দেবে।

জয় তারেকের তুলনামূলক বিশ্লেষণের সাথে সাথে বড় দুই দলের মধ্যকার তুলনাটাও বেশ জোড়ালো মাত্রা পেয়েছে। তারেকের দুর্নিতির কথা মেনে নিয়ে তরুন প্রজন্মের মধ্যে পরবর্তী প্রশ্নটি হচ্ছে তাহলে কোন দল? আওয়ামিলীগ আমলেও কি দুর্নিতি হয়নি? পদ্না সেতুতো জন্মের আগেই মৃত্যুর স্বাদ পেল এবং সেই মন্ত্রী আবুল সাহেব এখনো বহাল তবিয়তেই আছেন। বরং তারেকতো তার সাজা এক রকম তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে আইন বহির্ভূতভাবে পেয়েই গেছেন। ওই সাজাটুকুই বা আওয়ামিলীগের দুর্নিতিবাজরা পেল কোথায়?
বিএনপির রাজাকার প্রীতিও তরুণ সমাজের কাছে পছন্দনীয় নয়। এক্ষেত্রেও তাদের কাছে কোন বিকল্প নেই। তরুণ প্রজন্মের কাছে রাজাকার উত্থানের ইতিহাস অত্যন্ত পরিস্কার। তারা জানে শুরুটা কারা ক্ষমা দিয়ে শুরু করেছিল। ট্রাইবুনাল গঠনের নামে কিভাবে নিজ আত্নীয় এবং দলের লোকদের রেহাই দেয়া হচ্ছে। তারা আরো প্রত্যক্ষ করেছে, নব্বইয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় যাবার জন্য আওয়ামি নেতাদের গোলাম আযম থেকে শুরু করে নিজামী পর্যন্ত সবা্র কাছে কিভাবে তারা ধণ©া দিয়েছিল। সেই সময়ের প্রামাণ্য ছবিগুলো এখনো ’আকাশের এ্যালবামে’ (ইন্টারনেট) সংরক্ষিত আছে। তারেকের দুর্নিতি এবং বিএনপির রাজাকার প্রীতি নিয়ে আওয়ামিলীগ যে সুবিধাটা নিতে পারতো সে অবস্থা তাদের নেই।

তারেকের কোটিপতি হবার গল্পের সাথে সাথে আরো একটি জাদুর গল্পও বাতাসে উড়ে উড়ে চলেছে। শেখ মুজিবের মৃত্যুর পরে ঐ বৈরী পরিস্থিতিতে জয় এবং পুতুলকে বাইরে রেখে পড়ানোর এতো অথ© শেখ হাসিনা কৈ পেল? ওদের পিতা বাঙলাদেশে বেশ ভাল চাকরী করতেন সে কথা যেমন সত্য তেমনি এটাও সত্য বাঙলাদেশে করা যতো বড় ভাল চাকরীই হোক না কেন সেই টাকায় দুটো ছেলে মেয়েকে বিদেশে পড়ানোর মতন খরচ জোগানো সম্ভব নয়। জয় এবং পুতুলের বিদেশে সম্পত্তি বিষয়ক অনেক সত্যমিথ্যা খবরও চালু আছে বাজারে।

একইভাবে বর্তমান সরকারের শামীমদের মতো লোকদের মদদ দেয়া, খুনীদের ক্ষমা করে দেয়া, হাতের নাগালে পেয়েও নিজ দলের নেতার খুনীদের না ধরার ঘটনাও আওয়ামিলীগের ঘরে বাইরে সমালোচিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতার মোহে অন্ধ থাকলেও প্রলয় কিন্ত বন্ধ নেই। সেদিনও একজন ফেইসবুক ষ্টাটাসে ব্যঙ্গ করে লিখেছে,
“ইস! মিস হয়ে গেল। চাঞ্চল্যকর লোকমান হত্যা মামলার তিন আসামি গতকাল হাইকোটে জামিন নিতে গেল, অনেকটা সময় তারা সেখানে ছিল, কিন্তু আমাদের পুলিশ ভাইরা কোন খবর পেল না। যখন পেল এবং সেখানে গেল, তখন অনেক দেরি হয়ে গেল, আসামিদের কি পুলিশের জন্য অপেক্ষা করার সময় আছে, উনারা ততক্ষণে চলে গেছেন। প্রিয় আসামি ভাইরা, দয়া করে বলবেন আবার আপনারা কবে হাইকোটে আসবেন। আমরা পুলিশকে আগেভাগে খবর দিয়ে বলব পুলিশ ভাই উনাদের কি একটু ধরার সময় আপনাদের হবে।Ó
প্রতিউত্তরে আরেকজন লিখেছে,
”একটুর জন্য!!! Next time…… একবার না পারিলে দেখ শতবার”।

গরীবদের সংগে আমাদের রাজা উজীরের ফেইসবুকে বন্ধুত্বতো দূরের কথা দেখাও হয় না। তাই এ ধরনের ব্যঙ্গাত্নক প্রতিক্রিয়া তাদের চোখেও পড়বে না। কিন্তু ভোটের মৌসুমে এই গরীবের একটি ভোট আর আজকের রাজা উজীরদের একটি ভোটের মর্যাদা কিন্তু সমান। তখন মারটা কে খায় দেখার পালা।

মানুশের মনস্তত্বের একটা বিশেষ দিক হলো, কোন অপরাধীও যদি কোন নির্যাতনের শিকার হয় তবে জনমত ধীরে ধীরে তার দিকেই ফিরে যেতে থাকে। নাইন এলেভেনের সময়ে তারেক জিয়ার উপরে সংঘটিত বিচার বহির্ভূত নির্মম অত্যাচার ভবিশ্যতে তার রাজনীতিতে ফিরে আসার পথ তৈরী করে দিয়েছে। মানুশের স্মৃতি থেকে দ্রুত তার অপরাধের কথা সরে যাবে। তাদের চোখে ভাসবে বর্তমান। তারেকের পরিবর্তে যারা এসেছে তারা জনগণকে কতোটুকু সুখে রাখতে পেরেছে- এই প্রশ্নগুলোও তাদের ভাবাবে। সাথে সাথে হুইল চেয়ারে করে তারেকের মতো একটা তরতাজা যুবকের চলাফেরা, পূর্বের অপরাধ কিছুটা হলেও লাঘব করতে সাহায্য করবে। একই প্রক্রিয়ায় নরসিংদীর খোকনের বেলায় ঘটতে শুরু করেছে।

ছোটবেলার একটা ঘটনা বলি। বাবা তখন চাকরী করতেন ফরিদপুরে। বিএনপির কামাল ইউসুফদের জমিদার বাড়ীর খুব কাছেই ছিল আমাদের সরকারী বাঙলোটা। মরহুম ওবায়দুর রহমানের সাথে ফরিদপুর শহরের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব নেবার জন্য কামাল ইউসুফের একটা দ্বন্দ্ব ছিল। সময়টা সাত্তার সাহেবের শাসনামাল কিংবা এরশাদের প্রথম দিক হবে। খালেদা জিয়া কেবল রাজনীতিতে এসেছেন। কামাল ইউসুফকে ছাড়াই মরহুম ওবায়দুর রহমান ফরিদপুরে খালেদা জিয়াকে আনতে চেয়েছিলেন। শহরের কর্তৃত্ব হারানোর ভয়ে ইউসুফ সাহেব তখন তার জমিদারী তালুক থেকে হাজার হাজার কৃষক এনে পুরো ফরিদপুর শহর এক রকম অবরুদ্ধ করে ফেলেছিলেন। খালেদা জিয়া আসলেও জনসভা করতে পারেননি। কামাল ইউসুফের রাগটা খালেদা জিয়ার উপরে ছিল না, ছিল ওবায়দুর রহমানের উপরে। আমি বরাবরই একটু কৌতুহলী। সেই বিকেলে চারিদিকে পটকা ফোটার শব্দ। কি হচ্ছে জানতে সে সময়ের কেবল কৈশোরে পা দেওয়া আমি, দুপুরে বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে, চুপিচুপি দেয়াল টপকে জমিদার বাড়ীতে গিয়ে দেখি বিশাল জটলা। কামাল সাহেবের হাসি হাসি মুখ। বিবিসি কিংবা ভোয়ার বাঙলা খবর শুনছে। খবরের প্রধান আকর্ষন, ফরিদপুরে খালেদা জিয়া জনসভা করতে না পেরে ফিরে যাওয়া। খবর শেষে কামাল সাহেব স্বগতোক্তির মতো করে বলেছিলেন, ’আমিতো বড় নেতা ছিলাম না। ওবায়দুর ভাই আমাকে অবহেলা করে এবার সেটা বানিয়ে দিলেন। আমিও এখন বড় নেতা।’

উপরে ধান ভানতে শীবের গীত গাওয়ার অর্থ হচ্ছে, কাউকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করতে গেলে কিংবা অপরাধীর উপরেও বিচারের নামে অপরাধ করলে জনগণ সেই বঞ্চিত কিংবা অপরাধীর পক্ষে চলে যায়। জনগণের ক্ষোভ কোন ব্যক্তির উপরে নয়, ক্ষোভটা থাকে তার কর্মের উপরে। ব্যাপারটা যেমন সেদিনের কামাল ইউসুফের বেলায় সত্য হয়েছিল। ওবায়দুর রহমান তাকে অবজ্ঞা করে একাই নেতা হতে গিয়ে রাজনৈতিক শত্রুকেই বড় নেতা বানিয়ে ছিলেন। এখনকার সময়ে নরসিংদীর খোকন কিংবা নির্যাতনের শিকার তারেকের বেলায়ও সেটা সত্য হতে কতোক্ষণ?
শেষমেষ যদি পুতুল রাজনীতিতে এসেই যায় তবে আওয়ামিলীগ হয়তো অপেক্ষাকৃত একজন ক্লীন ইমেজের ভবিশ্যত বিকল্প পাচ্ছে। কিন্তু সেই সাদার মাঝেও একটু কাদা লেগে আছে। উনার শ্বশুর কিন্তু একজন প্রমাণিত রাজাকার ছিলেন। সেই বাড়ীর বউ হয়ে তিনি কি বিএনপির রাজাকার সখ্যতার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবেন?
তারপরেও পুতুল রাজনীতিতে আসলে আওয়ামিলীগ হয়তো তাকে দিয়ে ভবিশ্যত প্রজন্মকে কাছে টানার চেষ্টা করবে। নীতিবহির্ভূতভাবে রাস্ট্রীয় কর্মকান্ডে পুতুলের অনাকাঙ্খিত উপস্থিতি কি নিছকই রাজনীতির পুতুল খেলা যেটা বড় হলে বন্ধ হয়ে যাবে নাকি সত্যি সত্যি পুতুল খেলায় কোন রহস্য আছে? জয়কে হটিয়ে পারিবারিক উত্তারাধিকারের ঝান্ডাটা কি বোনের উঠোনে খুটি গাড়লো কিনা- সে প্রশ্নের জবাব পেতে হয়তো আরো কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে।

৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×