আজ বাড়ি যাব৷অনেক দুরের পথ৷ বড় ভয় লাগে আজকাল রাস্তাঘাটে বের হতে ৷ কারন দেশে তো নিরাপত্তার ছড়াছড়ি!সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ মনে হয় দেশের সড়ক গুলো৷কত মর্মান্তিক আর কত নির্মম দূর্ঘটনার সাক্ষী এদেশের সড়কগুলো৷ কত জ্ঞ্যনী,কত প্রতিভাসম্পন্ন আর কত সাধারন মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে এদেশের সড়কগুলো তার কোন সঠিক হিসাব হয়ত কখনোই জানা যাবে না৷ কত সন্তানের কাছ থেকে তার পিতা,স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী এরকম অসংখ্য প্রিয়জনকে আমরা প্রতিনিয়ত হারাচ্ছি৷অথচ এটা নিয়ে যেন আমাদের কোন মাথাব্যথা নেই৷প্রয়োজনে আমি ও মরব কিন্তু এটা নিয়ে কোন কথা,প্রতিবাদ করা যাবে না৷ভাবটা এমনই!সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু যেন আমাদের দেশে স্বাভাবিক৷কিন্তু এটা কি সত্যিই স্বাভাবিক?না,কোন ভাবেই স্বাভাবিক নয়৷ যে মৃত্যুর কারন সড়ক দূর্ঘটনা সেটা কখনোই স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে না৷শুধুমাত্র সদিচ্ছা,দৃঢ় মনোবল আর লোভ লালসার উর্ধে থেকেই এইসব দূর্ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব৷আমরা যার যার অবস্থান থেকে যদি স্ব স্ব দায়িত্ব সততার সাথে পালন করি এবং দেশের আইন ভঙ্গ না করি তাহলে অন্তত এই অকাল মৃত্যু থেকে পরিত্রান পাব৷ রাস্তাঘাটে বের হলে ভয়ের আরেকটি বড় কারন থাকে সবসময় তা হল অনাকাঙ্খিত হয়রানি৷আর তা প্রায়ই হতে হয় আমাদের জন্য নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে৷আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য অর্থের লোভে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে৷চুরি,ছিনতাই,ধর্ষন,খুন,অপহরন,গুম- অপরাধের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তাদের বিচরন নেই৷তাই খুব বেশি ভয় করি তাদের৷ সব সময় আল্লাহ আল্লাহ করি ,যেন ঐ সমস্ত বিপথগামী নিরাপত্তা বাহিনীর কোন সদস্যদে খপ্পরে না পড়ি৷আমাকে যেন ইয়াবা ব্যবসায়ী.অপহরনকারী.অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে অযথা হয়রানী না করা হয়৷অর্থ আদায়ের নামে যেন গুম বা হূমকি না দেয়া হয়৷কারন আমি অতি সাধারন ৷আবার সরকারী দলের কোন সক্রিয় সদস্য না হওয়ায় ও যেন কোন হয়রানীর স্বীকার না হই৷আমি স্বাধীন বাংলাদেশের একজন অতি সাধারন নাগরিক হিসেবে স্বাভাবিক জীবন ধারনের নিশ্চয়তা চাই৷আপনারা যারা রাষ্ট্র ক্ষমতা নিয়ে মারামারি,কাটাকাটি করেন তাদের কাছে আকুল আবেদন আপনারা মারামারি,কাটাকাটি যা ই করেন আমাদেরকে একটু স্বস্তিতে,শান্তিতে ও নিরাপদে থাকতে দিন৷আর জীবনের আয়ু শেষ হলে যেন স্বাভাবিকভাবে পৃথিবী ছেড়ে পরকালের উদ্দ্যশ্যে যাত্রা করতে পারি তার নিশ্চয়তাটুকু অন্তত আমাদের দিন৷সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে যেন তার রহমত থেকে বঞ্চিত না করেন এবং তার হেফাজতে রাখেন৷আমিন৷
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫১