সেই দেশটিতে অতীতে মানুষ কি সুখে শান্তিতেই না বসবাস করত! গোলাভরা ধান, গোয়ালভরা গরু, ঘরভরা বাচ্চা কাচ্চা। ধর্মভেদে কোন পার্থক্য নাই, পাশাপাশি বাস। সুখের দিন কাল। কিন্তু সুখ মানুষের বেশী দিন সহ্য হয় না। সুখের পরেই আসে দু:খ।
দুয়োরানীর শাসনামল আসার পর সবকিছু উলটে পালটে গেল। মানুষেরা আর ঠিক মতো খেতে পরতে পায়না, মনে নাই সুখ শান্তি, ভীন ধমর্ী প্রতিবেশীরে আর সহ্য হয় না। দেশজুড়ে ভীষন গন্ডগোল।
এই পর্যন্ত পড়ার পড় কোন উর্বর মস্তিষ্কের পাঠক যদি এই রূপকথাকে আমাদের দেশের সাথে তুলনা করে একটি রূপক-কথা ভেবে বসেন তাহলে তাদের বলি, 'অফ যান'। গল্পের মোড় ঘুরবে এখনি।
তো এই গন্ডগোলের গোলের মাঝে এক মহামারী ছড়িয়ে পড়ল সমগ্র দেশ জুড়ে। সে রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির চোয়াল ধীরে ধীরে লম্বা হয়ে ছাগলের মতো হয়ে যায়, থুতনীতে কিছু দাড়ি বের হয় আর ধমর্ীয় বোধে হয়ে পড়ে ভীষন উগ্র। ধর্মের কথা উঠলে দাপিয়ে, কাপিয়ে, মুখে ফেনা তুলে খুর দিয়ে দাগ কেটে দলাদলি করতে থাকে। সুয়োরানীর স্বাস্থ্যমন্ত্রী একে ছাগুমারী বলে আখ্যায়িত করে বড় বড় ভাষন টাষনও দিয়ে ফেললেন।
দুষ্ট দুয়োরানীর দেশের জনগন নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। ছাগুমারী রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিরা বরং তার জন্য শাপেবর। মানুষজন ধর্ম নিয়ে ব্যাস্ত থাকুক, এর ওর মাথা ফাটাক এটাইতো চাই। নইলে যে মানুষ তার দুষ্কর্ম ধরে ফেলবে।
এর মাঝে এক বনিক পাইকারী দরে অনেক প্যাপিরাস নিয়ে আসল দেশে। যেহেতু ভুর্জপত্রের চেয়ে টেকসই এবং সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। কিছু মানুষ ঠিক করল এই প্যাপিরাস পত্র গুলির মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌছে দিতে হবে। যে যার মত কিছু লিখবে আর একটি জায়গায় জমা করবে। এর নাম দেয়া হল প্যাপিনামা।
দেশে যখন দুযের্াগ চলে তখন বাঁশ কাটা কলমও হয়ে উঠতে পারে হাতিয়ার। প্যাপিনামা তাই ধীরে ধীরে হয়ে উঠল সুস্থ জনগনের মুখপত্র। দুয়োরানী হয়ে উঠলেন চিন্তিত। ছাগুমারীতে আক্রান্ত ছাগুরামগুলোকে নিয়ে কোন চিন্তা নাই। কিন্তু সুস্থমানুষদের নিয়ে বিপদ। কি করা যায়, কি করা যায়?
ডাকা হল ধর্ম মন্ত্রীকে এবং প্রধান কবিয়ালকে। 'তিনদিনের মধ্যে বুদ্ধি বের কর কি করা যায় নইলে তোমাদের কোতল করা হবে।' তারা তো পড়ল ফাপরে, কেমনে বুঝ দেয় এই মহিলাকে। তিন নিঘর্ুম রাত দিন কাটিয়ে তারা বের করলেন একবুদ্ধি। 'ছাগুরামদের ঢোকাতে হবে সেই প্যাপিনামায়' - দুয়োরানীকে জানালেন তারা।
সুতরাং যেমন ভাবা তেমন কাজ শুরু হল ছাগুরাম বাছাই প্যাপিনামায় লেখার জন্য।
([link|http://www.somewhereinblog.net/mahbubblog/post/23464|Pj
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



