সামিয়া জামান এমন এক সিনেমা বানিয়েছেন যাতে লোকেশনই ফিক্স হয়নি। কাহিনী আর লোকেশনের মধ্যে ঐক্য তৈরি হয়নি। পোড়ো একটা জমিদার বাড়ির পাশে থাকে স্বামী-স্ত্রীর এক ছোট পরিবার। কিন্তু কোথায় থাকে তারা? একবার একটা মসজিদের দিকে আঙ্গুল তুলে দেখানো হয় বটে, কিন্তু সেই বাড়িতে কেউ কখনো ডোকে না বা বেরও হয় না।
পপি এখানে সেমিআনপ্রোফেশনাল প্রাইভেট ডিটেকটিভ। পোড়ো বাড়ির পাশে থাকার সুবাদে যে তার মায়ের খুনিকে খুঁজতে শুরু করে। ক্লু হলো তার ডে ড্রিম। দিনের বেলা ভুল দেখতে শুরু করে তার ধারণা হয় তার বাবা-মার ক্ষেত্রে যা ঘটেছে বলে তাকে ধারণা দেওয়া হয়েছে তা ঠিক নাও হতে পারে। উল্লেখ্য, হাস্যকরভাবে তার বাবামাও ওই বৃহৎ জমিদার বাড়িতই ছিল। ধীরে ধীরে পপি জানতে পারে তার মাকে খুন করা হয়েছে। খুনি তৎপর হয়ে ওঠে। কী হবে এখন পপির? সে কি মরবে নাকি বেঁচে থাকবে?
অনেক গোঁজামিলের পর পোড়ো বাড়ির ছাদে পপি মুখোমুখি হয় খুনি আলমগীরের। আলমগীর তার গলা টিপে ধরেন। অনেক পরে সেখানে নায়ক ফেরদৌস পেঁৗছে দেখে পপি শুয়ে আছে। তাকে তখন মৃত ভাবাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু না সে মরে নাই। যাদুকাঠির স্পর্শে সে বেঁচে ওঠে। এমনকি হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজনও পড়ে না। তাজ্জব!
এই ছবির স্টাইলটাই ইন্টেলেকচুলায়। ভঙ্গিভাট্টা। বাকীসব ফাঁকা।
রাণীকুঠির বাকী ইতিহাসের মতো পারিবারিক, সেমিপ্রোফেশনাল গোয়েন্দা কাহিনী নিয়ে কেন যে হৈ চৈ হয় তা বুঝতে খানিকটা সময় লাগবে আমাদের।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



