ভাল সাহিত্য নিয়ে ভাল মুভি করা কঠিন, একথা অনেক মাস্টার ফিল্ম ডিরেক্টরই বলেছেন। এক, যদি উপন্যাস বা গল্পটি বহুল পঠিত বা জনপ্রিয় হয় তবে এ সম্পর্কে পাঠক/দর্শকরে প্রত্যাশা থাকে অনেক বেশি। ভিজু্যয়াল মিডিয়ার ইমাজিনেশন পাওয়ার কম, ফলে তা কখনোই দর্শকের প্রত্যাশার কাছাকাছি যেতে পারে না। দুই, নিম্নমানের পরিচালক যখন উচ্চমানের উপন্যাসে হাত দেন তখন অনেক সময় এন্টাপ্রেটেশনের সমস্যা হয়। ভুল বুঝে টেক্সটের ভুল চিত্রায়ন করেন। ফলে গুরতর গোলমাল ঘটে। তিন, মাস্টার ফিল্ম মেকার মিডিওকার ঔপন্যাসিকের লেখা বেছে নিলে তা ভাল হয়ে উঠবে এতে আর সন্দেহ কী? চার, কোনো কোনো মিডিওকার পরিচালকও অনেক সময় ভাল সাহিত্য চলচ্চিত্রায়নে সাফল্য দেখাতে পারেন। যদি তিনি সাহিত্যটি ভিজুয়ালি বুঝতে চান, নিজের মতো করে তাকে ফিল করতে ও পরিবেশন করতে চান। সেক্ষেত্রে সাহিত্যটি পরোপুরি না এলেও পরিচালক উৎরে যান।
শহীদুল ইসলাম খোকন যেভাবে ওঙ্কার উপন্যাসটিকে বুঝতে চেয়েছেন তা আমার কাছে ইন্টারেস্টিং মেন হয়েছে। চিত্রায়নে অাঁতলামি নেই। অযথা ইনটেলেকচুয়াল কচকচি নাই। আমি জানি না শহীদুল ইসলাম খোকন এর আগে কী কী খাজ করেছেন। কিন্তু এই মুভিটিকে তার সাফল্য হিসাবেই গণ্য করতে হবে।
প্রধান চরিত্রে শাবনুর প্রচণ্ড পরিশ্রম ও দরদ দিয়ে কাজ করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



