somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৪)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টাইগারদের গল্প শিরোনামে ৬ পর্বের ধারাবাহিক পোস্টের চতুর্থ পর্ব। বিশ্বকাপে টাইগারদের সম্পর্কে জানা অজানা অনেক তথ্য নিয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশ দলের ১৯৯৯ বিশ্বকাপ থেকে ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিয়ে থাকবে ধারাবাহিক আলোচনা।

এই সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলোঃ
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-১)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-২)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৩)
বিশ্বকাপ ক্রিকেটঃ টাইগারদের গল্প (পর্ব-৫)
আগের পর্বগুলোতে আমরা বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপে অভিযান, ১৯৯৯ বিশ্বকাপ এবং ২০০৩ সালে বাংলাদেশের ব্যর্থতার গল্প নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ থাকছে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সফল অভিযান বিশ্বকাপ ২০০৭।


২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কোয়াড।

৯ম বিশ্বকাপঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০০৭
বাংলাদেশ দলঃ



১ মাশরাফি বিন মর্তুজা
২ জাভেদ ওমর
৩ হাবিবুল বাশার (অধিনায়ক)
৪ মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক)
৫ তাপস বৈশ্য
৬ তামিম ইকবাল
৭ রাজিন সালেহ
৮ আব্দুর রাজ্জাক
৯ শাহরিয়ার নাফীস
১০ সৈয়দ রাসেল
১১ শাহাদাত হোসেন
১২ সাকিব আল হাসান
১৩ ফরহাদ রেজা
১৪ মোহাম্মদ রফিক
১৫ আফতাব আহমেদ
১৬ মোহাম্মদ আশরাফুল
(তাপস বৈশ্য আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তার স্থলে রেজা এসেছেন।)
কোচ: ডেভ হোয়াটমোর

প্রায় তিন দশক পর জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ক্যারিবিয়ান অঞ্চল বরণ করে নিলো ক্রিকেট বিশ্বকাপকে। তবে, শিরোপা নয় বিশ্বকাপের নবম আসরের আয়োজক হিসেবে।


মেলো, ২০০৭ বিশ্বকাপের মাস্কট

আইসিসির পূর্ণ সদস্যের ১০ দেশ ছাড়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাধ্যমে ২০০৭ বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছিলো কেনিয়া, কানাডা স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড ও বারমুডা। প্রথমবারের মত ১৬টি দেশে চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নিয়েছিলেন ২৪টি ম্যাচে।

গ্রুপ "এ" থেকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, অজিদের কাছে হারলেও স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে অজিদের সঙ্গি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

গ্রুপ 'বি" অংশগ্রহণকারী দেশ শ্রীলঙ্কা, ভারত, বাংলাদেশ ও বারমুডা। অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। আর সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের শতকোটি দর্শককে চোখের জলে ভাসিয়ে সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

গ্রুপ"সি" থেকে কেনিয়া ও কানাডাকে পেছনে সামনে অগ্রসর হয় নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড।

গ্রুপ "ডি"তে অংশ নেয় পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড।

রহস্যময় মৃত্যু, অবকাঠামোগত অব্যবস্থাপনা, বিশাল বাজেট ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ক্রিকেট বিশ্বে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিলো ২০০৭ বিশ্বকাপ। তবে, সাবেক চ্যাম্পিয়ন ভারতকে চোখের জলে ভাসিয়ে বাংলাদেশের প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করা। সেই সাথে লঙ্কান বোলার লাসিথ মালিঙ্গার টানা চারটি উইকেট। চালু করা হয় থার্ড আম্পায়ার পদ্ধতি। সবকিছু মিলিয়ে কমতি ছিলো না ক্রিকেটীয় উন্মাদনা। সবকিছুকে ছাপিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বিশ্বকাপ। সে জন্যই মনে রাখতে হবে নবম বিশ্বকাপকে।

উইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০০৭ বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে উড়াল দিবার আগেই সমালোচনায় পড়ে বিশ্বকাপের দল নির্বাচন। সমালোচনাকে সাথে নিয়ে হাবিবুল বাশার বাহিনী ত্রিনিদাদে যায়। গ্রুপ-বি এ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বারমুডা , ভারত ও শ্রীলংকা। গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার এইটে যেতে হলে শুধু বারমুডাকে নয়; হারাতে হবে ভারত কিংবা শ্রীলংকার মত শক্তিশালী যে কোন একটি দলকে। এছাড়া তো আছে গ্রুপ পর্বের সকল দলের ম্যাচে ফলাফলের মারপ্যাচের সমীকরণ। এমন ডেথ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ কিভাবে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেয় এশিয়ার তৎকালীন সেরা উইকেটকিপার খাদেল মাসুদ পাইলটকে, এমন প্রশ্ন ও সমালোচনায় মূখর ছিল দেশীয় ক্রিকেট বোদ্ধরা। এছাড়াও সমালোচনার সাথী ছিল বিশ্বকাপে ডাক পড়া নবীন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমকে কেন্দ্র করে। এসব সমালোচনায় যখন বিস্ফোরিত হচ্ছিল, তখন ১৭ মার্চ, ২০০৭ সালের ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর কুইন্স পার্কে গ্রুপ প্রর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে আসে ক্রিকেটার রানার মৃত্যু সংবাদ। বাশার বাহিনী চেয়েছিল শোককে শক্তিতে পরিণত করতে। আর রানার বন্ধু নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি বিন মর্তুজা মনে মনে পণ করেছিলেন ম্যাচটিকে রানার করে রাখতে। তাইতো ভারতের বিরুদ্ধে টসে হেরে বোলিং করতে আসা নাড়াইলের কৌশিক হয়ে যান বিধ্বস্ত এক পেসার। নিজের ২য় ও ম্যাচের তৃতীয় ওভারে শেবাগকে বোল্ড করেন মাশরাফি। এটি তো মাত্র শুরু। ম্যাচের আরো ঝলকানি দেখতে টাইগার দর্শকদের যে অপেক্ষা করতে হবে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত! ম্যাচের বয়স যখন ২১ রানে ৬.৪ ওভার তখন সাজঘরে ফিরে যাতে বাধ্য রবিন উথাপ্পা, উইকেট শিকারী নাড়াইল এক্সপ্রেস। দলীয় ৩০ রানের মাথায় শচীন টেন্ডুলকারকে ফেরান টেল এন্ডার আব্দুর রাজ্জাক। এরপর ৭২ রানের মাথায় দ্যা ওয়াল খ্যাত দ্রাবিডের প্রাচীর ভেঙ্গে দেন মোহাম্মদ রফিক। এরপর যুবরাজ ও অপর প্রান্ত আগলে থাকা ওপেনার মি. কলকাতা ওরফে সৌরভ দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রাণবন্ত চেষ্টায় লিপ্ত। কিন্তু ম্যাচটি যে রানার করে রাখতে হবে! নিজের ৬৬ ও দলের ১৫৮ রানের মাথায় ফেরেন সৌরভ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৩ বল বাকি থাকতেই দশ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান করে ভারত। মাশরাফি ৪ টি, রফিক ও রাজ্জাক ৩ টি করে উইকেট নেন।

জবাবে ব্যাট করতে নামা শাহারিয়ার নাফিস ভারতের কাছে পরচিত হলেও তামিম ছিল একেবারে নতুন। কিন্তু তামিমই যে তুরুপের তাস হবে তা হয়তো ভাবেনি ভারত। যত থাকে ব্যাঙ্গাচ্ছিল তত বেশি আরো আগ্রাসী হচ্ছিল তামিম। ৫৩ বলে ৫১ রানের ইনিংসটি ছিল ৭ টি চার ও ২ টি ছক্কায় সাজানো। শুধু তামিম নয়; আরেক নবাগত মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান করেন যথাক্রমে ৫৬ ও ৫৩ রান। মুশফিক ও আশরাফুল জয় নিয়ে যখন মাঠ ছাড়ছিল তখন বাংলাদেশের স্কোর বোর্ড ৪৮.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান। আর ম্যান অব দ্যা ম্যাচ তো পণ করে মাঠে নামা মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতেই উঠেছিল।



ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের মুহুর্ত।


ভারতের বিপক্ষ বাংলাদেশের ম্যাচের হাইলাইট।
ম্যাচের ফলাফল জানতে ক্লিক করুন।

২১ মার্চ ২০০৭, পোর্ট অব স্পেনে বিশ্বকাপের ১৬ তম আর বাংলাদেশের ২য় ম্যাচে হাবিবুল বাশার ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলংকা কে। ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে তারা ৩১৮ রান সংগ্রহ করে।
৩১৯ রানের লক্ষে খেলতে নেমে বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পরে যায় ১১২ রানে। আশরাফুলের ৬৯ বলে অপরাজিত ৪৫ ছিল বাংলাদেশের সেরা স্কোর।


আশরাফুলের একটি রিভারসুইপ মিস শট।
ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।

বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পোর্ট অব স্পেনে ২৫ মার্চ বারমুডার বিপক্ষে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সেটি যে সঠিক ছিল তা বুঝা যায় বারমুডা কে ৯৪ রানে বেঁধে ফেলার স্কোরেই। জয়ের জন্য ৯৫ রানের লক্ষে পৌঁছতে বাংলাদেশের বেগ পেতে হয়নি। আর তার সাথেই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের সুপার এইট রাউন্ড।


ডেবিড হ্যাম্প কে আউট করার পর আফতাব ও আশরাফুলের উল্লাস
ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।

সুপার এইটে বাংলাদেশ নর্থ স্ট্যান্ডে ৩১ মার্চ অস্ত্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামে। সাকিব ও মাশরাফির প্রত্যেকের ২৫ রানের উপর ভর করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১০৪ রান। ১০৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে জয়ের বন্দরে পৌঁছতে কোন বেগ পেতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। ফলাফল ১০ উইকেটে হার।


১৭ বলে ২৫ রান করার সময় মাশরাফির একটি শট।
ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।

নর্থ স্ট্যান্ডে ২ এপ্রিল টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। ৪৮.৩ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৭৪ রান। মোহাম্মদ রফিকের ৪২ বলে ৩০ রান ছিল বাংলাদেশের সেরা সংগ্রহ। জবাবে নিউজিল্যান্ড ১২৪ বল বাকী থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। বাংলাদেশ হারে ৯ উইকেটে।


পিটার ফুল্টনের একটি ক্যাচ মিস করলেন হাবিবুল বাশার।
ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।

দ্বিতীয় বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হলেও ২০০৭ বিশ্বকাপে অনেকটা সফল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে ভারতের পর সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬৭ রানের জয় দিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল হাবিবুল বাশারের দল।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ ব্যাট তুলে দেন হাবিবুলের হাতে। ব্যাটিং করতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে দারুন সূচনা এনে দেন জাভেদ ওমর। দুজনে মিলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৪২ রান। জাভেদ ওমর করেন ১৭ রান আর ছয় চারের সাহায্যে তামিম খেলেন ৩৮ রানের একটি ইনিংস।

তবে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান তোলার পেছনে সবচেয়ে বড় ভুমিকা পালন করেন বাংলাদেশের ব্যাটিং জিনিয়াস মোহাম্মদ আশরাফুল। শন পোলক,মাখায় এনটিনি,চার্লস লেঙ্গাভেল্টদের একের পর এক সীমানার ওপারে আছড়ে ফেলেন আশরাফুল। ১২টি চারের সাহায্যে ৮৩ বলে ৮৭ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলেন আশরাফুল।
এছাড়া আফতাব আহমেদ ৪৩ বলে ৩৫ এবং শেষের দিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা (১৬ বলে ২৫)। ৪৫ রানে ৫ উইকেট নেন আন্দ্রে নেল।

২৫২ রানের জয়ের লক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের সামনে নাকাল হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। এক হার্শেল গিবস (৫৬*) ছাড়া বাকিদের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন জ্যাক ক্যালিস। আব্দুর রাজ্জাক ২৫ রানে ৩টি,সৈয়দ রাসেল ৪১ রানে ২টি,সাকিব আল হাসান ৪৯ রানে ২টি এবং মোহাম্মদ রফিক ২২ রানে নেন ১টি উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জেতেন আশরাফুল।

বাংলাদেশ বনাম দক্ষিন আফ্রিকা ম্যাচ হাইলাইট
ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।

১১ এপ্রিল ২০০৭, ব্রিজটাউনে টস জিতে বাংলাদেশ কে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। সাকিব আল হাসানের ৯৫ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সাথে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৪৩ রান। ১৪৪ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশদেরও পড়তে হয় চাপের মুখে। শেষ পর্যন্ত ৩১ বল বাকী থাকতে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।


ইংল্যন্ডের বিপক্ষে সাকিবের কাভারে একটি শট।
ম্যাচের ফলাফল জানতে ক্লিক করুন।

২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অঘটন ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হার। পোর্টারফিল্ডের ১৩৬ বলে ৮৫ রানের উপর দাড়িয়ে ২৪৩ রানের পাহাড় ছুড়ে দেয় বাংলাদেশকে। জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে ৪১.২ ওভারে ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।


তামিমের একটি কাভার ড্রাইভ ঠেকিয়ে দিলেন আন্দ্রে বোথা
ম্যাচের ফলাফল জানতে ক্লিক করুন।

১৯ এপ্রিল ২০০৭, বিশ্বকাপের ৪৬ তম এবং বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে বার্বাডোজে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং করতে মাঠে নামে বাংলাদেশ। সারোয়ানের ৯১ ও চন্দরপলের অর্ধশতকে ২৩০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। মাশরাফি আর মুশফিক কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ১৩১ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ ম্যাচে ৯৯ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।


লোয়ার অর্ডারে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মাশরাফি।(৫৮ বলে ৩৭)
ম্যাচের ফলাফল জানতে এখানে ক্লিক করুন।


বাংলাদেশের কাছে ক্যারিবিয়ান বিশ্বকাপ ছিল স্বপ্নের মত। কারণ এর আগে দুটি বিশ্বকাপ খেললেও একসঙ্গে দুই বিশ্বসেরাকে হারানোর স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ।এতসব অর্জনের মাঝে একটা দুঃখও ছিল সুপার এইটে আয়ারল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের পরাজয়।


আজ এ পর্যন্তই আগামী পর্বে বাংলাদেশের ২০১১ বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা করব। প্রতিদিন রাত ১০ টার পর পর্ব গুলো ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×