দাস বাড়ির এক মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়েছে কুমোর পাড়ার এক বাড়িতে। প্রথম দিন যেতে না যেতেই পরদিন সে মেয়ে শ্বশুর বাড়ির কাওকে কিচ্ছু না বলে বাপের বাড়ি চলে যায়। তাকে দেখে তার মা বাবা তো ভীষন অবাক। মা তার মেয়ের দিকে তাকিয়ে উদবিগ্ন কন্ঠে জিজ্ঞেস করছে-
"কিরে মা চলে এলি কেন? জামাই বাবু আসেনি সাথে?"
"মা আমি আর ওখানে যাবনা। ও বাড়িতে আমার পক্ষে থাকা অসম্ভব। তোমাদের জামাইকে বল এখানে চলে আসতে।"
"হয়েছেটা কি সেটা আগে বলবি তো?"
"মা ও বাড়িতে সারাক্ষন দম বন্ধ করা গোবরের গন্ধ। কাজ কর্ম যা হয় সব গোবর দিয়ে। জান মা আমি গতকাল ওখানে যাবার পর কিচ্ছু মুখে নিতে পারিনি। গন্ধে ঘুমাতেও পারিনি। তোমাদের জামাই বার বার জানতে চাচ্ছিল কি হয়েছে, খাচ্ছিনা কেন? আমি সত্যি বলতে পারিনি। বলেছি তোমাদের কথা মনে পরছে তাই। আসলে তো গোবরের গন্ধ।"
কুমোর বাড়ির সব কাজে গোবর থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মেয়ে তো ছোটবেলা থেকে ওই পরিবেশের সাথে পরিচিত না। তাই এই সমস্যাটা হচ্ছে। মেয়েকে তার মা বোঝাল- দেখ মা, গোবর তো খারাপ কিছু না। তুই নতুন বলে গন্ধ বেশি মনে হচ্ছে। কদিন গেলেই ঠিক হয়ে যাবে।
"না মা, আমি পারবনা।"
"আচ্ছা এক কাজ কর। তুই গুনে গুনে ৫ দিন ওখানে থাক। এরপর না পারলে আমি নিজে গিয়ে তোকে নিয়ে আসব। চল তোকে দিয়ে আসি।
মা'র কথায় ভরসা পেয়ে শ্বশুর বাড়ি গেল। তবে ৫ দিন পর সে বাড়ি আসেনি কারন তার কাছে তেমন আর গন্ধ লাগছে না। গোবর সহ্য হয়ে গেছে।
ফুটনোট: মানিয়ে নেয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা মানুষের মধ্যে দিয়ে দিয়েছেন। গোবর না হয়ে যদি সেখানে মানুষের মল হত, তাও সে দিব্যি মানিয়ে নিতে পারতো।
আজ সন্ধ্যা থেকে হিসাব করলাম ঠিক ৮ বার ইলেক্ট্রেসিটি গেছে। কিন্তু এই অসহ্য গরমের মধ্যেও আমার বিন্দুমাত্র বিরক্ত লাগছে না। মনে হচ্ছে, যা হচ্ছে খুব স্বাভাবিক। ৮বার তো কোন বেপারই না। বড়জোর একবার গোসল করতে হবে। এ আর কি। বরং গন্ধের মতো জিনিস যদি সহ্য করা যায়, গরম তো মামুলি বেপার। মানিয়ে নিয়েছি।