সত্য সবসময়ই সত্য। ফারজানা এখন এক প্রতিবাদী নাম। এ জড়াজীর্ণ ঘুণে ধরা সমাজের বুকে আঘাত হেনে ফারজানা যখন যৌতুকের প্রতিবাদ করল- প্রথম আলোর মত একটা পত্রিকা কি করে তখন হীরণের পক্ষাচারণ করে। একজন সাংবাদিক হয়ে আমি বিনীতভাবে তাদেরকে বলতে চাই...হীরণের প্রতিবাদ প্রকাশের আগে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত ছিল..বিষয়টি একটি সংবেদনশীল ইস্যু সুতরাং তদন্ত ছাড়া এ রকম একটা খবর প্রকাশ করা উচিত নয়। হীরণ সে প্রথম আলোর বন্ধুসভার বরগুনা সভার সভাপতি তাতে কি? প্রথমঅলো নিজেদের আর কত নিচে নামাবে???? যেহেতু প্রথম আলো পত্রিকাটি জনপ্রিয়তার দিক থেখে প্রথম সারিতে রয়েছে অনেকেই এ সংবাদটিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে । এতে ব্লগে এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইট গুলোতে ফারজানাতক দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন কেউ কেউ। কিন্তু কেই একবারও ভাবছেন না প্রকৃত সত্য টা কি। অল্প আয়ের পিতার ঘাড়ে যখন কানের দুল আর খাটের দাবি মেটানোর পর টিভি-ফ্রিজ-মোটর সাইবকল দাবি করা হয়; মেয় হয়ে সে ভার সে নিতে পারেনি এ সরল সত্য টি বোঝার ক্ষমতা আমাদের সমাজের নেই। সবাই এখন বিভ্রান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কেন এমন হবে? অমরা সাদা কে সাদা কালো কে কালো কেন বলতে পারিনা। যদি ফারজানা একটি সাজানো নাটকও করে তবু এ বোধহীন হীরণদের কাছ যৌতুক চাওয়ার ন্যূনতম শিক্ষা যেন আমর পাই। যারা ফারজানার সঙ্গে আছেন তার মানে আপনি যৌতুকের বিপক্ষে রয়েছেণ।
আমরা আসলে সাংবাদিকতার মধ্যেও নোংড়ামি ঢুকিয়ে দিয়েছি। আমরা প্রকৃত সত্য না জেনেও অনেক বড় বড় কথা বলি। হীরণ এখন ফারজানার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওরাই আগে থানায় জিডি করেছে কেন? অবশ্যই আত্নরক্ষার জন্য
তবে আমি বিশ্বাস করি সত্য প্রকাশিত হবেই । পক্ষাচারণ না করে আসুন যৌতুককে না বলি। আর ফারজানার মত মেয়েদেরকে স্যালুট জানাই। যদি ফারজানা অন্যায় করে ওকেও শাস্তি পেতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪০