২০১০ সালে আমার ব্যবসায়িক অফিসে পরিচয় হয় মাসুম আল ফরহাদের সাথে।সে গুলিস্থান গোলাপশাহ মসজিদের ইমাম। পরিচেয়র এক পর্যায়ে সে আমাকে একটি ব্যবসায়ের প্রস্তাব দেয়।ব্যবসাটি হল গোলাপশাহ মাজারে প্রতিদিন অনেক ছাগল, মোরগ মানত আসে, সে আমাকে এ গুলো অল্প লূল্যে প্রদান করবে, তবে তাকে আগে ২০০০০০(দুই লক্ষ) টাকা অগ্রীম প্রদান করিতে হবে।প্রস্তাবটি লোভনিয় হওয়ায় আমি ননজুডিশিয়াল স্টাম্পে চুক্তবদ্ধ হওয়ার শর্তে রাজি হলাম। কিন্তু সে লিখিত চুক্তিতে আপত্তি জানায়। বিশ্বস্ততার ব্যাপারে তার লেবাস ও ইমামতি পেশার দোহাই দেয়।অতপর তার লেবাসের কারনে আমি তাকে বিশ্বাস করি এবং ২০০০০০(দুই লক্ষ) টাকা প্রদান করি।
এর পর থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে সে আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু এ ভাবে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি তাকে এ ব্যবসা করবোনা বলে জানাই এবং আমার ২০০০০০ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি।
সে নগর ভবনে নতুন স্যার এসেছেন বলে জানায়।এবং নতুন স্যার এ সব বিষয় শক্ত ভাবে মনিটরিং করছেন বিধায় কিচু দিন বন্ধ থাকবে বলে জানায়।এক পর্যায়ে আমাকে টাকা পেরত দেওয়ার ব্যাপারে অস্বিকৃতি জানায়, এবং বাড়াবাড়ি করলে আমাকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে। এ মর্রে আমি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে আমার কাছে কোন প্রমান না থাকায় থানা মামলা নিতে অস্বিকৃতি জানায়। এ আবস্থায় প্রায় গত এক মাস আগে আমি আমার অর্থ সংকটের কারনে বায়তুল মোকাররম ফেমাস জুয়েলার্স এ আমার স্ত্রীর হাতের ভালাটি বিক্রি করে ফেরার সময় সে আমাকে ২০/২৫ জন লোক নিয়ে আটক করে আমার সকল টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। এবং উল্টা আমার কাছে টাকা পাবে দাবি করে আমার কাছ থেকে ১৫০ টাকার সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এবং এর কয়েক দিন পর আমার আব্বাকে ফোন করে আমার কাছে ৪৫০০০০ টাকা পাবে বলে দাবি করে।এবং এ টাকা না দিলে আমি ও আমার পিতাকে গুলি করে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে।
এ ফরহাদ নিবন্ধন বাতিলকৃত জামায়াত এর একজন নেতা হওয়া শর্তে ও সে সবসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কোন একটি প্রোগ্রামের ছবি লেমেনেটিং করে তার পকটে রাখে। এবং তা পদর্শন করে বিভিন্ন জন থেকে সে ফায়দা হাসিল করে।
উল্লখ্য এ ফরহাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মনহরগঞ্জ থানার পেনুয়া গ্রামে।সে সহ তার পরিবারের সকল সদস্য জামায়াতের কোন না কোন স্তরে নেতৃত্ত প্রদান করে।
বর্তমানে আমি চরম আতংকে দিন-যাপন করছি।স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছিনা।আমার মোবাইল ফোন অন করলেই সে বিভিন্ন লোক দিয়ে হূমকি দমকি প্রদান করে। তাই বাধ্য হয়ে আমার ফোনটি বন্ধ রাখি।
তাই সরকারের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ, এই ধরনের চাটুকার লোকদের চিহ্নিত করে এদের বিরূদ্দে ব্যবস্হা নিয়ে সাধারণ জনগনকে স্বস্তিতে চলাফেরার সুযোগ করে দিন ।