somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মামদুদুর রহমান
বিপদে মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রাথর্না বিপদে আমি না যেন করি ভয়। দুঃখ তাপে ব্যথিত চিত্তে নাই বা দিলে সান্তনা,দুঃখে যেন করিতে পারি জয়। আমার ভার লাঘব করি নাই বা দিলে সান্তনা বহিতে পারি এমনি যেন হয়।

চটে গেলে তো আর চেটে খেতে পারবেনা এই দেশে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
এই দেশে আপনাকে টিকে থাকতে হলে ; মানে চেটে খেতে হলে চটে যাওয়া যাবে না।


ব্যাপারটা হয়তো বুঝতে পারেনি, আমি বলছি নীলফামারীর বাদশা মিয়ার কথা । বাদশা মিয়া পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স করেও চাকুরি না পেয়ে চটে গিয়ে নিজের সকল শিক্ষাগত সনদ ছিড়ে ফেলেছে। ব্যাপারটা আমার কাছে দারুণ একটা বিপ্লবী কাজ মনে হয়েছে। এতো দিন ঘুরে ঘুরে যখন সে কোন কাজ খুঁজে পাইনি তখন রাগে সে তার সকল সনদ ছিড়ে ফেলেছে।

আপনার কি কোন দিন হাত কেটে রক্ত বের হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তাহলে আপনি বুঝবেন না এই জ্বালা। যার কেটেছে সেই বুঝবে।


বেকারত্বের হতাশা থেকে অনেকে আত্মহত্যা ,কেউ নেশা, কেউ চুরি ছিনতাই, বিভিন্ন রকম অপরাধ মুলক কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে পাগল হয়ে যাচ্ছে বেকারত্বের হতাশা থেকে।

আপনি কি বলতে চাচ্ছেন ? জাতির কি কোন দোষ নাই ? ২০/২৫ বছর ধরে পড়াশুনার নাম করে লাক্ষে লাক্ষে বলদ জন গোষ্টি তৈরি করে ছেড়ে দিয়ে জাতির কাজ শেষ? ২০/২৫ বছর ধরে, অর্থ, সময়, শ্রম সব দিয়ে জীবনের সব থেকে মূল্যবান সময়ে এসে নিজেকে বলদ দেখাটা খুব সহজ নয়!

কৃষি কাজ, ছোট দোকান বা ছোট কোন ব্যবসা করতে কি মাস্টার্স পাশ হওয়া লাগে? আর অনার্স মাস্টার্স করে যখন একজন এই লেবেলের কাজ করতে যাই তখন জংধরা সমাজ ভালো চোখে দেখেনা। আরো হতাশ করে এই সমাজের পাজি লোকেরা।

পরিবার ,আত্মীয়, সমাজ, বন্ধু সহ সকলের কটু কথা শোনা সহজ কথা নয়! এই দেশে চাকুরির বাজার খুব ছোট । প্রতি বছর অল্প কিছু চাকুরি হয় আর বিশাল একটা শিক্ষিত গোষ্টী বেকার থেকে যায়।তারা যাবে কোথায়? আপনি বলবেন এইটা কর, ঐটা কর, উমুকে এইটা করছে ঐটা করছে তুমি কেন পারছো না! আসলে যদি পারতো তাহলে তো বসে থাকতো না। এই ব্যাপারটা বুঝতে হবে।



পাগলা ঘোড়া লাগাম ছাড়া হয়ে গেছে । এখনো সময় আছে জাতির শিক্ষা, কর্মসংস্থান নিয়ে গভীর ভাবে ভাবার আর ব্যবস্থা নেওয়ার। নয়তো ঘোড়াটাকে আর কোন দিন ধরতেই পারবেনা এই অভাগা জাতি।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×