ব্যাপারটা হয়তো বুঝতে পারেনি, আমি বলছি নীলফামারীর বাদশা মিয়ার কথা । বাদশা মিয়া পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স করেও চাকুরি না পেয়ে চটে গিয়ে নিজের সকল শিক্ষাগত সনদ ছিড়ে ফেলেছে। ব্যাপারটা আমার কাছে দারুণ একটা বিপ্লবী কাজ মনে হয়েছে। এতো দিন ঘুরে ঘুরে যখন সে কোন কাজ খুঁজে পাইনি তখন রাগে সে তার সকল সনদ ছিড়ে ফেলেছে।
আপনার কি কোন দিন হাত কেটে রক্ত বের হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তাহলে আপনি বুঝবেন না এই জ্বালা। যার কেটেছে সেই বুঝবে।
বেকারত্বের হতাশা থেকে অনেকে আত্মহত্যা ,কেউ নেশা, কেউ চুরি ছিনতাই, বিভিন্ন রকম অপরাধ মুলক কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে পাগল হয়ে যাচ্ছে বেকারত্বের হতাশা থেকে।
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন ? জাতির কি কোন দোষ নাই ? ২০/২৫ বছর ধরে পড়াশুনার নাম করে লাক্ষে লাক্ষে বলদ জন গোষ্টি তৈরি করে ছেড়ে দিয়ে জাতির কাজ শেষ? ২০/২৫ বছর ধরে, অর্থ, সময়, শ্রম সব দিয়ে জীবনের সব থেকে মূল্যবান সময়ে এসে নিজেকে বলদ দেখাটা খুব সহজ নয়!
কৃষি কাজ, ছোট দোকান বা ছোট কোন ব্যবসা করতে কি মাস্টার্স পাশ হওয়া লাগে? আর অনার্স মাস্টার্স করে যখন একজন এই লেবেলের কাজ করতে যাই তখন জংধরা সমাজ ভালো চোখে দেখেনা। আরো হতাশ করে এই সমাজের পাজি লোকেরা।
পরিবার ,আত্মীয়, সমাজ, বন্ধু সহ সকলের কটু কথা শোনা সহজ কথা নয়! এই দেশে চাকুরির বাজার খুব ছোট । প্রতি বছর অল্প কিছু চাকুরি হয় আর বিশাল একটা শিক্ষিত গোষ্টী বেকার থেকে যায়।তারা যাবে কোথায়? আপনি বলবেন এইটা কর, ঐটা কর, উমুকে এইটা করছে ঐটা করছে তুমি কেন পারছো না! আসলে যদি পারতো তাহলে তো বসে থাকতো না। এই ব্যাপারটা বুঝতে হবে।
পাগলা ঘোড়া লাগাম ছাড়া হয়ে গেছে । এখনো সময় আছে জাতির শিক্ষা, কর্মসংস্থান নিয়ে গভীর ভাবে ভাবার আর ব্যবস্থা নেওয়ার। নয়তো ঘোড়াটাকে আর কোন দিন ধরতেই পারবেনা এই অভাগা জাতি।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭