বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ডিভোর্স দিচ্ছে শিক্ষিত ও কর্মজীবী নারীরা।
নারী যখন থেকে আর্থিক নিরাপত্তার পিছনে ছুটেছে তখন থেকেই শুরু হয়েছে বিবাহবিচ্ছেদের প্রবণতা। we can do it! নামে একটা পোস্টার ১৯৪৩ সালে আমেরিকায় ব্যাপক ভাবে সাড়া ফেলেছিল। পোস্টার টার উদ্দেশ্যে ছিল নারীদের কারখানায় কাজ করার উৎসাহিত করা। সেই সময় প্রচুর নারী কাজে যোগ দেয়। আর কিছু দিন পর থেকেই শুরু হয় বিবাহবিচ্ছেদের প্রবণতা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই ১৯৪৯ সালে সিনেমা Simone de Beauvoir এর Second Sex এবং ১৯৬৩ সালে The Feminine mystique নামে একটা বই আমেরিকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। উভয়ের বিষয়বস্তু ছিল, সন্তান পালন ও ঘরোয়া কাজকাম নারীকে হতাশ ও অসুখী করে তুলেছে।
এতে ভালো কাজ হয়। নারীসুলভ আচারণ প্রত্যাখ্যান করে নারীর শুরু করে আন্দোলন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নারীবাদ হয়ে গেল পুজিবাদের লাভজনক পোজেক্ট।
নারীবাদের পালে সব ধরনের ফুঁ এখন পুজিপতিরা দেয়। এতে নারীদের একটা দারুন শ্রম বাজার তৈরি হলো আর অপর দিকে কপাল পুড়লো পুরুষের। শুরু হলো বিবাহবিচ্ছেদের প্রবণতা।
নারীর শরীর একই সাথে ঘর সামলানো আর বাহিরে কাজ করার জন্য উপযোগী নয় প্রকৃতিগতভাবে। আবার যখন নারী নিজেই ইনকাম করছে তখন পুরুষের উপর নির্ভরশীলতা অনেক কমে তাই তারা সংসারের প্রতি ভালবাসা টিকিয়ে রাখতে পারেনা।
মুসলিম নারীদের কাজের ফাঁদে ফেলে তাদের সংসার ভাংার চিন্তা শুরু করে পশ্চিমারা ;যখন দেখে যে তাদের সংসার টিকে না যদি নারী বাহিরে কাজ করে। তাদের ফাদে পা দিয়ে মুসলিম বিশ্ব নারীদের কাজের সুযোগ করে দিলো আর শুরু হলো ডিভোর্স দেওয়া, নারীদের পক্ষ থেকে।
নারীর আর্থিক নিরাপত্তা এবং বিবাহ সম্পর্কের নতুন চিন্তা এই বিচ্ছেদের মূল কারণ। কর্মজীবী নারীদের বিয়ে না করলেই ডিভোর্সর সংখা কমবে। তা ছাড়া আপাতত কোন উপায় দেখি না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:০৬