somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কে পাবেন শান্তিতে নোবেল,???মার্কেল,হাসিনা নাকি হেলমেট (পর্ব-১)

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আঙ্গেলা ম্যার্কেল, বর্তমান সময়ে বিশ্বের অন্যতম একজন প্রভাবশালী নেত্রী । যাকে জার্মানরা আদর করে ‘মুটি’ বলে থাকেন। জার্মান ভাষায় ‘মুটি’ মানে মা। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মেধা ও দক্ষতা দিয়ে ম্যার্কেল ‘মুটি’র মর্যাদা অর্জন করে নিয়েছেন।
আর কেনই বা তাকে মুটি বলে ডাকবেন না, ২০১৫ সালের দিকে পৃথিবীর সব দেশ যখন শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে নারাজ,ঠিক সেই সময় এঙ্গেলা মার্কেল খুলে দেন জার্মানের দুয়ার।তিনি ঘোষণা দেন শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে পারলে জার্মান নিজেদের ভাগ্যবান মনে করবে। প্রতিবছর আটলাখ শরনার্থী নেয়ার ঘোষণায় জার্মানমুখী হয়ে পড়ে শরণার্থীরা। এবং ঐ বছর ১০ লক্ষের বেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দেন তার দেশে । এসময় তার নিজ দেশের জনগন এবং বিরোধী দলগুলো তার সমালোচনা করলেও তিনি একটি রূপ রেখা অঙ্কন করে দেখিয়ে দেন যে, শরনার্থীরা তাদের ভয়ের কারন নয়,বরং তাদের জন্য অনেক সুবিধার । আর এঙ্গেলা মার্কেলের এই ঘোষণায় নড়েচড়ে বসে বিশ্ব নেতারা। শরণার্থীদের জন্য কঠোর অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স নমনীয় হয়ে শেষ পর্যন্ত শরণার্থী নেয়ার তালিকায় নিজেদের নাম সামিল করে।

তিনি তার নেতৃত্বের ক্যারিশমায় নিজেকে জার্মানির গণ্ডি পেরিয়ে ইউরোপের প্রভাবশালী নেতায় পরিণত করেছেন
সত্যি কথা বলতে গেলে, ম্যার্কেলের চ্যালেঞ্জ করার মতো নেতা এই মুহূর্তে ইউরোপে কেউ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
আর তারি ধারাবাহিকতায় আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর পদে ফিরে আসলেন
অবশ্য এর কিছু কারন ও রয়েছে,,,,,
বিশেষ করে সদ্য অর্থনৈতিক মন্দার সময় ম্যার্কেল দক্ষতার সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক নীতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। মন্দার খুব একটা আঁচ জার্মানির অর্থনীতিতে পড়তে দেননি।
একই সঙ্গে তিনি শক্ত হাতে ইউরোপের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। সমালোচনার মুখেও তিনি গ্রিসের অর্থনৈতিক সংস্কারে ইইউর মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করেছেন।
ঋণসহায়তা দিয়েছেন। অবশ্য অনেকেই সমালোচনা করে বলে থাকেন, এই ঋণ প্রদান করে জার্মানি লাভবান হয়েছে। তবে সবকিছু মিলিয়ে তিনি ইউরোপের প্রভাবশালী নেতায় পরিণত হয়েছেন।

দেশজ অর্থনীতির ক্ষেত্রে ম্যার্কেলের সময় বেকারত্বের হার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বেড়েছে। রপ্তানি আয় বেড়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের হিসেব অনুসারে বর্তমানে জার্মানিতে বেকারত্বের হার ৩.৯ শতাংশ। এখন গত ২০ বছরের তুলনায় বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম।
২০০৫ সালে আঙ্গেলা ম্যার্কেল যখন চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন জার্মানির বেকারত্বের হার ছিল সর্বোচ্চ ১১.২ শতাংশ। ম্যার্কেলের পূর্ববর্তী গেরহার্ড শ্রোয়েডারের সময় বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল। সামাজিক নিরাপত্তায় অনেক কাটছাঁট হয়েছিল। ম্যার্কেল ক্ষমতায় আসার পর এ বিষয়ে তেমন কোনো পরিবর্তন করেননি।
বরং তিনি কিছু কিছু সংস্কার করেছেন, যেমন #আয়কর পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বল্প আয়ের বড় পরিবারের আয়কর কমেছে। বেশি আয়ের ছোট পরিবারের আয়কর বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে।

ম্যার্কেল হচ্ছেন ব্রিটেনের মার্গারেট_থ্যাচারের পর ইউরোপের সবচেয়ে সফল নারী রাজনৈতিক নেতৃত্ব। তবে পার্থক্য হচ্ছে, থ্যাচার যতটা লৌহমানবী হিসেবে ইতিহাসে পরিচিত, ম্যার্কেল তেমন কট্টরপন্থী নন। কট্টরপন্থী হিসেবে তাঁর দলের একটি পরিচিতি থাকলেও ম্যার্কেল বেশ উদারনৈতিক নেতা হিসেবেই পরিচিত। শুধু তা-ই নয়, ম্যার্কেল তাঁর দলকে কট্টরপন্থা থেকে অনেকটাই বের করে এনেছেন। এখন একটি কথা খুব বেশি করে জার্মানদের মধ্যে আলোচনা হয় যে এসডিপি, লিঙ্ক ও গ্রিন পার্টির কর্মসূচি বেশির ভাগই বাস্তবায়ন করছে সিডিইউ।এ কারণে তার নিজের এবং দলের সমর্থনও বাড়ছে।
ম্যার্কেল ইসলামের প্রতিও অনেকটা উদার মানষিকতার । তিনি মনে করেন ইসলাম সন্ত্রাসবাদের উৎস নয়,বরং এটি একটি ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা মাত্র ।যে কারনে তার চতুর্থ বারের মতো চ্যান্সেলর হওয়ার পরে বিজয় ‍উদযাপন করছে সিরীয় শরণার্থীরা । তারা মনে করেন ম্যার্কেল তাদের কাছে মানবতার প্রতীক

অনলাইন এবং পত্রিকা থেকে সংগৃহিত
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
৯টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×