”নগর পরিবেশে প্রবীনদের অন্তর্ভুক্তি সুনিশ্চিতকরন”
কোন এক বিখ্যাত ঔপনাসিকের লেখায় পড়েছিলাম(নামটা এখন মনে করতে পারছিনা) “দীর্ঘায়ু হলো পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা”। পাপ পুণ্যের বিচারক স্বয়ং ঈশ্বর। এটা তার উপর ছেড়ে দিয়েই প্রার্থনা করি আমরা সকলে যেন দীর্ঘায়ু পাই।কারন মৃর্ত্যু অনিবার্য জেনেও “মরিতে চাই না আমি সুন্দর ভুবনে”।
যখন দেখি অশতিপর বৃদ্ধ /বৃদ্ধা ৪তলায় একমুঠো ভিক্ষার জন্য উঠে এসেছে তখন মনে হয় আহা এরা এখনও বেঁচে আছে, আর আমার মা বাবা!
সকলের মা বাবা ছায়ার মতো বেঁচে থাক।
অশোক যখন ভালো একটা খাবার এনে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখে পরে তার মেয়েরা খাবে। আমি বলি,”খাবারটা বের করো. মেয়েদের হাতে দাও। ওরা আমাদের দিয়ে ওরাও খাবে। অশোক বলে আমরা কি ছেলে মানুষ? আমি বলি, “ আমরা ছেলে মানুষ না., কিন্তু একদিন ছেলে মানুষ হবো(বুড়ো)। তখন আমাদের খেতে ইচ্ছা করবে। কিন্তু মেয়েরা দেবে না, কারন ওরা জানে মা বাবা এটা খায় না।”
আমি যখন আমার মেয়েদের জন্য হরলিক্স ন্যডুলস করে দেই, আইসক্রিম কিনে দেই, তখন তা সমান ভাগে আমার শ্বশুর শাশুড়িকেও দেই। কারণ তাদের সময় এগুলো ছিল না। যদি তাদের লোভ হয়?
মাঝে মাঝে আপনরা বুড়ো মা বাবা শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে যান শিশু পার্কে। চড়ান তাদের ট্রেনে। কারন তাদের সময় তো এগুলো ছিল না।
আসুন আমরা প্রত্যেক বৃদ্ধ/বৃদ্ধার জন্য রাতে একবার উঠি। দেখি তাদের গায়ের উপর থেকে লেপটা সরে গেছে কিনা। একটু তাদের কাছে বসি। শুনি আজ তাদের কি খেতে ইচ্ছা করছে, কোথায় বেড়াতে যেতে ইচ্ছে করছে, কোন সন্তানকে দেখতে ইচ্ছে করছে ,তাদের পান সুপারি আছে কিনা।
আমরা যখন ফ্লাট কিনবো অথবা বাড়ী করবো তখন মাষ্টার বেডরুমটা যেন তাদের জন্য বরাদ্দ করি। তাদের আলমারির চাবিটা যেন তাদের হাতেই থাকে।একটা ট্রাংক হাতে যেন আজ এ ঘর কাল ও ঘর করতে না হয়।
সকল প্রবীনদের সালাম, প্রণাম আর ভক্তি জানাই।