somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলমানরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করে সভ্য মানুষ হবে কবে? কিছু মুসলমান ধর্মকে পরিবর্তন করে সভ্য মানুষের জীবন যাপন করতে পারলে মুসলিম সন্ত্রাসী গোষ্ঠির সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাদ দিয়ে আধুনিক সভ্য মানুষ হতে সমস্যা কোথায়? তারা কেন এখনো বর্বর মানুষ থেকে গেছে?

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খবরঃ বোকো হারামকে সহযোগীর ‘স্বীকৃতি’ আইএসের।

বোকো হারাম ইতিপূর্বে আইএসের বশ্যতা সীকার করে নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিল। তারই পরিপেক্ষিতে আই এস বোকো হারামকে সহযোগী গোষ্ঠি হিসেবে স্বীকার করে নিল। এখন সম্ভবত তারা এক জোট হয়ে ইসলামী শাসন কায়েমের উদ্দেশ্যে আগের চেয়ে আরো বেশি করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাবে।
মানুষ ইসলামী নিয়মে চললে এমনিতেই ইসলামী শাসন কায়েম হবে। আরবীয় দেশগুলোতে এমনিতেই ইসলামী শাসন চলে। তবে কেন এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠিগুলোর উৎপত্তি?
তারা সারা পৃথিবীতে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত করবে। ভালো কথা। মানুষকে বুঝিয়ে যদি তারা সারা পৃথিবীতে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত করতে পারে এবং মানুষ যদি সেটা নির্দিধায় মেনে নেয় তবে তারা সেটা করুক। কিন্তু তারা খুব ভালো করেই জানে মানুষ আধুনিক সভ্য জগতে বাস করে কখনই সেই প্রাচীন বর্বর ইসলামী যুগে ফিরে যেতে চাইবে না। তাই তারা তুলে নিয়েছে অস্ত্র। মানুষ মারছে নির্বিচারে। বিধর্মীদের উপর সব সময় ধরে চলে আসা অত্যাচারের মাত্রা হাজার গুন বাড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীতে একটা অশান্তি সৃষ্টি করছে।
বোকো হারাম (পশ্চিমা শিক্ষা হারাম) এবং আই এস ( ইসলামিক স্টেট) মিলিত হওয়াতে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড যে বেড়ে যাবে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। এদের নাম দেখেই বুঝা যায় এরা জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার বিরোধী। তারা মধ্যযুগীয় বর্বরতা কায়েম করতেই এমন সন্ত্রাসীর পথ বেছে নিয়েছে। আর তারা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে সেটাই বিশ্ববাসিকে জানিয়ে দিয়েছে।
কবে এই সব মুসলমান গুলো বর্বরতা বাদ দিয়ে আধুনিক সভ্য মানুষ হবে? নাকি তারা চিরকালই প্রাচীন বর্বর থেকে যাবে?

খবরঃ ‘ইরাকে অস্ট্রেলীয় কিশোরের আত্মঘাতী হামলা’ ।
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পক্ষে লড়াই করতে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি দেয়া এক অস্ট্রেলীয় স্কুলছাত্র ইরাকে আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
আনুমাণিক ৯০ জন অস্ট্রেলীয় আইএসের পক্ষে লড়াই করার জন্য সিরিয়া ও ইরাকে পাড়ি জমিয়েছেন।

বিলার্দি আরো বলেছিলেন, “আমি মৃত্যুর জন্য এখানে এসেছি। আমি যতজন কাফেরকে হত্যা করা সম্ভব হত্যা করবো।”

এই সব ধর্ম ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদেরকে কি বলার আছে! তারা সভ্যতা বাদ দিয়ে বেহেশতের নেশায় একের পর এক হত্যা করে চলেছে বিধর্মি মানুষদেরকে, কাফের হত্যা করার নামে।
এরা আধুনিক যুগে বসেও সেই প্রাচীন আমলের ধর্মীয় বর্বরতা পুরোদমে অনুসরণ করে চলেছে।

খবরঃ পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা একটি গাড়িতে করে আসে গোরা কাবরিস্তান এলাকার তল্লাশি চৌকিতে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।
এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে দুই জঙ্গি-বিদ্রোহী নিহত হন।

এভাবে আর কত দিন ধর্মের নামে মানুষ মরবে। ধর্মীয় সন্ত্রাসীরা আর কত কাল সাধারণ মানুষদেরকে হত্যা করে যাবে? তারা নিজেদেরকে শেষ করে দিবে আর সঙ্গে সঙ্গে হাজারও নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলে তাদের কাল্পনিক স্বর্গের লোভে দিশেহারা হয়ে থাকবে।
এটা একবিংশ শতাব্দি। এ যুগে বসেও কেন মানুষ বিজ্ঞান মনস্ক না হয়ে কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাসকে আকড়ে ধরে বসে থাকবে এবং প্রাচীন ধর্মীয় বর্বরতা টিকিয়ে রাখবে?
মানুষ গুলো কখনই কি সভ্য হবে না? সন্ত্রাসী হয়ে তাদের উন্মত্ততা বজায় রাখবে আর কত কাল?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×