#প্রজেক্ট আলকাতরা
বিশাল লম্বা কিউয়ে দাঁড়িয়ে আছি,হাতা কাটা কটকটে গোলাপী রঙের জামা পড়ে। বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি।সামনে-পিছনে যারা আছে তারা সবাই মেয়ে,তাদেরও সবার গায়ে একই কটকটে রঙের গোলাপী জামা।একটু একটু করে কিউটা সামনের দিকে চলছে কয়লার রেলগাড়ির মতন। হঠাৎ মনে হল আমি কোন জেল খানার ভেতরে আছি আর হাতে আছে একটা নোংরা পুতুল,আমার চেহারাও আমার নয় কোন নিগার মেয়ে আমি।কিউটা সামনের দিকে চলতে চলতে অচিরেই আমার বেলা আসলো।
হ্যাঁ, এখন বুঝতে পারলাম আমি কোন বিউটি পার্লারে আছি!এখানে সব মেয়েরা দাঁড়িয়ে আছে দুই হাতের চামড়া ছাড়িয়ে আলকাতরা মাখার জন্য! এখন ২০২১ সাল; আর আঙ্গুল হতে বগল অব্দি আলকাতরা মাখা এই যুগের সবচাইতে আপডেটেড ফ্যাশন।
#তিন বোন
শহরে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে।মাটিতে ট্যাঙ্ক দিয়ে ব্রাশ ফায়ার অনবরত চলছেই,উচুঁ আকাশে উড়ছে যুদ্ধ বিমান আর তার একটু নিচে হেলিকপ্টার।গত একবছর ধরে এই ধ্বংস লীলা হয়ে আসছে।এরই মাঝে আমরা তিনবোন আমাদের নিজ স্বত্তা টিকিয়ে রাখার জন্য পতিতা বৃত্তী পর্যন্ত করেছি! কিন্তু আর নিজ স্বত্তা না দেশের স্বত্তা টিকিয়ে রাখার জন্য নিজেদের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেব ঠিক করেছি।প্ল্যান মাফিক আমরা তিন বোন আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারীদের ক্যাম্পে আছি তাদের মনোরঞ্জণের জন্য।
একদিন কমান্ডার আমার বড় বোনকে ডেকে নিয়ে গেল তাবুতে।কিছুক্ষণ পর একটা রক্তাক্ত ভাঙ্গা আয়নার টুকরো নিয়ে বেড়িয়ে এল তাবু থেকে কমান্ডার ।আমি সামনেই পাথরের মত দাঁড়িয়ে ছিলাম।সৈন্যরা সাথে সাথে আমার দিকে অস্ত্র তাক করলো,কিন্তু কমান্ডারের আদেশে তারা অস্ত্র গুলো প্রয়োগ করলো না।স্তব্ধভাবে কিছু সময় কেটে যাওয়ার পর কমান্ডার জিজ্ঞেস করল,কুকুরনী তোর আরেক বোন কোথায় ? আর তখনই বিশাল জোড়ে গ্রেনেড ফাটার শব্দ হল আমি দূর থেকে দেখতে পেলাম কমান্ডারের মাথা উড়ে গেছে আকাশে। সেই ক্যাম্পে আমরা তিনজন এসেছিলাম “অপারেশন ফাকার কিলিং“ এ। সেই বোমাটা ফাটিয়েছিল আমার মেঝো বোন,এরপর তার কোন খবর পাওয়া যায়নি।আমরা তিনজন যমজ বোন ছিলাম।
বিঃদ্রঃ ডেজাভ্যু মানে এমন কোন অনুভূতি যা আগে কোনদিন হয়নি অথচ কোন এক সময় এই একই রকম অনুভূতি হয়েছিল।সেই সময়টা অন্য কোন জীবনের!!(তথ্য-সামু ব্লগার)
স্পেলিং ভুল হলে ক্ষমা করবেন !!