খাবারের অভাবে,জলের অভাবে , ওষুধের অভাবে,নির্যাতনে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশী অভিবাসীরা। কিন্তু তাদের বাঁচাতে রাষ্ট্র তেমন কিছু করছে না,অন্তত পরিস্থিতি তাই বলছে।তাদেরকে রোহিঙ্গা বলে(কিন্তু উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের প্রায় অর্ধেকই বাংলাদেশী) আখ্যা দিয়েই দ্বায়িত্ব শেষ!!! এইসব অশিক্ষিত,দারিদ্রপীড়িত মানুষরা দেশে কাজ না পেয়ে,পরিবারকে ভরনপোষণ দিতে না পেরে, দুমুঠো খাদ্যের সন্ধানে বিদেশে পাড়ি দিতে চেয়েছে,অজ্ঞতা আর দারিদ্রতার কারনে কম টাকায় বিদেশে পাড়ি জমাতে দালালদের খপ্পরে পড়ে, অবৈধ উপায়ে যেতে চায় জীবিকার্জন করতে।দেখুন আপনি হয়তো বলবেন, They have violated the law when they goes by illegal way. They are void ab initio. So the state is no bound to rescue them. উত্তরে আমি বলব, though their intention is bad but their motive is not so bad. কারন সে তো বিদেশে যেতে চেয়েছে কাজের জন্য,তার অভুক্ত পরিবারকে দুমুঠো খাবার দিতে।এটা কোন ক্রমেই অন্যায় না। সংবিধােনর ১৫ নং অনুচ্ছেদএ খাদ্য বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা ও চিকিৎসাকে মৌলিক চাহিদা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বলা হয়েছে এগুলো পূরন করা রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দ্বায়িত্ব। অনুচ্ছেদ ২০ এ কর্মের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকার এসব অবহেলিত অশিক্ষিত, ক্ষুধা পীড়িত,প্রান্তিক মানুষদের মৌলিক চাহিদা পূরন করতে পারছে না, পর্যাপ্ত কাজের ব্যবস্থা করতেও না,যা অনুচ্ছেদ ১৫ ও ২০ এর লংঘন।সর্বপরি এর ফলে সে যদি মারা যায় তবে তা অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী সরকারই দায়ী হবে। তাছাড়া কোস্ট গার্ড সঠিকভাবে দ্বায়িত্ব পালন করলে এসব লোক অবৈধ পথে যেতে পারত না,যা সরকারেরই ব্যর্থতা।
অর্থাৎ সরকার কোন ভাবেই এ দ্বায়িত্বকে অস্বীকার করতে পারে না।
এসব দুঃর্ভাগ্যবান মানুষদেরকে রক্ষা করা সরকারের অবশ্য কর্তব্য। সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে থাইল্যান্ড,ইন্দোনেশিয়া,মালয়েশিয়া,মায়ানমার সহ অন্যান্য দেশের সাথে আলোচনা করে মানবিকতার সাথে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া।আমরা আর একটিও করুন মৃত্যু চাই না, আমাদের ভাইয়েরা আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।
আসুন সবাই বলি,
"মানবতার জয় হোক।"