আগামী তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হবার বিষয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এবি এম খায়রুল হক। তিনি বলেন, আইনানুযায়ী যা হবার তাই হবে। তাছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান কে হবেন তা ভবিষ্যৎই বলতে পারবে।
সরকারি ছুটির পরও আজ মঙ্গলবার শেষ কর্মদিবস হিসেবে প্রধান বিচারপতি তার অফিস করেন। পরে বের হবার পথে জাজেস লাউঞ্জে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আগামী তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হতে ইচ্ছুক কিনা এর জবাবে তিনি বলেন, এটি আল্লাহতায়ালা নির্ধারণ করবেন। তবে কর্মজীবনে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালনে সবসময়ই সচেষ্ট ছিলেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমি ১৩ বছরের বিচারিক জীবনে ওকালতি থেকে শুরু করে প্রধান বিচারপতি হওয়া পর্যন্ত মানুষকে ন্যায়বিচার প্রদানের মাধ্যমে মুক্ত করেছি।
৫ম সংশোধনী রায় নিয়ে বিতর্ক সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের রায় নিয়ে আগে আলোচনা-সমালোচনা হতো না, তবে এখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ায় আমার কাছে খুশি লাগছে। আলোচনা হচ্ছে এটা উন্নতির লক্ষণ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় আমাদের বিচার ব্যবস্থা অনেক ভালো । এজন্য আমাদের সুপ্রিম কোর্টকে নিয়ে গর্ববোধ করি। তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে আরো কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি। বিচারকদের অভিশংসনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংসদ সিদ্ধান্ত নিবে। তিনি বলেন, যেকোনো আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষমতা সংসদের। তবে বিচারকরা যাতে নির্ভীকভাবে কাজ করতে পারে আইন প্রণয়নের সময় সে বিষয়টিও থাকতে হবে। সে যে আওয়ামী পন্থী তা আবার প্রমানিত হল