somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০ সেপ্টেম্বর: বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যা করে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। যুদ্ধ ও খুনের শিকার হয়েও প্রতি বছর এত মানুষের মৃত্যু ঘটে না। আত্মহত্যা-প্রবণ এবং আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় এরও প্রায় ১৫-২০ গুণ মানুষ। অন্য এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১০ থেকে ১৪ শতাংশ মানুষ আত্মহত্যার কথা চিন্তা করে ঐকান্তিকভাবেই। আর পাঁচ শতাংশ কখনো না কখনো আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালায়। তবে, আত্মহত্যা বা আত্মহত্যা প্রবণতার প্রকৃত হার এর চেয়েও বেশী হতে পারে বলে গবেষকদের ধারণা। কারণ, কুসংস্কার, ধর্মীয় বা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেক আত্মহত্যা বা আত্মহত্যা প্রচেষ্টার খবর চেপে যায় পরিবার।
সারা বিশ্বে আত্মহত্যা-প্রবণতা গুরুত্বপূর্ণ এক সামাজিক ও জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আত্মহত্যা মানে কেবল ঐ ব্যক্তির জীবনাবসানই নয়। পরিবার ও সমাজে এর সুদূরপ্রসারী বিরূপ মানসিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া রয়ে যায়। এছাড়া আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যা প্রচেষ্টার সাথে সংশ্লিষ্ট পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক ক্ষতির ব্যাপারটিও সামান্য নয়।
আত্মহত্যার পর অনেক সময় এর পেছনের কারণটিকে অতি সরলীকরণ বা সহজীকরণ করা হয়ে থাকে। যেমন, বলা হয়, পারিবারিক কলহের জের ধরে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে বা চাকরী চলে যাওয়ায় ইত্যাদি। কিন্তু গবেষকরা বলেছেন, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আত্মহত্যার পিছনে শুধু একটিমাত্র কারণকে দায়ী করা যায় না, এর পেছনে রয়েছে আরো অনেক কিছু। অনেক কারণ মিলে ব্যক্তিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে নিয়ে যায়। আগে থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা বা প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিলে তা রোধ করাও সম্ভব। ব্যক্তির আত্মহত্যার পর পর তার আত্মীয়স্বজনের প্রতিক্রিয়া তীব্র হতে পারে, তারা সেই মুহূর্তে আত্মহত্যার ঘটনাটিকে মেনে নিতে পারেন না এবং ওরকম মানসিক অবস্থায় সাংবাদিকদের কাছে হয়তো বিস্তারিতভাবে তারা পেছনের কারণগুলো তুলে ধরতে পারেন না। অথবা কিছু বিষয় হয়তো তারা স্বেচ্ছায় চেপেও যান। দু-একটি ব্যতিক্রম ক্ষেত্র বাদে আত্মহত্যার খবরের ‘ফলো-আপ নিউজ’ হয় না বলে প্রকৃত কারণটি হয়তো আড়ালেই থেকে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আত্মহত্যার কারণ হিসেবে প্রায় সময়ই যেটি উপেক্ষিত থেকে যায়, তা হচ্ছে ব্যক্তির মানসিক অসুস্থতা। গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ ব্যক্তিই আত্মহত্যার সময় কোন না কোন গুরুতর মানসিক রোগে আক্রান্ত থাকেন। হয়তো সেটা গুরুত্ব দেয়া হয় না বা মানসিক রোগ নিশ্চিত হলেও যথাযথ চিকিৎসা করা হয় না। অন্যভাবে বলতে গেলে, মানসিক রোগাক্রান্তদের ভেতর আত্মহত্যার হার সাধারণ, সুস্থ মানুষের তুলনায় বেশী।
আত্মহত্যার জন্য অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ মানসিক রোগটি হচ্ছে বিষণœতা। গবেষকরা বলছেন, গুরুতর বিষণœতা বা মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১৫ শতাংশই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিষণœতা রোগে আক্রান্তরা দিনের পর দিন অধিকাংশ সময়ই মন খারাপ করে থাকেন, কোন কাজে উৎসাহ-মনোযোগ পান না, ঘুম-খাওয়ার রুচি-উদ্যম-গতি কমে যায়। পরবর্তীতে তা তীব্র আকার ধারণ করলে আক্রান্তরা নিজেদের জীবনকে নিরর্থক ও বোঝা মনে করতে থাকেন, সমাজ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখেন, প্রতিনিয়ত আত্মঘাতী চিন্তায় মন আচ্ছন্ন হতে থাকে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করালে এদের অনেকেই নির্মম সিদ্ধান্তের পরিণতি ঘটান। আরেক ধরণের বিষণœতা বা ডিপ্রেসন- যাকে ম্যানিক ডিপ্রেসন বা বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার বলা হয়- এতে আক্রান্তদের ১০-১৫ শতাংশও আতœহত্যা করেন। এই রোগে বিষণœতা ও উত্তেজিত-উৎফুল্ল অবস্থা পর্যায়ক্রমে থাকে এবং অধিকাংশ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যখন বিষণœতার উপসর্গ বেশী থাকে।
আরেকটি জটিল মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তরাও অন্যদের তুলনায় অনেক বেশী আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ শতাংশ সিজোফ্রেনিক রোগী আত্মহত্যা করেন। সিজোফ্রেনিক রোগীদের মধ্যে যাদের বিষণœতার উপসর্গ থাকে, তারা আত্মহত্যাপ্রবণ হতে পারেন। এছাড়া আরেকটি বিষয় এদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সিজোফ্রেনিক রোগী ‘গায়েবী আওয়াজ’ শোনেন, চিকিৎসা শাস্ত্রের পরিভাষায় যাকে ‘অডিটরী হ্যালুসিনেশন’ বলা হয়। অনেকে শুনতে পান, কেউ তাকে উপদেশ বা আদেশ দিচ্ছে আত্মহত্যা করতে। অনেক রোগীই এই ‘গায়েবী’ আদেশটি অবশ্য পালনীয় হিসেবে গণ্য করেন। অনেক সিজোফ্রেনিক রোগীর মধ্যে অস্বাভাবিক সন্দেহ ও ভয় থাকে যা তাকে পর্যায়ক্রমে সমাজ থেকে দূরে ঠেলে দেয়, একাকী করে রাখে, যাতে রোগী এক সময় অসহ্য হয়ে আত্মহত্যা করেন।
এছাড়া মাদকাসক্তদেরও আত্মহত্যার ঝুঁকি বেশী। গবেষকরা জানান, অ্যালকোহলে আসক্তদের ১৫ শতাংশ আত্মহত্যা করেন, হেরোইন-আসক্তদের আত্মহত্যার ঝুঁকি মাদকমুক্ত ব্যক্তিদের তুলনায় ২০ গুণ বেশী। অন্যান্য মানসিক রোগ, যেমন, বিপর্যয়-পরবর্তী মানসিক চাপ বা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, অহেতুক ভীতি বা ফোবিয়া, জেনারালাইজড অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার বা অত্যধিক দুশ্চিন্তাজনিত রোগ এবং কিছু ব্যক্তিত্ব-বৈকল্য বা পারসোনালিটি ডিসঅর্ডারে আক্রান্তদের মধ্যেও আত্মহত্যার হার সাধারণের চেয়ে বেশী।
হঠাৎ কোন মানসিক চাপে পড়লে বা জীবনে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে অনেকে এর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না। দৃশ্যমান গুরুতর কোন মানসিক রোগ না থাকা সত্ত্বেও কোন পরিকল্পনা বা দীর্ঘমেয়াদী আত্মহত্যা প্রবণতা ছাড়াই হুট করে অনেকে আত্মহত্যা করে বসতে পারেন এমন কোন চাপের মধ্যে পড়লে। পরীক্ষায় অকৃতকার্যতার ফলে, প্রেমে ব্যর্থতায়, অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে, বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে এমন হঠাৎ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যারা পূর্ব থেকেই অন্য কোন মানসিক রোগে আক্রান্ত অথবা মানসিক চাপে মানিয়ে নেয়ার দক্ষতা কম, তাদের ক্ষেত্রে এ ধরণের ঘটনা ঘটার ঝুঁকি বেশী। অবিবাহিত, ডিভোর্সী বা বিপতœীক/বিধবা, বেকার, দীর্ঘমেয়াদী বা দুরারোগ্য শারীরিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও আত্মহত্যার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে বেশী। সম্প্রতি প্রিয় কারো মৃত্যু শোক আত্মহত্যা প্রবণ করে তুলতে পারে ব্যক্তিকে। শারীরিক-মানসিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরাও আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে থাকেন বেশী।
অনেকেই মনে করেন, যারা একবার আত্মহত্যা করে ব্যর্থ হয়, তারা আর ও পথে এগোয় না- মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ঘুরে আসায় জীবনের প্রতি তাদের মায়া বেড়ে যায়। কিন্তু গবেষকরা বলছেন ঠিক এর উল্টোটা। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অতীতে আতœহননের প্রচেষ্টা চালিয়েছে তাদের মধ্যে পুণরায় প্রচেষ্টা চালানো বা আত্মহত্যার হার, যারা কখনোই আত্মহত্যা প্রচেষ্টা চালায়নি তাদের চেয়ে বেশী। কোন কোন গবেষণায় এই হার প্রায় ৩০-৪০ গুণ বেশী। মানসিক রোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরের কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহে আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশী।
চিকিৎসক ও গবেষকরা বলছেন, এই সব আত্মহত্যার অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। এ জন্য দরকার সচেতনতা, কুসংস্কার কাটিয়ে ওঠা এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। দীর্ঘমেয়াদে আত্মহত্যা-প্রবণ ব্যক্তি প্রকাশ্যে বা ইঙ্গিতে কোন না কোনভাবে তার অন্তর্গত ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করে কারো কাছে - মা, বাবা, বন্ধু বা চিকিৎসকের কাছে। কেউ যদি আত্মহত্যার কথা ব্যক্ত করে, তবে তা গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। তার সমস্যার জায়গাটা চিহ্নিত করে তাকে সেভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করতে হবে। মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত মনে হলে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, চিকিৎসায় উপসর্গ কিছুটা কমে গেলে ব্যক্তি চিকিৎসা ও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং পরিবারও এ ব্যাপারে আর মনোযোগী হয় না। মনে রাখতে হবে, অধিকাংশ মানসিক রোগের চিকিৎসাই দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। উপসর্গ কমে যাওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিকিৎসা-পদ্ধতি থেকে দূরে সরে গেলে পুনরায় উপসর্গ ফিরে আসতে পারে এবং জীবননাশী কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। রোগাক্রান্ত ব্যক্তির পাশাপাশি এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে পরিবারকেও। আত্মহত্যা-চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের করুণার চোখে না দেখে, তিরস্কার করে, খোঁচা দিয়ে কথা না বলে তার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। যাদের মানসিক চাপে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা কম, তাদের যথোপযুক্ত কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে হবে। আত্মহত্যার মাধ্যম যেমন, কীটনাশক প্রভৃতির সহজলভ্যতা কমাতে হবে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে। মাদকদ্রব্যের ব্যবহার কমাতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীর প্রতি নারী-পুরুষ উভয়েরই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। ধর্মীয় ও সামাজিক সুস্থ রীতিনীতির চর্চা করতে হবে। সামাজিক সুস্থ, সুন্দর সম্পর্ক লালন করতে হবে, পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে। এই বিষয়গুলো আত্মহত্যা প্রতিরোধে ‘প্রটেক্টিভ ফ্যাক্টর’ হিসেবে গণ্য। জীবনের খারাপ সময়গুলোতে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষমতা, নিজের প্রতি শ্রদ্ধা ও আত্মবিশ্বাস, সমস্যা সমাধানের কার্যকর দক্ষতা এবং প্রয়োজনে অন্যের কাছ থেকে ইতিবাচক সহায়তা লাভের চেষ্টা - এগুলোকেও আত্মহত্যার ক্ষেত্রে রক্ষাকারী বা প্রতিরোধী বিষয় হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়া সুষম খাদ্য গ্রহণ, পর্যাপ্ত নিদ্রা, নিয়মিত শরীরচর্চা, ধূমপান ও মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকা তথা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং শারীরিক-মানসিক যে কোন অসুস্থতায় যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা লাভের সুযোগ আত্মহত্যা প্রবণতা কমায়।
আত্মহত্যা নিয়ে বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে রেফারেন্স হিসেবে গণ্য তেমন কোন গবেষণা নেই। তবে, ক্ষুদ্র পরিসরে কিছু গবেষণা হয়েছে। এসব গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের অন্য অনেক দেশে পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যায় মৃতের হার বেশী হলেও বাংলাদেশে নারীরাই বেশী আত্মহত্যা করে। এরকম আরো কিছু গবেষণার ফল অনুযায়ী, যৌতুক এবং ছাত্রী উত্যক্তকরণ বাংলাদেশে মেয়েদের আত্মহত্যার পেছনে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। সম্প্রতি পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী, কম বয়সী, স্কুল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আত্মহত্যা এবং সন্তান বা পরিবার-ভুক্ত কাউকে হত্যার পর আত্মহত্যার ঘটনা আশংকাজনক হারে বাড়ছে। এর পেছনের সামাজিক-মানসিক কারণ খতিয়ে দেখতে এবং সমাজে এ ধরণের মর্মান্তিক ঘটনার বিস্তার প্রতিরোধে যথাযথ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
আত্মহত্যা প্রতিরোধকল্পে জনসচেতনতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংস্থা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালন করে থাকে। এ বছর এ দিবস উপলক্ষ্যে আত্মহত্যা প্রতিরোধে শুধু এর ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকেই নয়, একই সাথে এ থেকে রক্ষাকারী বিষয়গুলোর দিকেও যথাযথ মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ বছর এ দিবসের স্লোগান - "Suicide Prevention across the Globe: Strengthening Protective Factors and Instilling Hope". এ ব্যাপারে পারিবারিক, সামাজিক সচেতনতার যেমন প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি প্রয়োজন রয়েছে আত্মহত্যা ও আত্মহত্যা-প্রবণতার উপর কার্যকর গবেষণারও। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই সম্ভব দুঃখজনক এই আত্মহনন প্রতিরোধ।
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=নিছক স্বপ্ন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৮



©কাজী ফাতেমা ছবি
তারপর তুমি আমি ঘুম থেকে জেগে উঠব
চোখ খুলে স্মিত হাসি তোমার ঠোঁটে
তুমি ভুলেই যাবে পিছনে ফেলে আসা সব গল্প,
সাদা পথে হেঁটে যাব আমরা কত সভ্যতা পিছনে ফেলে
কত সহজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একদম চুপ. দেশে আওয়ামী উন্নয়ন হচ্ছে তো?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৯



টাকার দাম কমবে যতো ততোই এটিএম বুথে গ্রাহকরা বেশি টাকা তোলার লিমিট পাবে।
এরপর দেখা যাবে দু তিন জন গ্রাহক‍কেই চাহিদা মতো টাকা দিতে গেলে এটিএম খালি। সকলেই লাখ টাকা তুলবে।
তখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×