আধুনিক ফেমিনিজম, সমকামী আন্দোলন, যুদ্ধ ও কাল্পনিক চাহিদা বুঝতে হলে আমাদেরকে কার্ল মার্ক্সের কাছে ফিরে যেতে হবে। অমর্ত্য সেনের আপেক্ষিক বঞ্চনা তত্ত্ব বলে মানুষ তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে নিজের অবস্থানের তুলনা করে যখন নিজের প্রতি অসম আচরণ দেখতে পান, তখন তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আর রাষ্ট্র সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারে।
জার্মানি, ফ্রান্স, কিংবা নেদারল্যান্ডসের মতো রাষ্ট্রগুলো আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত, যারা জনগণের মধ্যে সুষম বন্টন করে ও মৌলিক চাহিদাগুলো পাবার অধিকার নিশ্চিত করে। সমাজবিজ্ঞানী টি মার্শাল আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রকে গণতন্ত্র, কল্যাণ ও পুঁজিবাদের একটি স্বতন্ত্র সমন্বয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
কিন্তু তবু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সার্টেন গ্রুপের অধিকার নিশ্চিত করবার নিমিত্তে সমাজের বড় অংশকেও ভুক্তভুগী করে। যেমন গাজাকে পাবলিকলি লিগালাইজ করা, স্কুলগুলোতে LGBTQIA+ ইমপোজ করা ইত্যাদি।
কার্ল মার্ক্স সাম্রাজ্যবাদকে পুঁজিবাদের পরবর্তী রূপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যা মূলত জন্ম দেয় বিলডেনবার্গ গ্রুপ বা পৃথিবীর স্যাডো গভর্নমেন্টের।
লিবিয়ায় ন্যাটো এল্যায়েন্সের যুদ্ধে জড়ানো জনগণের সিদ্ধান্ত ছিল না, সিদ্ধান্ত ছিল বড় বড় কর্পোরেশন তথা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর, সিদ্ধান্ত ছিল স্যাডো গভর্নমেন্টের।আর একারণেই আপনারা দেখে থাকবেন, কানাডায় খ্রিস্টান ও মুসলিম নাগরিকরা মিলে স্কুলগুলোতে LGBTQIA+ অন্তর্ভুক্তিকরণ, জেন্ডার আইডেন্টিটি নিয়ে করা প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। আবার বাংলাদেশে কিছু মিডিয়াও এই কমিউনিটির লোকদেরকে প্রমোট করছে, যদিও বাংলাদেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ।
যাইহোক, এক্ষেত্রে আমাদের পুঁজিবাদ বা উদ্বৃত্ত অর্থের ধারণা বুঝা জরুরি। কেননা এই অতিরিক্ত অর্থ ইনভেস্ট করার জন্য নতুন বাজার তৈরি করা জরুরি। আর এই কাজটি করছে ভ্যানগার্ড কিংনা স্ট্রেইট স্ট্রিট এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।
এর বাইরে অর্থ যতদিন পর্যন্ত অর্থ ন্যাচারাল বা স্বর্ণ/রৌপ্য মুদ্রার ফর্মে ছিল, আজকের দিনের মতো বোগাস কাগজের টাকা ছিল না, ততদিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ নতুন বোগাস অর্থকে ইনভেস্ট করার জন্য নতুন বাজার তৈরির প্রয়োজন ছিল না।
কিন্তু এখন বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে উদ্ধৃত্ত অর্থ আছে, বোগাস মানি আছে। এর জন্য নতুন বাজার তৈরি করা প্রয়োজন।
নতুন বাজার দখলের জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন, বোগাস মানির বিপরীতে নতুন পণ্যের সৃষ্টি ও চাহিদার প্রয়োজন, কনসাম্পসন প্রয়োজন।
আর একারণেই যুদ্ধ লেগে আছে বছরের পর বছর। নতুন চাহিদাসম্পন্ন গোষ্ঠী হিসেবে LGBTQIA+ কমিউনিটির প্রয়োজন, যাতে তারা সারা জীবন চিকিৎসার জন্য, হরমোনের জন্য ওষুধ নিতে পারে। কেননা তারা ওষুধ গ্রহণ না করলে তো ব্যবসা হবে না।
পিংক মানি হলো পৃথিবীর LGBTQIA+ কমিউনিটির টোটাল পার্সেচিং পাওয়ার। এর পরিমাণটা কতো জানেন? ৩.৯ ট্রিলিয়ন ডলার।
ভিভেক রামাসামি, ২০২৪ ইউএসএ নির্বাচনে একজন রিপাবলিকান ক্যান্ডিডেট যিনি এই জেন্ডার ইস্যুগুলোর উত্তর দিচ্ছেন। ইউএসএ'র ক্ষেত্রে এই বড় বড় কোম্পানি যাদের নিজেদের মধ্যেই ডেমোক্রেসি নাই তারা সরকারকে পুশ করছে, যেমনটি করেছে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট।
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সন্তান সমকামী হতে চাইলে বাবা-মা তাদেরকে বাধা দিতে পারবে না, বাধা দিলে বাবা-মা'র কাছ থেকে সন্তানদেরকে ছিনিয়ে নেওয়া হবে। LGBTQIA+ এজেন্ডা নিয়ে কথা বলছেন ভিভেক রামাসামি
জার্মানির ক্ষেত্রের রেভে (REWE) গ্রুপ, অন্যতম বড় সুপারমার্কেট চেইন যারা ফান্ডিং করছে এই জেন্ডার এজেন্ডার পেছনে। কিন্তু কেন? এর কারণটা পূর্বেই লেখেছি।
একজন ট্রান্সজেন্ডারকে পুরো জীবনটাই হরমোনাল থেরাপির উপর কাটিয়ে দিতে হয়। এ এক নতুন ব্যবসার দ্বার উন্মুক্ত করেছে।
মূলত এই শয়তানী অর্থব্যবস্থা ও এর পেছনে থাকা শয়তানের শিষ্যদের না চিনলে আমরা পুরো ব্যাপারটাকে ধরতে পারবো না৷ আমরা বুঝতে পারবো না ওয়েস্টের সরকারগুলো পর্যন্ত জনগণের উপর কেন বিভিন্ন প্রপাগাণ্ডা চাপিয়ে দেয়, কেন যুদ্ধ হয়, কেন এডুকেশন সিস্টেম ও সামাজিক মোরালিটির পরিবর্তন হয়।
২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩
জিগেন, জার্মানি
ছবি কৃতজ্ঞতা: ওয়াশিংটন পোস্ট
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:৪৪