somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কল্যাণ রাষ্ট্র, পুঁজিবাদ ও অন্তরালে স্যাডো গভর্নমেন্ট

০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আধুনিক ফেমিনিজম, সমকামী আন্দোলন, যুদ্ধ ও কাল্পনিক চাহিদা বুঝতে হলে আমাদেরকে কার্ল মার্ক্সের কাছে ফিরে যেতে হবে। অমর্ত্য সেনের আপেক্ষিক বঞ্চনা তত্ত্ব বলে মানুষ তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে নিজের অবস্থানের তুলনা করে যখন নিজের প্রতি অসম আচরণ দেখতে পান, তখন তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আর রাষ্ট্র সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারে।

জার্মানি, ফ্রান্স, কিংবা নেদারল্যান্ডসের মতো রাষ্ট্রগুলো আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত, যারা জনগণের মধ্যে সুষম বন্টন করে ও মৌলিক চাহিদাগুলো পাবার অধিকার নিশ্চিত করে। সমাজবিজ্ঞানী টি মার্শাল আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রকে গণতন্ত্র, কল্যাণ ও পুঁজিবাদের একটি স্বতন্ত্র সমন্বয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

কিন্তু তবু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সার্টেন গ্রুপের অধিকার নিশ্চিত করবার নিমিত্তে সমাজের বড় অংশকেও ভুক্তভুগী করে। যেমন গাজাকে পাবলিকলি লিগালাইজ করা, স্কুলগুলোতে LGBTQIA+ ইমপোজ করা ইত্যাদি।
কার্ল মার্ক্স সাম্রাজ্যবাদকে পুঁজিবাদের পরবর্তী রূপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যা মূলত জন্ম দেয় বিলডেনবার্গ গ্রুপ বা পৃথিবীর স্যাডো গভর্নমেন্টের।

লিবিয়ায় ন্যাটো এল্যায়েন্সের যুদ্ধে জড়ানো জনগণের সিদ্ধান্ত ছিল না, সিদ্ধান্ত ছিল বড় বড় কর্পোরেশন তথা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর, সিদ্ধান্ত ছিল স্যাডো গভর্নমেন্টের।আর একারণেই আপনারা দেখে থাকবেন, কানাডায় খ্রিস্টান ও মুসলিম নাগরিকরা মিলে স্কুলগুলোতে LGBTQIA+ অন্তর্ভুক্তিকরণ, জেন্ডার আইডেন্টিটি নিয়ে করা প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। আবার বাংলাদেশে কিছু মিডিয়াও এই কমিউনিটির লোকদেরকে প্রমোট করছে, যদিও বাংলাদেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ।

যাইহোক, এক্ষেত্রে আমাদের পুঁজিবাদ বা উদ্বৃত্ত অর্থের ধারণা বুঝা জরুরি। কেননা এই অতিরিক্ত অর্থ ইনভেস্ট করার জন্য নতুন বাজার তৈরি করা জরুরি। আর এই কাজটি করছে ভ্যানগার্ড কিংনা স্ট্রেইট স্ট্রিট এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।

এর বাইরে অর্থ যতদিন পর্যন্ত অর্থ ন্যাচারাল বা স্বর্ণ/রৌপ্য মুদ্রার ফর্মে ছিল, আজকের দিনের মতো বোগাস কাগজের টাকা ছিল না, ততদিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ নতুন বোগাস অর্থকে ইনভেস্ট করার জন্য নতুন বাজার তৈরির প্রয়োজন ছিল না।
কিন্তু এখন বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে উদ্ধৃত্ত অর্থ আছে, বোগাস মানি আছে। এর জন্য নতুন বাজার তৈরি করা প্রয়োজন।

নতুন বাজার দখলের জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন, বোগাস মানির বিপরীতে নতুন পণ্যের সৃষ্টি ও চাহিদার প্রয়োজন, কনসাম্পসন প্রয়োজন।
আর একারণেই যুদ্ধ লেগে আছে বছরের পর বছর। নতুন চাহিদাসম্পন্ন গোষ্ঠী হিসেবে LGBTQIA+ কমিউনিটির প্রয়োজন, যাতে তারা সারা জীবন চিকিৎসার জন্য, হরমোনের জন্য ওষুধ নিতে পারে। কেননা তারা ওষুধ গ্রহণ না করলে তো ব্যবসা হবে না।

পিংক মানি হলো পৃথিবীর LGBTQIA+ কমিউনিটির টোটাল পার্সেচিং পাওয়ার। এর পরিমাণটা কতো জানেন? ৩.৯ ট্রিলিয়ন ডলার।

ভিভেক রামাসামি, ২০২৪ ইউএসএ নির্বাচনে একজন রিপাবলিকান ক্যান্ডিডেট যিনি এই জেন্ডার ইস্যুগুলোর উত্তর দিচ্ছেন। ইউএসএ'র ক্ষেত্রে এই বড় বড় কোম্পানি যাদের নিজেদের মধ্যেই ডেমোক্রেসি নাই তারা সরকারকে পুশ করছে, যেমনটি করেছে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট।
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সন্তান সমকামী হতে চাইলে বাবা-মা তাদেরকে বাধা দিতে পারবে না, বাধা দিলে বাবা-মা'র কাছ থেকে সন্তানদেরকে ছিনিয়ে নেওয়া হবে। LGBTQIA+ এজেন্ডা নিয়ে কথা বলছেন ভিভেক রামাসামি

জার্মানির ক্ষেত্রের রেভে (REWE) গ্রুপ, অন্যতম বড় সুপারমার্কেট চেইন যারা ফান্ডিং করছে এই জেন্ডার এজেন্ডার পেছনে। কিন্তু কেন? এর কারণটা পূর্বেই লেখেছি।
একজন ট্রান্সজেন্ডারকে পুরো জীবনটাই হরমোনাল থেরাপির উপর কাটিয়ে দিতে হয়। এ এক নতুন ব্যবসার দ্বার উন্মুক্ত করেছে।
মূলত এই শয়তানী অর্থব্যবস্থা ও এর পেছনে থাকা শয়তানের শিষ্যদের না চিনলে আমরা পুরো ব্যাপারটাকে ধরতে পারবো না৷ আমরা বুঝতে পারবো না ওয়েস্টের সরকারগুলো পর্যন্ত জনগণের উপর কেন বিভিন্ন প্রপাগাণ্ডা চাপিয়ে দেয়, কেন যুদ্ধ হয়, কেন এডুকেশন সিস্টেম ও সামাজিক মোরালিটির পরিবর্তন হয়।

২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩
জিগেন, জার্মানি

ছবি কৃতজ্ঞতা: ওয়াশিংটন পোস্ট
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:৪৪
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×