এক,
বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমছে!!!
আশংকাজনক হারে নারী প্রতি জন্মহার কমছে। বর্তমানে (২০২৩) বাংলাদেশে নারীপ্রতি জন্মহার ১.৯৩, ২০২০ সালে যা ছিল ২.০০৩।
কোন দেশের জনসংখ্যা সময়ের বিপরীতে সমান থাকার জন্য নারী প্রতি ২.১ থেকে ২.৩ পর্যন্ত সন্তান জন্মদান বাঞ্চনীয়। কিন্তু বর্তমানে এই জন্মহার ক্রমাগত কমছে, যা দেশের জন্য অশনিসংকেত। তরুণদের দেশ থেকে ক্রমেই আমরা বৃদ্ধদের দেশে পরিণত হচ্ছি।
১১ই জুলাই, ২০২৩
দুই,
সম্ভবত হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, ''আমি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের জনসংখ্যা কম দেখতে চাই।'' তারই ধারাবাহিকতায় এই অঞ্চলগুলোতে জনসংখ্যার লাগাম টেনে ধরার আয়োজন করা হয়। গ্রামে গ্রামে ফ্রিতে কনডম দেওয়া হয়, জন্ম বিরতিকরণ বিভিন্ন ব্যবস্থা ইমপ্লিমেন্ট করা হয়।
কেননা প্রাচ্যের জনসংখ্যা পাশ্চাত্যের খবরদারির জন্য হুমকি। জনবহুল শক্তিশালী একটি দেশকে এক্সপ্লোয়েট করা কষ্টসাধ্য। এটা অবশ্যই ঠিক যে, শুধু জনসংখ্যা হলেই হয় না, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনশক্তিতে রূপান্তরের প্রয়োজন হয়। একটি দেশের রিসোর্সের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়।
ওয়েস্টার্ন প্রপাগাণ্ডা মেশিন বিবিসি বারবার বাংলাদেশের জনসংখ্যার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে নিউজ করে চলেছে, যদিও বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিন্মমুখি। কেননা বাংলাদেশে জন্মহার কমে গেছে এবং মৃত্যুহার ও দেশ ছাড়ার হার উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বেশি৷
যেখানে পুরো পৃথিবীর বিশাল অংশ জনসংখ্যা কমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছে, সেখানে একটু খেয়াল করলেই এসব নিউজের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে পারা যায়।
১২ই জুলাই, ২০২৩
তিন,
পাশ্চাত্যের যেসব দেশ আমাদেরকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ শেখাতো, আজ সেইসব দেশগুলোর জনসংখ্যা কমছে। এই দেশগুলো আজ সিভিয়ার জনবল সংকটে পড়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ জনবল নেওয়ার পরও তাদের এই সংকট কাটছে না। চীনের মতো দেশও আগামীর পৃথিবীতে মারাত্মক জনবল সংকটের দিকে এগুচ্ছে, যা ইনভেইটেবল বা অনিবার্য৷ প্রত্যেক দম্পতি পাঁচজন করে সন্তান গ্রহণ করলেও এই সংকট কাটানো যাবে না।
জনসংখ্যা সমস্যা ছিল না, সমস্যা ছিল জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করা৷ আপনি বর্তমানে বাংলাদেশের কোথাও আর ''ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক, দু'টি সন্তানই যথেষ্ট'' লেখা স্লোগান দেখতে পাবেন না।
অথচ দিনশেষে আমাদের এই ভুল বুঝানোর জন্য দায়ী কারা?
১০ই জুলাই, ২০২৩
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৬