
মোল্লারা স্কুলের বই সংশোধন কমিটিতে নেই, সেটা তাদের কাজও না। কিন্তু বই সংশোধন কমিটি নিয়ে মোল্লাদের কথা আছে, কথা আছে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের। আর এই কথা বলার, ক্ষোভ প্রকাশের আগুন জ্বালিয়ে গেছে প্রাক্তন আওয়ামীলীগ সরকার এবং যারা পূর্ববর্তী বই প্রণয়ণে ছিলেন সেই ধুরন্ধর বুদ্ধিজীবীরা। বড়দাগে তারা তাদের প্রতি অর্পিত আমানতের খেয়ানত করেছিলেন।
তারা দেশের জনগণের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় বিশ্বাসের তোয়াক্কা করেননি। তারা তাদের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন ও ওয়েস্টার্ন মনিবদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছেন।
আজাজিল শয়তান পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী জ্বীন ছিলেন, আবু লাহাবও ছিলেন আরবের অন্যতম জ্ঞানী। একজন ইবাদতে অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন, অন্যজন উটের মল দেখেই বলে দিতে পারতেন আরবের কোন এলাকা থেকে এসেছে সেই উট। কিন্তু পরিতাপের বিষয় তাদের প্রাপ্ত জ্ঞান তাদের জন্য নাজাতের ব্যবস্থা করতে পারেনি, তাদের অন্তিম গন্তব্যের পথে কোন সাহায্য হয়ে আসেনি।
এলজিবিটিকিউ টার্ম বিগত পঞ্চাশ বছর আগেও ছিল না। বলতে গেছে অল্প কিছুদিন আগেও পাশ্চাত্যে সমকামীদের চিকিৎসার নিমিত্তে হরমোনাল থেরাপি দেওয়া হতো। অথচ আজ পাশ্চাত্যে ছোট্ট ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে সমকামী আন্দোলন হয়, র্যালি বের হয়ে পতাকা নিয়ে। অথচ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এরা নাপাক, যারা কিয়ামতের দিনও নাপাক অবস্থায় উঠবে। সমকামিতার বিরুদ্ধে খ্রিস্টান ধর্মীয় মতবাদগুলোকে উপড়ে ফেলা হয়েছে। বাইবেল এর বিরোধীতা করলেও স্বয়ং পোপকে নালিফাই করা গেছে। কিন্তু পৃথিবীর শক্তিশালী ধর্ম ও দর্শন হিসেবে ইসলামের সাথে পেরে উঠা যাচ্ছে না। মুসলিমরা বিদ্রোহ করছে। তাদের সাথে সরাসরি দর্শনগত দ্বন্দ্ব চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। তা-ই এরা শিশুশিক্ষায় হাত দিয়েছে, যেন পরবর্তী জেনারেশনকে ধরা যায়। বাংলাদেশে সমকামিতার প্রকাশ্য সমর্থক ও প্রচারকেরা শিশুদের বই পরিবর্তন কমিটিতে ছিলেন, আর আপনারা ভাবছেন বৃহত্তর এই লড়াকু মুসলিম জনগোষ্ঠী তা মেনে নেবে।
আরও পড়ুন:
(১) সমকামিতার দৌরাত্ম্য
(২) সমকামিতা (Homosexuality)
(৩) কল্যাণ রাষ্ট্র, পুঁজিবাদ ও অন্তরালে স্যাডো গভর্নমেন্ট
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


